মালদা, 24 অক্টোবর: “সিত্রাং আসায় তৃণমূলের অন্দরে খুশির হাওয়া । ত্রিপল পাওয়া যাবে । ত্রিপল চোরদের আনন্দের সময় এখন ।” মালদায় কালীপুজোর (Kali Puja) উদ্বোধনে এসে মন্তব্য বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) ।
আজ, সোমবার বিকেলে মালদায় কালীপুজোর উদ্বোধনে আসেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার । বিকেল চারটে নাগাদ বিজেপির জেলা কার্যালয় শ্যামাপ্রসাদ ভবনে পৌঁছে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি ।
সেখানে সুকান্ত বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মানবিকতার কথা বলে ক্ষমতায় এসেছেন । কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর মানবিকতা আমরা দেখতে পাচ্ছি না । চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে যেভাবে অমানবিক আচরণ হয়েছে, তাতে লজ্জায় আমরা বিজয়া সম্মিলনী পর্যন্ত করতে পারছি না । বাংলার মানুষ শিক্ষাকে সবসময় অন্য স্থান দিয়েছে । সেখানে বাঙালির সরকার হবু শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে এই আচরণ করবে আমরা স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি ।”
সিত্রাং ইস্যুতে তৃণমূলকে (Trinamool Congress) কটাক্ষ করে সুকান্ত বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বাড়ি থেকে হোক কিংবা অন্য কোথাও থেকে সিত্রাং মনিটরিং করুন । মুখ্যমন্ত্রীর উচিত ছিল প্রশাসনকে আগে থেকে সতর্ক করে মাটিতে নামিয়ে আনা । তবে সিত্রাংয়ের ধাক্কা আমাদের এদিকে খুব একটা পড়বে বলে এখনও বোঝা যাচ্ছে না । শোনা যাচ্ছে বেশিরভাগটা বাংলাদেশের দিকে চলে যাবে । তবে তৃণমূলের অন্দরে এখন খুশির হাওয়া । ত্রিপল পাওয়া যাবে । ত্রিপল চোরদের আনন্দের সময় এখন ।”
রাজ্য সভাপতির পদ নিয়ে সুকান্তর বক্তব্য, “শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) নতুন রাজ্য সভাপতি হলে দিলীপবাবু দু’হাত তুলে স্বাগত জানাবেন, এমন কথা আমি এখনও পর্যন্ত শুনিনি । তবে উনি বলেছেন, দল যে সিদ্ধান্ত নেবে সেই সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নেব । যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তা দল নেবে ।”
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Elections 2023) নিয়ে সুকান্তবাবু বলেন, “আমরা অনেক আগে থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছি । পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ আর সিভিক ভলান্টিয়ার দিয়ে ভোট হলেও বুথ আমরা রক্ষা করব । পুলিশ তৃণমূলের হয়ে খেলবে, আমরা লড়াই করব । গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল অনেক আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিল । কিন্তু এবছর তা হবে না । কারণ, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমাদের সাংসদ-বিধায়ক ছিলেন না । এবার আমাদের সাংসদ-বিধায়করা রাস্তায় নামবেন । যেখানে আমাদের শক্তি আছে, সেখানে আমরা তৃণমূলকে রুখে দেব ।”
সৌমিত্র খানের বেসুরো হওয়ার প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতির মন্তব্য, “মাঝে মাঝে মানুষের সুরে খানিকটা গন্ডগোল হয় । তবে আমার মনে হয় খুব তাড়াতাড়ি সুর ঠিক হয়ে যাবে ৷ এর আগে যখন দিলীপবাবু সভাপতি ছিলেন, তখন তিনি বলেছিলেন, সভাপতি 50 শতাংশ কথা বোঝেন না । শুভেন্দুদার সম্পর্কের উনি অনেক কিছু বলেছেন । মাঝেমধ্যে উনি এসব বলেন । আসলে উনি আমাদের লড়াকু নেতা । মাঝেমধ্যে উনি একটু বেশি লড়াকু হয়ে পড়েন ।”
আরও পড়ুন: কালীপুজোর রাতে বাড়ি থেকেই বিপর্যয়ের নজরদারিতে মুখ্যমন্ত্রী