মালদা, 27 মে: পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শনিবার নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রের ডাকা নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেননি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ শনিবার মালদার মথুরাপুরে দলীয় জনসভা থেকে এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ এদিন তাঁর তীর্যক মন্তব্য, চুরি ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়েই মুখ্যমন্ত্রী নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেননি ৷
এদিন মথুরাপুর বিএসএস হাইস্কুল মাঠে আয়োজিত বিজেপির জনসভায় ভিড় হয়েছিল যথেষ্ট ৷ এদিন সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করে শুভেন্দু বলেন,“এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সবচেয়ে বেশি চুরি করেছেন ৷ বৈঠকে যদি ভারত সরকার বলে দেয়, 100 দিনের কাজে সবচেয়ে বেশি চুরি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আবাস যোজনা দুর্নীতিতে এক নম্বরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শৌচালয়ের টাকা মেরেছেন তিনি ৷ তাই তিনি নীতি আয়োগের বৈঠকে যাননি ৷ 2017 সালে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর, রতুয়া, উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারে বন্যাত্রাণের সব টাকা মেরেছেন মমতা এইসব বলে দিলে তাঁর আর সম্মান থাকবে না ৷"
এদিন শুভেন্দু যেখানে সভা করেছেন, সেই মানিকচকের মানুষ গঙ্গার ভাঙনে বিধ্বস্ত ৷ ভাঙন রোধের কাজ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্র আর রাজ্য, একে অন্যের কোর্টে বল চালাচালি করছে ৷ আজ বিধানসভার বিরোধী দলনেতাও এই ইস্যুতে রাজ্যের কোর্টেই বল ঠেলেছেন ৷ তিনি বলেন,“এর জন্য দায়ী মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল ৷ এই জেলার মানিকচক, রতুয়ায় গঙ্গার ধারে থাকা জায়গাগুলি রাজ্য সেচ দফতরের মধ্যে রয়েছে ৷ আমরা দুটো প্রস্তাব রাখতে পারি ৷ হয় রাজ্য এটাকে জাতীয় জলপথকে দিয়ে দিক, আমরা কাজ করে দেব ৷ অথবা নিজেরা ভাঙন রোধের কাজ করুক ৷"
আরও পড়ুন: কুড়মি আন্দোলনের নামে রাজ্যে জাতির মধ্যে অশান্তি বাঁধাতে চায় বিজেপি: মমতা
শুভেন্দুর কথায়, গঙ্গা ভাঙন রোধের কাজ করার কথা বলেই তো সমর মুখোপাধ্যায় ভোট নিয়েছেন ৷ এই কথা বলেই সাবিত্রী মিত্র ভোট নিয়েছেন ৷ দু’বছর তো হয়ে গেল৷ কাজ কবে করবেন ? কাজ তো তাঁদেরই করতে হবে ৷ ভোট তো তাঁরাই নিয়েছেন ৷ বিজেপি হেরেছে ৷ ঝাড়গ্রামে তাঁর কনভয়ে হামলার ঘটনার সম্পূর্ণ দায় বিজেপির কাঁধে চাপিয়েছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এনিয়ে প্রশ্ন করা হলে শুভেন্দুর জবাব,“ও তো পিসির ভাইপো ৷ ওকে আক্রমণ করতে যাবে কেন ! আমরা অমন মশা-মাছি মেরে হাত গন্ধ করতে চাই না ৷ ও তো একটা স্ট্যাম্প মারা চোর৷ একটা ডাকাত ৷”