মালদা, 4 ডিসেম্বর : না থেকেও তিনি যেন প্রবলভাবে রয়েছেন ৷ সাগরপাড় থেকে শুভেন্দু ঢেউ আছড়ে পড়েছে গঙ্গাপাড়ের মালদা জেলাতেও ৷ আজ হরিশ্চন্দ্রপুর এক ও দু'নম্বর ব্লক যুব তৃণমূলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারীর তীব্র সমালোচনা করে ব্লক যুব তৃণমূল নেতৃত্ব ৷ সেখানে উপস্থিত ছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর এক নম্বর ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি জিয়াউর রহমান, হরিশ্চন্দ্রপুর দু'নম্বর ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি মনোতোষ ঘোষ, সংগঠনের মালদা জেলা সম্পাদিকা শামিমা রহমান, জেলা পরিষদের সদস্য সন্তোষ চৌধুরি প্রমুখ ৷
সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করে শামিমা বলেন, "তাঁর থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক ভালো সংগঠক ৷ শুভেন্দু দল ছাড়লেও কোনও ক্ষতি হবে না ৷"
শামিমা বলেন, "অনেক লড়াই আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল দল গঠন করেছেন ৷ তাঁর নেতৃত্বেই 34 বছরের জগদ্দল পাথর, সিপিআইএমকে বঙ্গোপসাগরে ছুড়ে ফেলা সম্ভব হয়েছে ৷ শুভেন্দু অধিকারীর থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক বেশি সুদক্ষ ৷ 2016 সালের নির্বাচনে শুভেন্দু অধিকারী এই জেলার অবজ়ারভার ছিলেন ৷ আমরা সেই ভোটে 12টি আসনের মধ্যে 12টিতেই হেরেছি ৷ মালদার মানুষ তাঁর উপর আস্থা রাখেনি ৷ এর পর উপনির্বাচনগুলিতেও আমাদের দল হেরে গিয়েছে ৷ তাই এই জেলায় শুভেন্দু অধিকারীর কোনও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আমরা দেখতে পাইনি ৷ যেখানে তিনি একটি জেলাতেই কোনও ফল দেখাতে পারেননি, সেখানে রাজ্যের কথা চিন্তা না করাই ভালো ৷ আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি পিছন থেকে সরে গেলে কোনও নেতারই আর কোনও মূল্য থাকে না ৷ বরকতদার সঙ্গে মমতাদির অনেক পুরোনো সুসম্পর্ক ছিল ৷ পরবর্তীতে মৌসম নুর নিশ্চয়ই বুঝেছিলেন, কংগ্রেসে থেকে তিনি কাজ করতে পারছেন না ৷ দিদির উন্নয়নমূলক কাজে শামিল হতেই তিনি দলত্যাগ করেছিলেন ৷ এতে শুভেন্দু অধিকারীর কোনও ভূমিকা ছিল না ৷"
হরিশ্চন্দ্রপুর এক নম্বর ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি জিয়াউর রহমান বলেন, "যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি প্রসেনজিৎ দাসের নির্দেশে আমাদের ব্লকের 45 জনের পূর্ণাঙ্গ যুব কমিটি ঘোষণা করা হল ৷ বিধানসভার আগে দুয়ারে সরকার প্রকল্পে যুবরা যাতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে তাই দ্রুততার সঙ্গে এই পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে৷"
আরও পড়ুন : গেরুয়া পোশাকে শুভেন্দু অধিকারীর পোস্টার মালদায়
অন্যদিকে হরিশ্চন্দ্রপুর দু'নম্বর ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি মনোতোষ দাস বলেন, "একুশের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখেই এই পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে৷ সংগঠনের নেতৃত্ব এখন থেকেই নির্বাচনের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়বে ৷ সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধে সম্পর্কে মানুষকে জানানো হবে৷"