ETV Bharat / state

Malda Silk Cultivation : কেন্দ্রের পর এবার জেলার রেশম শিল্পে নজর রাজ্য সরকারের

author img

By

Published : May 28, 2022, 10:44 PM IST

রাজ্য সরকারও মালদা জেলার রেশমচাষের দিকে নজর দিয়েছে (Malda Silk Cultivation) । দলের সদস্যরা রেশমচাষি ও ডিম উৎপাদক সংস্থাগুলির সঙ্গে আলোচনাও করেছেন ৷

Malda Silk Cultivation
কেন্দ্রের পর এবার জেলার রেশম শিল্পে নজর রাজ্য সরকারের

মালদা, 28 মে : সম্প্রতি মালদায় দু'দফায় জেলার রেশমচাষ পরিদর্শন করে গিয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল । প্রথম দলে ছিলেন নীতি আয়োগের প্রতিনিধিও । এবার রাজ্য সরকারও জেলার রেশমচাষের দিকে নজর দিয়েছে । রাজ্যের একটি প্রতিনিধি দল রেশম চাষ পরিদর্শনের পাশাপাশি রেশম কীটের ডিম উৎপাদনের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে (Malda Silk Cultivation) । ওই দলের সদস্যরা রেশমচাষি ও ডিম উৎপাদক সংস্থাগুলির সঙ্গে আলোচনাও করেছেন । দুই সরকারের এহেন উদ্যোগ জেলার রেশমচাষি ও এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত মানুষজনকে উৎসাহিত করছে ।

মালদা জেলায় প্রায় 21 হাজার একর জমিতে তুঁতের চাষ করা হয় । জেলার প্রায় প্রতিটি ব্লকে চাষ হলেও সবচেয়ে বেশি রেশম উৎপাদন হয় কালিয়াচকের তিনটি ব্লকে । গোটা জেলায় এই চাষের সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িয়ে রয়েছেন অন্তত পাঁচ লাখ মানুষ । প্রায় 61 হাজার পরিবার এই চাষ থেকেই গ্রাসাচ্ছাদন করে থাকে । এই জেলায় প্রতিবছর রেশম চাষের ছ'টি মরশুম । বছরে গড়ে রেশম সুতো উৎপাদন হয় প্রায় 1500 মেট্রিকটন । এই রেশম সুতো মূলত উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় রফতানি করা হয় । কালিয়াচকে পাইকারি রেশম বাজার রয়েছে । চাষিদের দীর্ঘদিনের দাবি, এই জেলায় রেশম সুতো থেকে বস্ত্র তৈরির কারখানা করা হোক । তাতে জেলার রেশমচাষের পরিধি আরও বাড়বে ।

কেন্দ্রের পর এবার জেলার রেশম শিল্পে নজর রাজ্য সরকারের

এই পরিস্থিতিতে চলতি মাসেই কেন্দ্রের তরফে দু'বার জেলার রেশমচাষ পরিদর্শন করা হয়েছে । পরিদর্শকরা রেশমচাষি ও সুতো তৈরির কারিগরদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেন । তবে তাঁরা এনিয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কোনও কথা বলেননি । এবার রাজ্য রেশম বিভাগের একটি প্রতিনিধি দলও মালদার রেশম শিল্পের হাল হকিকত খতিয়ে দেখল । ওই দলে ছিলেন কমিশনার অফ সেরিকালচার দীপিকা সংজ্ঞানাথ, অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি বিশ্বজিৎ মোদক, দফতরের হেড কোয়ার্টারের জয়েন্ট ডিরেক্টর অনাথনাথ মণ্ডল, উত্তরবঙ্গের জয়েন্ট ডিরেক্টর লাকপা শেরপা ও ডেপুটি ডিরেক্টর সুপ্রতিম দাস । জেলার রেশম শিল্পের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁরা রেশম ভবনে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও করেন । বৈঠকে রেশমচাষি, ডিম উৎপাদক ও রেশম ব্যবসায়ীরাও অংশ নেন ।

