মালদা, ২৫ নভেম্বর : পড়াশোনার ইচ্ছা থাকলেও পরিবারে আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় আর পড়া হয়নি ৷ ইচ্ছে ছিল, ভবিষ্যতে নার্স হবে ৷ কিন্তু অভাবের সংসারে মেয়ের নার্সিং পড়ার খরচ দিতে পারবেন না বলে মেয়েকে জানিয়ে দেন বাবা ৷ আর তাতেই মানসিক অবসাদে আত্মহননের পথ বেছে নেন মেয়ে, বলে দাবি পরিবারের ৷ দুঃখজনক ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লকের লক্ষ্মীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাউলটোলা গ্রামে ৷
মৃতার নাম জয়শ্রী দাস ৷ বয়স ১৯ বছর ৷ বাবা কৈলাস দাস পেশায় দিনমজুর ৷ জয়শ্রীর ছোটোবেলা থেকেই লেখাপড়ায় আগ্রহ ছিল ৷ বরাবরই রেজাল্ট ভালো হত তার ৷ বৈষ্ণবনগরের সাউথ মালদা কলেজে কলা বিভাগে প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিল সে ৷ কিছুদিন ধরেই জয়শ্রী বাবার কাছে বায়না ধরেছিল সে নার্সিং পড়বে ৷ কিন্তু নার্সিং পড়ার জন্য ৩-৪ লাখ টাকা খরচ হবে ৷ সেই টাকা জোগাড় করার জন্য বাবার কাছে মিনতিও করেছিল সে ৷ কিন্তু দিনমজুর বাবার পক্ষে অত টাকা জোগাড় করা সম্ভব ছিল না ।
গতকাল রাতে বাড়ির বারান্দায় জয়শ্রীর দেহ ঝুলতে দেখা যায় ৷ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷ খবর পেয়ে বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায় ।