মালদা, 25 এপ্রিল: কালিয়াগঞ্জের ঘটনায় শিক্ষা হয়েছে অনেকটাই ৷ তাই কালিয়াচকের ঘটনায় দেরি করতে রাজি নয় রাজ্য মহিলা কমিশন ৷ মঙ্গলবার সকালে কালিয়াচক 1 নম্বর ব্লকের আকন্দবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উজিরপুর গ্রামের ঝিঙেখেত থেকে নাবালিকার দেহ উদ্ধারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ সুপারের কাছে রিপোর্ট তলব করলেন রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। সেই রিপোর্ট পেলে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি বুধবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সঙ্গে নিহত কিশোরীর পরিবারের সঙ্গেও দেখা করতে চলেছেন তিনি।
গতকালই মালদা জেলা সফরে একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে এসেছেন রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন। তাঁর উপস্থিতিতেই কালিয়াচকের ইন্দো-বাংলা সীমান্তের গ্রাম থেকে 15 বছরের কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। গাজোল, কালিয়াগঞ্জের পর কালিয়াচকের ঘটনায় গৌড়বঙ্গে নারী নিরাপত্তা নিয়ে উঠে গিয়েছে বড়সড় প্রশ্ন। এ নিয়ে রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "ঘটনাচক্রে আমি এই মুহূর্তে মালদায় রয়েছি। আমার কাছেও এখনই এই মর্মান্তিক খবর এসে পৌঁছল। তবে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ বা গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে কি না, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। পুলিশ সুপারকে রিপোর্ট তৈরি করে পাঠাতে বলা হয়েছে।"
আরও পড়ুন: কালিয়াচকে নাবালিকার দেহ উদ্ধারে ধর্ষণের পর খুনের অভিযোগ, তদন্তে পুলিশ
তিনি আরও বলেন, "রিপোর্ট পেলেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেহেতু আমি এখন মালদায় রয়েছি, তাই আগামিকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও পরিবারের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করছি।" গাজোলের পর কালিয়াগঞ্জ, এখন কালিয়াচক, রাজ্যের নারী নিরাপত্তা ঠিক কোন জায়গায় রয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তরে লীনাদেবী বলেন, "পুরোটাই অন্ধকারে তা আমি মালদায় দাঁড়িয়ে বলতে পারব না। কারণ এরকম অনেক আলোর খোঁজও আছে ৷ তবে যে কোনও খুন, নির্যাতন, ধর্ষণই অন্যায়। এসব ঘটনা ঘটা উচিৎ না-থাকলেও ঘটে যায়। আমরাও চাইছি নারীদের নিরাপত্তার জায়গা আরও নিশ্চিত করতে। এই ধরনের ঘটনা যে একবারে ঘটবে না তা দায়িত্ব নিয়ে বলা যায় না ৷ তবে এই ধরনের ঘটনা যাতে দিন দিন কমে, আমরা তার চেষ্টা করে যাচ্ছি।"