ETV Bharat / state

লকডাউনে মালদায় বন্ধ রেলের আন্ডারপাস তৈরির কাজ - rail work

লকডাউনে বন্ধ রেলের আন্ডারপাস তৈরির কাজ। বর্ষায় লাইন ও ফ্লাইওভারের ক্ষতির আশঙ্কা।

ছবি
ছবি
author img

By

Published : Apr 30, 2020, 2:21 PM IST

মালদা, 30 এপ্রিল : লকডাউনে বন্ধ হয়ে গেছে রেলের আন্ডারপাস নির্মাণের কাজ ৷ সেই কাজ ফের কবে শুরু হবে জানে না শহরবাসী ৷ এদিকে এগিয়ে আসছে বর্ষা ৷ টানা বৃষ্টিতে মানুষের সমস্যা আরও বাড়বে বলেই মনে করছে সবাই ৷ তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে থমকে থাকা কাজ যে শুরু করা যাবে না, তা সাফ জানিয়ে দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ ৷ একই বক্তব্য ইংরেজবাজার পৌর কর্তৃপক্ষেরও ৷ অর্থাৎ এটা নিশ্চিত, কোরোনার সংক্রমণ নির্দিষ্ট সময়ে এই কাজ শেষ করতে দিচ্ছে না ৷


মালদা শহরের মধ্যে দিয়ে গেছে রেললাইন ৷ শহরের ব্যস্ততম এলাকা, রথবাড়িতে রয়েছে একটি রেলগেট ৷ প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সেই গেটে যানজট লেগেই থাকে ৷ কারণ, ওই লাইন দিয়েই সমস্ত ট্রেন চলাচল করে ৷ তাই ওই রেলগেটের নিচে একটি আন্ডারপাস নির্মাণের জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি তুলেছিলেন শহরবাসী ৷ মানুষের সেই দাবি পূরণ করতে এগিয়ে আসে ইংরেজবাজার পৌর কর্তৃপক্ষ ৷ রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেন পৌরসভার চেয়ারম্যান সহ অন্যান্যরা ৷ অবশেষে সেই কাজে সবুজ সংকেত দেয় রেলবোর্ড ৷ মাস তিনেক আগে কাজে হাত দেয় রেল ৷ বন্ধ করে দেওয়া হয় রেলগেটের দু’পাশের রাস্তা ৷ গেটের ওপারে থাকা 3, 24, 25, 28 ও 29 নম্বর ওয়ার্ডের মানুষকে ঘুরপথে শহরের ভিতরে আসতে হয় ৷ রেলের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, কাজ শেষ করতে অন্তত এক বছর লাগবে ৷ প্রথম থেকেই এলাকার লোকজন অভিযোগ জানিয়ে আসছিল, অত্যন্ত ধীরগতিতে চলছে এই কাজ ৷ ফলে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ হবে কি না তা নিয়ে মানুষের প্রশ্ন ছিলই ৷ তারই মধ্যে দেশে কোরোনা ছড়িয়ে পড়ে ৷ সংক্রমণ মোকাবিলায় ঘোষিত হয় লকডাউন ৷ এখন কাজ পুরোপুরি বন্ধ ৷ কবে ফের কাজ শুরু হবে, কেউ জানে না ৷

25 নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মনোরঞ্জন শিকদার বলেন, " তিন মাস আগে কাজ শুরু হলেও তা চলছিল খুব ঢিমেতালে ৷ লকডাউনে কাজ এখন পুরোপুরি বন্ধ ৷ আন্ডারপাস নির্মাণের জন্য সেখানে বিশাল গর্ত করা হয়েছে ৷ এগিয়ে আসছে বর্ষা ৷ টানা বৃষ্টিতে ওই গর্তে জল জমে ভয়াবহ ব্যাপার হতে পারে ৷ ঘটতে পারে দুর্ঘটনাও ৷ বিষয়টি রেল কর্তৃপক্ষের নজরে রাখা উচিত ৷ বর্ষার আগেই গর্তের কাজ শেষ করে তা ভরাট করা প্রয়োজন ৷"



পূর্ব রেলের মালদা ডিভিশনাল ম্যানেজার যতীন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, " মানুষের দাবি মেনে আমরা প্রায় তিন মাস আগে ওই কাজ শুরু করেছিলাম ৷ কাজ ঠিক গতিতেই এগোচ্ছিল ৷ কিন্তু এরই মধ্যে কোরোনা সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন ঘোষণা করা হয় ৷ এই মুহূর্তে ওই কাজ শুরু করা কিছুতেই সম্ভব নয় ৷ সব স্বাভাবিক হলেই কাজ শুরু করা যাবে ৷ নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই যাতে কাজ শেষ করা যায়, তার জন্য আমরা সবরকম চেষ্টা করব ৷"

একই কথা শোনা গিয়েছে ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষের গলাতেও ৷ তিনি বলেন, "এই মুহূর্তে ওই কাজ শুরু করা কিছুতেই সম্ভব নয় ৷ কারণ, এই কাজে প্রচুর শ্রমিকের প্রয়োজন ৷ লকডাউনের মধ্যে অত শ্রমিককে কাজে লাগালে শারীরিক দূরত্ববিধি লঙ্ঘিত হবে ৷ লকডাউন উঠে গেলে এনিয়ে রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব ৷ অন্তত গর্তের কাজ দ্রুত শেষ করার আবেদন জানাব ৷ কারণ, বর্ষার আগে গর্তের কাজ শেষ করে না বোজানো হলে রেললাইন, এমনকী ফ্লাইওভারেরও ক্ষতি হতে পারে ৷"

