ETV Bharat / state

চাঁচল হাসপাতালে অস্থায়ী কর্মীদের কর্মবিরতি, ব্যাহত চিকিৎসা ব্যবস্থা

অস্থায়ী কর্মীদের কর্মবিরতির জেরে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা ব্যহত ৷ হাসপাতাল থেকে রোগীদের ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বাড়ির লোকজন ৷

চাঁচল হাসপাতালে অস্থায়ী কর্মীদের কর্মবিরতি, ব্যাহত চিকিৎসা ব্যবস্থা
চাঁচল হাসপাতালে অস্থায়ী কর্মীদের কর্মবিরতি, ব্যাহত চিকিৎসা ব্যবস্থা
author img

By

Published : Feb 18, 2021, 2:21 PM IST

মালদা, 18 ফেব্রুয়ারি : বেতন বৃদ্ধি, মাসে 4 দিনের ছুটির দাবি সহ সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সংস্থার বিরুদ্ধে বেতন কেটে নেওয়ার অভিযোগ তুলে গতকাল থেকে শুরু হওয়া অস্থায়ী কর্মীদের টানা কর্মবিরতিতে নরক দশা চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ৷ এই পরিস্থিতিতে রোগীর ছুটি করিয়ে বাড়ি কিংবা অন্যত্র নিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন পরিবারের লোকজন ৷ এদিকে অস্থায়ী কর্মীদের বক্তব্য, তাঁদের বেতন কেটে নিচ্ছে বরাতপ্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থা ৷ এর কোনও সুরাহা না হলে তাঁদের কর্মবিরতি চলতে থাকবে ৷ তবে এনিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে নারাজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৷

চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে একটি ঠিকাদার সংস্থার অধীনে কাজ করেন 156 জন অস্থায়ী কর্মী ৷ হাসপাতাল সাফাইয়ের কাজেও এই কর্মীদেরই নিয়োগ করা হয় ৷ তাঁদের অভিযোগ, তাঁদের কোনও সমস্যা হলে ঠিকাদার সংস্থা কোনও গুরুত্ব দিচ্ছে না ৷ পারিবারিক কিংবা শারীরিক সমস্যায় কেউ কাজে আসতে না পারলে বেতন কেটে নেওয়া হচ্ছে ৷ অকারণেও কাটা হচ্ছে বেতন ৷ এরই প্রতিবাদে কর্মবিরতিতে নামতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা ৷ রানারাম চৌধুরি নামে এক কর্মী বলেন, “আমরা 4-5 বছর ধরে এই ঠিকাদার সংস্থার অধীনে হাসপাতালে কাজ করছি ৷ কিন্তু কোনও কারণ ছাড়াই ওই সংস্থা আমাদের মাসিক বেতন থেকে মোটা অঙ্কের টাকা কেটে নেয় ৷ এমনিতেই আমরা মাসে সাত থেকে সাড়ে সাত হাজার টাকা রোজগার করি ৷ তারমধ্যে টাকা কেটে নেওয়া হলে আমাদের সংসার কীভাবে চলবে ? গত মাসে প্রত্যেকের বেতনে 1 হাজার থেকে শুরু করে 3 হাজার টাকা কাটা হয়েছে ৷ কেন সেই টাকা কাটা হল, তা আমাদের জানানো হয়নি ৷ এর আগে এনিয়ে আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসি ৷ কর্তৃপক্ষ কথা দিয়েছিল, সমস্যার সমাধান করে দেওয়া হবে ৷ কিন্তু তা হয়নি ৷ তাই গতকাল থেকে আমরা ধর্ণায় বসেছি ৷ আমাদের কর্মবিরতির জন্য রোগী ও তাদের পরিবারের লোকজনকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ৷ এতে আমরা দুঃখিত ৷ কিন্তু পেটের ভাত না জোটাতে পারলে আমরা কীভাবে কাজ করব ?"

আরও পড়ুন : ইংরেজবাজারের বিধায়কের বাড়িতে হামলা

একই বক্তব্য আরেক কর্মী নাজমিন বেগম সাফ জানান, “আমাদের মূল দাবি বেতন বৃদ্ধি এবং মাসে চার দিনের ছুটি ৷ আমরা একাধিকবার স্বাস্থ্য ভবনে জানিয়েছি ৷ কিন্তু এখনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ৷ এবার আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা কর্মবিরতি চালিয়ে যাব ৷ তাতে হাসপাতালের পরিষেবা ব্যহত হলেও আমাদের কিছু করার নেই ৷”

চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত । দেখুন ভিডিয়ো...

এদিকে অস্থায়ী কর্মীদের কর্ম বিরতিতে হাসপাতাল চত্বর কার্যত নরক দশায় পরিণত হয়েছে ৷ হাসপাতাল ভবনের ভিতরে জল জমে রয়েছে ৷ প্রতিটি ওয়ার্ডে জমতে শুরু করেছে আবর্জনা ৷ দুর্গন্ধে টেকা দায় ৷ পরিস্থিতি বুঝে অনেকেই তাদের রোগীকে ছুটি করিয়ে বাড়ি অথবা অন্য কোনও জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে ৷ তেমনই একজন চাঁচলের বাসিন্দা বাবুল সরকার ৷ তাঁর মা হাসপাতালে ভরতি ছিলেন ৷ আজ তিনি মাকে হাসপাতাল থেকে ছুটি করিয়ে বাড়ি নিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন ৷ তিনি বলেন, “হাসপাতালে একটি ঠিকাদার সংস্থার অস্থায়ী কর্মীরা নিজেদের দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেছে ৷ এতে হাসপাতালের পরিষেবায় ব্যাঘাত ঘটছে ৷ হাসপাতাল নোংরা হয়ে পড়েছে ৷ তাই আজ আমি মা’কে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছি ৷ আমাদের দাবি, আমরা যেন হাসপাতালে যথাযথ পরিষেবা পাই ৷”