আরও পড়ুন : কালবৈশাখীর প্রভাব এবার মালদার আম রফতানিতে

এনিয়ে ডিম সরবরাহকারী সংগঠনের সম্পাদক প্রদ্যোৎকুমার মণ্ডল বলেন, "কমিশনারের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হল । আমরা যাতে উন্নত রেশমচাষিদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য উন্নতমানের পলুপোকার ডিম পাই, তার জন্য তাঁকে আবেদন জানিয়েছি । সংগঠনের তরফে তাঁকে আরও কিছু প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে । তিনি আমাদের যথাসাধ্য সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন ।"

মালদা, 28 মে : সম্প্রতি মালদায় দু'দফায় জেলার রেশমচাষ পরিদর্শন করে গিয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল । প্রথম দলে ছিলেন নীতি আয়োগের প্রতিনিধিও । এবার রাজ্য সরকারও জেলার রেশমচাষের দিকে নজর দিয়েছে । রাজ্যের একটি প্রতিনিধি দল রেশম চাষ পরিদর্শনের পাশাপাশি রেশম কীটের ডিম উৎপাদনের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে (Malda Silk Cultivation) । ওই দলের সদস্যরা রেশমচাষি ও ডিম উৎপাদক সংস্থাগুলির সঙ্গে আলোচনাও করেছেন । দুই সরকারের এহেন উদ্যোগ জেলার রেশমচাষি ও এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত মানুষজনকে উৎসাহিত করছে ।

মালদা জেলায় প্রায় 21 হাজার একর জমিতে তুঁতের চাষ করা হয় । জেলার প্রায় প্রতিটি ব্লকে চাষ হলেও সবচেয়ে বেশি রেশম উৎপাদন হয় কালিয়াচকের তিনটি ব্লকে । গোটা জেলায় এই চাষের সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িয়ে রয়েছেন অন্তত পাঁচ লাখ মানুষ । প্রায় 61 হাজার পরিবার এই চাষ থেকেই গ্রাসাচ্ছাদন করে থাকে । এই জেলায় প্রতিবছর রেশম চাষের ছ'টি মরশুম । বছরে গড়ে রেশম সুতো উৎপাদন হয় প্রায় 1500 মেট্রিকটন । এই রেশম সুতো মূলত উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় রফতানি করা হয় । কালিয়াচকে পাইকারি রেশম বাজার রয়েছে । চাষিদের দীর্ঘদিনের দাবি, এই জেলায় রেশম সুতো থেকে বস্ত্র তৈরির কারখানা করা হোক । তাতে জেলার রেশমচাষের পরিধি আরও বাড়বে ।

কেন্দ্রের পর এবার জেলার রেশম শিল্পে নজর রাজ্য সরকারের

এই পরিস্থিতিতে চলতি মাসেই কেন্দ্রের তরফে দু'বার জেলার রেশমচাষ পরিদর্শন করা হয়েছে । পরিদর্শকরা রেশমচাষি ও সুতো তৈরির কারিগরদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেন । তবে তাঁরা এনিয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কোনও কথা বলেননি । এবার রাজ্য রেশম বিভাগের একটি প্রতিনিধি দলও মালদার রেশম শিল্পের হাল হকিকত খতিয়ে দেখল । ওই দলে ছিলেন কমিশনার অফ সেরিকালচার দীপিকা সংজ্ঞানাথ, অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি বিশ্বজিৎ মোদক, দফতরের হেড কোয়ার্টারের জয়েন্ট ডিরেক্টর অনাথনাথ মণ্ডল, উত্তরবঙ্গের জয়েন্ট ডিরেক্টর লাকপা শেরপা ও ডেপুটি ডিরেক্টর সুপ্রতিম দাস । জেলার রেশম শিল্পের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁরা রেশম ভবনে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও করেন । বৈঠকে রেশমচাষি, ডিম উৎপাদক ও রেশম ব্যবসায়ীরাও অংশ নেন ।

আরও পড়ুন : কালবৈশাখীর প্রভাব এবার মালদার আম রফতানিতে

এনিয়ে ডিম সরবরাহকারী সংগঠনের সম্পাদক প্রদ্যোৎকুমার মণ্ডল বলেন, "কমিশনারের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হল । আমরা যাতে উন্নত রেশমচাষিদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য উন্নতমানের পলুপোকার ডিম পাই, তার জন্য তাঁকে আবেদন জানিয়েছি । সংগঠনের তরফে তাঁকে আরও কিছু প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে । তিনি আমাদের যথাসাধ্য সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.