মালদা, 30 এপ্রিল : লকডাউনে বন্ধ হয়ে গেছে রেলের আন্ডারপাস নির্মাণের কাজ ৷ সেই কাজ ফের কবে শুরু হবে জানে না শহরবাসী ৷ এদিকে এগিয়ে আসছে বর্ষা ৷ টানা বৃষ্টিতে মানুষের সমস্যা আরও বাড়বে বলেই মনে করছে সবাই ৷ তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে থমকে থাকা কাজ যে শুরু করা যাবে না, তা সাফ জানিয়ে দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ ৷ একই বক্তব্য ইংরেজবাজার পৌর কর্তৃপক্ষেরও ৷ অর্থাৎ এটা নিশ্চিত, কোরোনার সংক্রমণ নির্দিষ্ট সময়ে এই কাজ শেষ করতে দিচ্ছে না ৷


মালদা শহরের মধ্যে দিয়ে গেছে রেললাইন ৷ শহরের ব্যস্ততম এলাকা, রথবাড়িতে রয়েছে একটি রেলগেট ৷ প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সেই গেটে যানজট লেগেই থাকে ৷ কারণ, ওই লাইন দিয়েই সমস্ত ট্রেন চলাচল করে ৷ তাই ওই রেলগেটের নিচে একটি আন্ডারপাস নির্মাণের জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি তুলেছিলেন শহরবাসী ৷ মানুষের সেই দাবি পূরণ করতে এগিয়ে আসে ইংরেজবাজার পৌর কর্তৃপক্ষ ৷ রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেন পৌরসভার চেয়ারম্যান সহ অন্যান্যরা ৷ অবশেষে সেই কাজে সবুজ সংকেত দেয় রেলবোর্ড ৷ মাস তিনেক আগে কাজে হাত দেয় রেল ৷ বন্ধ করে দেওয়া হয় রেলগেটের দু’পাশের রাস্তা ৷ গেটের ওপারে থাকা 3, 24, 25, 28 ও 29 নম্বর ওয়ার্ডের মানুষকে ঘুরপথে শহরের ভিতরে আসতে হয় ৷ রেলের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, কাজ শেষ করতে অন্তত এক বছর লাগবে ৷ প্রথম থেকেই এলাকার লোকজন অভিযোগ জানিয়ে আসছিল, অত্যন্ত ধীরগতিতে চলছে এই কাজ ৷ ফলে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ হবে কি না তা নিয়ে মানুষের প্রশ্ন ছিলই ৷ তারই মধ্যে দেশে কোরোনা ছড়িয়ে পড়ে ৷ সংক্রমণ মোকাবিলায় ঘোষিত হয় লকডাউন ৷ এখন কাজ পুরোপুরি বন্ধ ৷ কবে ফের কাজ শুরু হবে, কেউ জানে না ৷

25 নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মনোরঞ্জন শিকদার বলেন, " তিন মাস আগে কাজ শুরু হলেও তা চলছিল খুব ঢিমেতালে ৷ লকডাউনে কাজ এখন পুরোপুরি বন্ধ ৷ আন্ডারপাস নির্মাণের জন্য সেখানে বিশাল গর্ত করা হয়েছে ৷ এগিয়ে আসছে বর্ষা ৷ টানা বৃষ্টিতে ওই গর্তে জল জমে ভয়াবহ ব্যাপার হতে পারে ৷ ঘটতে পারে দুর্ঘটনাও ৷ বিষয়টি রেল কর্তৃপক্ষের নজরে রাখা উচিত ৷ বর্ষার আগেই গর্তের কাজ শেষ করে তা ভরাট করা প্রয়োজন ৷"



পূর্ব রেলের মালদা ডিভিশনাল ম্যানেজার যতীন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, " মানুষের দাবি মেনে আমরা প্রায় তিন মাস আগে ওই কাজ শুরু করেছিলাম ৷ কাজ ঠিক গতিতেই এগোচ্ছিল ৷ কিন্তু এরই মধ্যে কোরোনা সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন ঘোষণা করা হয় ৷ এই মুহূর্তে ওই কাজ শুরু করা কিছুতেই সম্ভব নয় ৷ সব স্বাভাবিক হলেই কাজ শুরু করা যাবে ৷ নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই যাতে কাজ শেষ করা যায়, তার জন্য আমরা সবরকম চেষ্টা করব ৷"

একই কথা শোনা গিয়েছে ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষের গলাতেও ৷ তিনি বলেন, "এই মুহূর্তে ওই কাজ শুরু করা কিছুতেই সম্ভব নয় ৷ কারণ, এই কাজে প্রচুর শ্রমিকের প্রয়োজন ৷ লকডাউনের মধ্যে অত শ্রমিককে কাজে লাগালে শারীরিক দূরত্ববিধি লঙ্ঘিত হবে ৷ লকডাউন উঠে গেলে এনিয়ে রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব ৷ অন্তত গর্তের কাজ দ্রুত শেষ করার আবেদন জানাব ৷ কারণ, বর্ষার আগে গর্তের কাজ শেষ করে না বোজানো হলে রেললাইন, এমনকী ফ্লাইওভারেরও ক্ষতি হতে পারে ৷"

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.