মালদা, ১০ মে : এক ছাত্রের ভরতি বাতিলের দাবিতে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি গেটে তালা মারল ছাত্ররা ৷ আজ বিকেল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরেই আটকে রয়েছেন শিক্ষক, আধিকারিক সহ বিশ্ববিদ্যালয় কর্মীরা ৷ ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্পেক্টর অফ কলেজেসের ঘরের ভিতরে মৌন অবস্থান বিক্ষোভ করে।
ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন বিভাগের এক ছাত্রের ভরতি বাতিলের দাবিতে তারা বিক্ষোভ করেছে ৷ বিক্ষোভের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরেই আটকে পড়েছেন অধ্যাপক - অধ্যাপিকা, আধিকারিক, অশিক্ষক কর্মী সহ বেশ কিছু পড়ুয়াও ।
সমস্যার মূলে থাকা ছাত্রটি ফু়ড অ্যান্ড নিউট্রিশন বিভাগে ভরতি হয়েছিল । পরে ভেরিফিকেশনের সময় তাঁর ভরতি বাতিল হয়ে যায় ৷ কারণ, এই ধরনের বিষয়গুলির বেস সাবজেক্ট, যেমন বাংলা, ইংরেজি, ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি প্রভৃতি যে বিষয়ে অনার্স রয়েছে, সেই বিষয়ে আরেকটি কোর্স করতে হয়৷ কোর্স করার পর ফু়ড অ্যান্ড নিউট্রিশন, লাইব্রেরি ইনফরমেশন, মাস কমিউনিকেশন, জার্নালিজমের মতো বিষয় নিয়ে স্নাতকোত্তরে পড়া যায়৷
ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশনে ভরতির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে একটি বিষয়ের তালিকা দেওয়া হয়েছিল৷ সেই তালিকায় জু-লজি বিষয়টি ছিল না৷ যে ছাত্রের ভরতি নিয়ে প্রশ্ন, সে জু-লজি নিয়ে স্নাতক। সে বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করে জানায়, জু-লজি , ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশনের অ্যালায়েড সাবজেক্ট৷ তাই তাঁকে ভরতি নেওয়া হোক৷
তার আবেদন বিশ্ববিদ্যালয়ের এগজিকিউটিভ কাউন্সিলেও নিয়ে যাওয়া হয়। EC তাকে ভরতির সুযোগ দেয়৷ অন্যরা বলে, ওই ছাত্রকে অন্যায়ভাবে ভরতি নেওয়া হচ্ছে । ভরতি প্রক্রিয়া বাতিলের দাবি ওঠে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী সোমবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তরের প্রথম সেমেস্টার শুরু হতে চলেছে৷ আজকের ছাত্র বিক্ষোভের জেরে সেই পরীক্ষা স্থগিত করা হতে পারে। বর্তমানে উপাচার্য ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ছুটিতে রয়েছেন। আগামী সোমবার তাঁরা দায়িত্বে যোগ দেবেন।
তাঁদের অবর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন ইন্সপেক্টর অফ কলেজেস অপূর্ব চক্রবর্তী৷ সেকারণেই ছাত্ররা তাঁর ঘরে অবস্থান বিক্ষোভ করছে৷ কিন্তু ছাত্রদের দাবি এখনই মেনে নেওয়া অন্যান্যদের পক্ষে সম্ভব নয়৷ এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের একাংশ চাইছে, ছাত্রদের সঙ্গে উপাচার্যের বৈঠকের পরেই পরীক্ষা শুরু করা হোক৷
বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা নিজেদের দাবিতে অনড়, দাবী না মেটা পর্যন্ত তারা বিক্ষোভ করবে বলে জানা গেছে। তবে এখনও ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটায়নি৷ এমন কী স্লোগানও দেওয়া হয়নি । শান্তিপূর্ণভাবেই চলছে অবস্থান ।