মালদা, 18 ফেব্রুয়ারি : বেতন বৃদ্ধি, মাসে 4 দিনের ছুটির দাবি সহ সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সংস্থার বিরুদ্ধে বেতন কেটে নেওয়ার অভিযোগ তুলে গতকাল থেকে শুরু হওয়া অস্থায়ী কর্মীদের টানা কর্মবিরতিতে নরক দশা চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ৷ এই পরিস্থিতিতে রোগীর ছুটি করিয়ে বাড়ি কিংবা অন্যত্র নিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন পরিবারের লোকজন ৷ এদিকে অস্থায়ী কর্মীদের বক্তব্য, তাঁদের বেতন কেটে নিচ্ছে বরাতপ্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থা ৷ এর কোনও সুরাহা না হলে তাঁদের কর্মবিরতি চলতে থাকবে ৷ তবে এনিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে নারাজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৷

চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে একটি ঠিকাদার সংস্থার অধীনে কাজ করেন 156 জন অস্থায়ী কর্মী ৷ হাসপাতাল সাফাইয়ের কাজেও এই কর্মীদেরই নিয়োগ করা হয় ৷ তাঁদের অভিযোগ, তাঁদের কোনও সমস্যা হলে ঠিকাদার সংস্থা কোনও গুরুত্ব দিচ্ছে না ৷ পারিবারিক কিংবা শারীরিক সমস্যায় কেউ কাজে আসতে না পারলে বেতন কেটে নেওয়া হচ্ছে ৷ অকারণেও কাটা হচ্ছে বেতন ৷ এরই প্রতিবাদে কর্মবিরতিতে নামতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা ৷ রানারাম চৌধুরি নামে এক কর্মী বলেন, “আমরা 4-5 বছর ধরে এই ঠিকাদার সংস্থার অধীনে হাসপাতালে কাজ করছি ৷ কিন্তু কোনও কারণ ছাড়াই ওই সংস্থা আমাদের মাসিক বেতন থেকে মোটা অঙ্কের টাকা কেটে নেয় ৷ এমনিতেই আমরা মাসে সাত থেকে সাড়ে সাত হাজার টাকা রোজগার করি ৷ তারমধ্যে টাকা কেটে নেওয়া হলে আমাদের সংসার কীভাবে চলবে ? গত মাসে প্রত্যেকের বেতনে 1 হাজার থেকে শুরু করে 3 হাজার টাকা কাটা হয়েছে ৷ কেন সেই টাকা কাটা হল, তা আমাদের জানানো হয়নি ৷ এর আগে এনিয়ে আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসি ৷ কর্তৃপক্ষ কথা দিয়েছিল, সমস্যার সমাধান করে দেওয়া হবে ৷ কিন্তু তা হয়নি ৷ তাই গতকাল থেকে আমরা ধর্ণায় বসেছি ৷ আমাদের কর্মবিরতির জন্য রোগী ও তাদের পরিবারের লোকজনকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ৷ এতে আমরা দুঃখিত ৷ কিন্তু পেটের ভাত না জোটাতে পারলে আমরা কীভাবে কাজ করব ?"

আরও পড়ুন : ইংরেজবাজারের বিধায়কের বাড়িতে হামলা

একই বক্তব্য আরেক কর্মী নাজমিন বেগম সাফ জানান, “আমাদের মূল দাবি বেতন বৃদ্ধি এবং মাসে চার দিনের ছুটি ৷ আমরা একাধিকবার স্বাস্থ্য ভবনে জানিয়েছি ৷ কিন্তু এখনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ৷ এবার আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা কর্মবিরতি চালিয়ে যাব ৷ তাতে হাসপাতালের পরিষেবা ব্যহত হলেও আমাদের কিছু করার নেই ৷”

চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত । দেখুন ভিডিয়ো...

এদিকে অস্থায়ী কর্মীদের কর্ম বিরতিতে হাসপাতাল চত্বর কার্যত নরক দশায় পরিণত হয়েছে ৷ হাসপাতাল ভবনের ভিতরে জল জমে রয়েছে ৷ প্রতিটি ওয়ার্ডে জমতে শুরু করেছে আবর্জনা ৷ দুর্গন্ধে টেকা দায় ৷ পরিস্থিতি বুঝে অনেকেই তাদের রোগীকে ছুটি করিয়ে বাড়ি অথবা অন্য কোনও জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে ৷ তেমনই একজন চাঁচলের বাসিন্দা বাবুল সরকার ৷ তাঁর মা হাসপাতালে ভরতি ছিলেন ৷ আজ তিনি মাকে হাসপাতাল থেকে ছুটি করিয়ে বাড়ি নিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন ৷ তিনি বলেন, “হাসপাতালে একটি ঠিকাদার সংস্থার অস্থায়ী কর্মীরা নিজেদের দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেছে ৷ এতে হাসপাতালের পরিষেবায় ব্যাঘাত ঘটছে ৷ হাসপাতাল নোংরা হয়ে পড়েছে ৷ তাই আজ আমি মা’কে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছি ৷ আমাদের দাবি, আমরা যেন হাসপাতালে যথাযথ পরিষেবা পাই ৷”

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.