মালদা, 23 মে : জামাইষষ্ঠী আগে শোকের ছায়া ৷ মামা শ্বশুরের বাড়িতে বেড়াতে এসে আত্মঘাতী জামাই ৷ শৌচাগারে গলায় গামছার ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি ৷ মৃতের নাম রকি সিংহ (34) ৷ মঙ্গলবার পুরাতন মালদার নতুনপল্লি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে ৷ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে মালদা থানার পুলিশ ৷ তবে কী কারণে আত্মহত্যা তা সঠিকভাবে জানা যায়নি ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ৷
পরিবার সূত্রে খবর, মৃতের বাড়ি হবিবপুর ব্লকের ঋষিপুর গ্রামে ৷ পেশায় রাজমিস্ত্রি ৷ পরিবারে স্ত্রী দেবী সিংহ ছাড়াও রয়েছে দুই মেয়ে ও এক ছেলে ৷ কালীপুজো উপলক্ষে দিন পাঁচেক আগে সপরিবারে পুরাতন মালদার নতুন পল্লিতে মামা-শ্বশুর শ্যামসুন্দর সাহার বাড়ি এসেছিলেন রকি ৷ প্রতিদিন মদ্যপানের নেশা ছিল তাঁর ৷ সোমবার রাতেও মদ্যপান করেন ৷ এরপর রাতের খাবার খেয়ে শৌচাগারে যান ৷ সেখানেই গলায় গামছার ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যা করেছে ৷
এদিকে ঘণ্টা দেড়েক পেরিয়ে গেলেও স্বামী বাথরুম থেকে না বেরোনোয় স্ত্রী-র সন্দেহ হয় ৷ তিনি বাথরুমের সামনে ডাকাডাকি শুরু করেন ৷ সাড়াশব্দ না পাওয়ায় স্ত্রী দেবী সিংহ পরিবারে লোকজনকে ডাকেন ৷ তাঁরা দরজা ভেঙে রকিকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান ৷ তড়িঘড়ি রকিকে স্থানীয় মৌলপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওায় হলে চিকিৎসকরা রকিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷
আরও পড়ুন: প্রেমিকাকে ভিডিয়ো কল করে আত্মঘাতী তরুণ
রকির আত্মঘাতী হওয়ার কারণ নিয়ে পরিবারের সদস্যরা কিছু বলতে চাননি ৷ তবে মৃতের স্ত্রী দেবী সিংহ জানান, "মদ খেয়ে গতকাল বাড়ি ফিরেছিল ৷ সঙ্গে মাছও নিয়ে এসেছিল ৷ কোনও ঝগড়াঝাটি হয়নি ৷ রাতে ভাত খেয়ে শৌচাগারে যায় ৷ দেড় ঘণ্টা পরও বাথরুম থেকে না বেরোনোয় আমার সন্দেহ হয় ৷ আমি ভেবেছিলাম, নেশার ঝোঁকে হয়তো বাথরুমে পড়ে গিয়েছে ৷ ডাকাডাকি করলেও সাড়া দেয়নি ৷ শেষ পর্যন্ত দরজা ভেঙে দেখি এই অবস্থা ৷"
স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বজিৎ হালদার ঘটনা প্রসঙ্গে জানান, সোমবার রাত একটা নাগাদ ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে ৷ তবে স্বামী-স্ত্রীর বিবাদ থেকেও এমন ঘটতে পারে বলে তিনি মনে করছেন ৷ এদিকে, মালদা থানার পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় পক্ষ থেকে এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি মৃতের পরিবারের ৷ আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে ৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে ৷