মালদা, 30 ডিসেম্বর: অযোধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর অমৃত ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনের আগেই রেল অবরোধ ৷ শনিবার দেশজুড়ে শুরু হয়েছে আদিবাসীদের রেল ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি ৷ সকাল 6টা থেকে শুরু হওয়া সেই অবরোধ এখনও চলছে ৷ প্রভাব বাংলাতেও ৷ সকাল থেকে পুরাতন মালদার আদিনা স্টেশনে আপ ও ডাউন লাইন স্তব্ধ করে দিয়েছেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন ৷
এদিকে দেশের প্রথম অমৃত ভারত এক্সপ্রেসের সূচনা ঘিরে সেজে উঠেছে মালদা টাউন রেল স্টেশনও ৷ সকাল সাড়ে 10টায় সেই ট্রেনের যাত্রা শুরুর কথা ৷ কিন্তু আদিবাসীদের এই বনধের জেরে নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন যাত্রা শুরু করতে পারবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে ৷ যদিও এখনও পর্যন্ত রেলের আধিকারিকরা নিশ্চিত করেছেন, নির্দিষ্ট সময়েই মালদা টাউন স্টেশন থেকে বেঙ্গালুরুর উদ্দেশ্যে রওনা দেবে দেশের প্রথম অমৃত ভারত এক্সপ্রেস ৷ একগুচ্ছ দাবিতে আদিবাসী সংগঠন, আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের 12 ঘণ্টা বনধের প্রভাব পড়ল মালদায় ৷
আজ সকাল থেকে পুরাতন মালদার আদিনা স্টেশনে সংগঠনের সদস্যরা রেল লাইনের ওপর বসে অবরোধ শুরু করেন ৷ অবরোধের জেরে আপ ও ডাউন দুই লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় ৷ ঘটনাস্থলে রয়েছে আরপিএফ ও জিআরপি ৷ এদিন আসানসোলেও আদিবাসীদের বনধের প্রভাব পড়ে ৷ আসানসোল রেল ডিভিশনের কালিপাহাড়ি স্টেশন অবরোধ করে আদিবাসীরা। এই অবরোধে আসানসোল বর্ধমান রুটের প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। শনিবার অন্যান্য জায়গার মতো বনধ শুরু হয়েছে পুরুলিয়া জেলাতেও । এদিন বনধের সমর্থনে আদ্রা ডিভিশনের কাঁটাডি রেল স্টেশনে মিছিল করে ওই আদিবাসী সংগঠন।
আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের উত্তরবঙ্গ জোনের সভাপতি এবং ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টির রাজ্য সভাপতি মোহন হাঁসদা বলেন, "আমরা আদিবাসী৷ আমরা প্রকৃতির পূজারি ৷ আমাদের ধর্মের নাম সারণা ধর্ম ৷ আমরা এই দেশের মূল নিবাসী ৷ অথচ এখনও কেন্দ্রীয় সরকার সারণা ধর্মের কোড দেয়নি ৷ স্বাধীনতার 75 বছর পূর্ণ হলেও আমরা সাংবিধানিক অধিকার পাইনি ৷ সেই কারণে আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি ৷ সেই আন্দোলনের কর্মসূচিতে আমরা আজ ভারত বনধের ডাক দিয়েছিলাম ৷ আজ আমরা আদিনা রেলওয়ে স্টেশনের পাশাপাশি জাতীয় সড়ক ও রাজ্য সড়ক অবরোধ করেছি ৷ গাজোল, হবিবপুর, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরেও আমাদের কর্মসূচি চলছে ৷ 12 ঘণ্টা ধরেই আমরা বনধ চালিয়ে যাব ৷"
আরও পড়ুন: