মালদা, 25 ডিসেম্বর: কার্নিভ্যালে ছন্দপতন ৷ বড়দিনে চাঁচলে সোনার দোকানে হানা দিল পাঁচজনের সশস্ত্র ডাকাত দল ৷ সব মিলিয়ে মিনিট সাতেকের অপারেশনে ফাঁকা করে দিল দোকান ৷ পালানোর সময় গুলি চালিয়ে উপস্থিত লোকজনকে ভয়ও দেখায় তারা ৷ উৎসবের রাতে এই ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে চাঁচলজুড়ে ৷ খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় চাঁচল থানার পুলিশ ৷ এই মুহূর্তে সেখানে তদন্ত চালাচ্ছেন চাঁচলের এসডিপিও শুভেন্দু মণ্ডল ও চাঁচল থানার আইসি পূর্ণেন্দুকুমার কুণ্ডু ৷ তাঁরা এনিয়ে এখনও কিছু না-জানালেও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় বিহারের ডাকাত দল জড়িত ৷ প্রাথমিক তদন্তে তারই প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ ৷
জানা যায়, চাঁচল সদর বাজারের একটি বড় সোনার দোকানে হানা দেয় পাঁচজনের ডাকাত দল ৷ তাদের মুখে ছিল মাস্ক, মাথায় হেলমেট ৷ স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, তাদের সবার হাতে পিস্তল ছিল ৷ ওই দোকানের ভিতর মিনিট সাতেক ছিল তারা ৷ তার মধ্যেই ফাঁকা করে দেয় দোকানের যাবতীয় অলঙ্কার ৷ এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্টভাবে কিছু না-জানা গেলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এক কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে অনুমান করছেন সবাই ৷ চাঁচল এলাকায় পরপর ডাকাতির ঘটনায় পুলিশি নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ৷
এদিনও ডাকাতির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে তাদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা ৷ স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য, ব্যবসায়ী অমিতেশ পাণ্ডে বলেন, "ওই সোনার দোকানে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ৷ দোকানে থাকা সমস্ত অলঙ্কার ডাকাত দল লুট করে পালিয়েছে ৷ দোকানের কর্মীদের মারধরও করা হয়েছে ৷ গোটা ঘটনা সিসিটিভির ফুটেজে ধরা পড়েছে ৷ আশা করছি, পুলিশ দ্রুত দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতে সক্ষম হবে ৷"
চাঁচল ব্যবসায়ী সংগঠনের সভাপতি প্রাণগোপাল পোদ্দার বলেন, "ভরসন্ধেয় এভাবে ডাকাতদল একে মাত্র 10 মিনিটের মধ্যে এত বড় ডাকাতি করে চলে গেল ৷ এমন ঘটনা সত্যিই উদ্বেগের ৷ মানুষ পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে ৷ আমরাও চাই, চাঁচলে পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার হোক ৷ আজকের ঘটনার সমস্ত ছবি ওই দোকানের সিসিটিভির ফুটেজে মজুত রয়েছে ৷ পুলিশ দ্রুত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করুক ৷"
আরও পড়ুন: