মালদা, 23 মে : ভোট মিটতেই মোহভঙ্গ ৷ তালিকাটা বাড়ছে ৷ গতকাল সোনালি গুহর পর আজ সরলা মুর্মু ৷ দলে থেকে কাজ করা যাচ্ছিল না জানিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন ৷ ভোটের পর সেই পুরানো দলেই যোগ দেওয়ার খোলা আর্জি জানালেন মালদা জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি সরলা মুর্মু ৷ এখন তাঁর মুখে দিদির উন্নয়নের জয়গান ৷
নির্বাচনের আগে দলীয় প্রার্থী হতে না পেরে তৃণমূল ছেড়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিনের ছায়াসঙ্গী সোনালি গুহ ৷ একই কারণে তৃণমূল ত্যাগ করেন উত্তর দিনাজপুরের প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি ও ইটাহার কেন্দ্র থেকে একাধিকবারের জয়ী বিধায়ক অমল আচার্য ৷ কিন্তু সরলা মুর্মুকে প্রার্থী করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো ৷ তবে তাঁর পছন্দের মালদা কেন্দ্রের পরিবর্তে প্রার্থী করা হয়েছিল হবিবপুর কেন্দ্র থেকে ৷ পছন্দ হয়নি সরলার ৷ কিছুটা অভিমান আর স্রোতে গা ভাসিয়ে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে ৷ জেলায় ফিরে এসে জানান, তৃণমূলে থেকে কাজ করা সম্ভব হচ্ছিল না ৷ তাই তাঁর বিজেপি যাত্রা ৷
একুশের ভোটে রাজ্যে পর্যদুস্ত হয়েছে গেরুয়া শিবির ৷ ফল বেরোনোর পর থেকেই দল ছেড়ে যাওয়া নেতা-নেত্রীদের ফেরার আবেদন জমা পড়ছে তৃণমূলে ৷ সেই তালিকায় নাম লেখালেন সরলাও ৷ বলছেন বিজেপিতে গিয়ে ভুল করেছিলেন ৷ পুরানো দলে ফেরার আর্জি জানিয়ে বললেন, "এতদিন তৃণমূলটাই করে এসেছি ৷ এলাকায় নেতৃত্ব দিতাম ৷ একাধিক পদেও ছিলাম ৷ বিজেপিতে যোগ দেওয়াটা আমার ভুল হয়েছিল ৷ যাঁরা রাগ, অভিমান করে দল ছেড়ে চলে গিয়েছেন তাঁদের দলে ফেরার জন্য দিদি ইতিমধ্যে একটা বার্তা দিয়েছেন ৷ দিদির ডাকে সাড়া দিয়ে আমি পুরানো দলে ফেরার আবেদন জানাচ্ছি ৷ মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হলে আমি তাতে তৃণমূলের হয়েই অংশ নেব ৷"
আরও পড়ুন : শুভেন্দুকে অভিশাপ দিয়ে দিন কাটছে ? বেসুরো স্বীকারোক্তি ফর্মে প্রশ্ন দেবাংশুর
এনিয়ে পুরাতন মালদা শহর তৃণমূলের সভাপতি বিভূতিভূষণ ঘোষ প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেছেন, "অনেক সুবিধে পাওয়া সত্ত্বেও সরলা মুর্মু ভোটের মুখে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন ৷ দিদি তাঁকে হবিবপুর কেন্দ্রের প্রার্থীও করেছিলেন ৷ শুনছি তিনি আবার দলে ফিরতে চাইছেন ৷ তবে এনিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই ৷ দলের জেলা সভানেত্রী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই এব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন ৷"
জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নূরও বিষয়টি তৃণমূল সুপ্রিমার উপর ছেড়ে দিয়েছেন ৷ তিনি জানিয়েছেন, এব্যাপারে তাঁর কিছুই বলার নেই ৷ যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেবেন ৷