ETV Bharat / state

Quarrel Over Pig Rearing Project : বাগবিতণ্ডায় জড়ালেন পুরাতন মালদার বিডিও এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী

শূকর পালন প্রকল্প নিয়ে আদিবাসী মহিলাদের বিক্ষোভ সামলাতে গিয়ে তর্কাতর্কিতে জড়ালেন পুরাতন মালদার বিডিও এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী (Quarrel Between BDO and Panchayet Samiti Leader Over Pig Rearing Project in Old Malda) ৷ ওই প্রকল্পে সরকারের কাছ থেকে শূকরের বাচ্চার বদলে নগদ টাকা দাবি করেন আদিবাসী মহিলারা ৷ সেই দাবি না মানায় বিডিও দফতরের সামনে বিক্ষোভ চলছলি ৷ সেখানেই বিক্ষোভ ওঠাতে গিয়ে মহকুমাশাসকের সামেন তর্কাতর্কি শুরু করেন দু’জনে ৷

Malda News
Quarrel Between BDO and Panchayet Samiti Leader Over Pig Rearing Project in Old Malda
author img

By

Published : May 18, 2022, 12:06 PM IST

মালদা, 18 মে : দু’জনের আদায় কাঁচকলায় সম্পর্কের বিষয়টি জানা ছিল সবারই ৷ পারতপক্ষে দু’জন একে অন্যের ধারে কাছে ঘেষতেন না ৷ তেমন কথাবার্তাও ছিল না ৷ সম্পর্ক যা ছিল, সবই কাগজে কলমে ৷ তাঁদের একজন পুরাতন মালদার বিডিও ইরফান হাবিব, আরেকজন পুরাতন মালদা পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী মৃণালিনী মণ্ডল মাইতি ৷ গতকাল সন্ধেয় এই দু’জনকে প্রকাশ্যেই বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়তে দেখলেন কয়েকশো মানুষ ৷ তাও আবার শূকর পালন নিয়ে (Quarrel Between BDO and Panchayet Samiti Leader Over Pig Rearing Project in Old Malda) ৷ সেই দৃশ্য দেখে আড়ালে মুচকি হেসেছেন অনেকেই ৷ আবার সভ্যমহলে দুই পদাধিকারীর এমন আচরণের সমালোচনাও শুরু হয়েছে ৷

শুনতে অবাক লাগলেও ঘটনার সূত্রপাত শূকর নিয়ে ৷ তফসিলি উপজাতিভুক্ত মহিলাদের শূকর পালনের জন্য একটি প্রকল্প রয়েছে রাজ্য সরকারের ৷ সেই প্রকল্পে আদিবাসী মহিলাদের শূকরছানা বিলি করার কথা ৷ পুরাতন মালদা ব্লকেও এমন অনেক আদিবাসী মহিলা এই প্রকল্পের সুবিধে পেতে ব্লক অফিসে নাম নথিভুক্ত করেছিলেন ৷ তবে শূকরছানা নয়, তার পরিবর্তে টাকা দাবি করেন তাঁরা ৷ তাঁদের বক্তব্য, এই প্রকল্পে ব্লক অফিস থেকে প্রথম পর্যায়ে বেশ কিছু মহিলাকে টাকা দেওয়া হয়েছে ৷ কিন্তু, তার পর থেকে টাকার বদলে অত্যন্ত নিম্নমানের শূকর দেওয়া হচ্ছে ৷ কিছুদিন যেতে না যেতেই সেই শূকর মারা যাচ্ছে। অথচ সরকারি প্রকল্প অনুযায়ী প্রত্যেক মহিলাকে সাড়ে 12 হাজার টাকা দেওয়া হলে, তাঁরা সেই টাকায় গোরু-ছাগলও প্রতিপালন করতে পারেন ৷

এই দাবি নিয়েই গত দু’বছর ধরে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন পুরাতন মালদার আদিবাসী মহিলারা ৷ নিজেদের দাবিতে এর আগে তাঁরা পাঁচবার বিডিও অফিসে এসে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন ৷ অফিসের ভিতর শূকর ছেড়ে দিয়েছেন ৷ কিন্তু, বিডিও কোনওবারই তাঁদের সঙ্গে কথা বলেননি বলে অভিযোগ ৷ একই দাবিতে গতকাল বিকেলে আবারও পাঁচশোরও বেশি আদিবাসী মহিলা বিডিও অফিসে যান ৷ সেই খবর আগাম বিডিও-র কানে পৌঁছে যায় ৷ তার জেরে গতকাল সকাল থেকে অফিসের গেট বন্ধ রাখা হয় ৷ নির্দিষ্ট প্রমাণপত্র ছাড়া কাউকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি ৷ ফলে বিক্ষোভকারীরা অফিসের ভিতরে যেতে পারেননি ৷

শূকর পালন প্রকল্প নিয়ে তর্কাতর্কি পুরাতন মালদার বিডিও এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রীর

আরও পড়ুন : Road Block in Malda : 10 বছরেও বেহাল রাস্তা, একের পর এক দুর্ঘটনা ; সংস্কার দাবিতে অবরোধ রতুয়া-বাহারাল রাজ্য সড়ক

বিডিও তাঁর প্রতিনিধি মারফৎ আদিবাসী মহিলাদের জানান, তিনি পাঁচজনের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কথা বলতে পারেন ৷ কিন্তু, তাতে রাজি হননি মহিলারা ৷ তাঁরা দাবি করেন, বিডিওকে বাইরে বেরিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলতে হবে ৷ কিন্তু, দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও বিডিও বাইরে না আসায় মহিলারা অফিসের সামনে 12 নম্বর জাতীয় সড়কে অবরোধ শুরু করেন ৷

জাতীয় সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মালদা থানার পুলিশ ৷ বিক্ষোভকারীদের অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য আর্জি জানান পুলিশ আধিকারিকরা ৷ কিন্তু, আদিবাসী মহিলাদের সাফ কথা, আসতে হবে বিডিওকে ৷ এভাবেই প্রায় ঘণ্টা দুয়েক কেটে যায় ৷ জাতীয় সড়কে তখন প্রবল যানজট ৷ শেষ পর্যন্ত বিডিও দফতরে যান মহকুমাশাসক সুরেশ রানো ৷ তাঁর সঙ্গেই অবরোধস্থলে যান বিডিও এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী ৷

আরও পড়ুন : Sand Theft from Phulhar River : ফুলহরের বালি চুরি রুখতে বসল সিসি ক্যামেরা, ড্রোনে নজরদারি

এর পর তাঁদের জাতীয় সড়ক থেকে সরিয়ে এনে বিডিও দফতরের সামনে কথা বলতে শুরু করেন প্রশাসনিক কর্তারা ৷ এই সময়ই কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন বিডিও এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী ৷ প্রকাশ্যে দু’জনের বিতণ্ডায় দৃশ্যতই অস্বস্তিতে পড়ে যান মহকুমাশাসক ৷ শেষ পর্যন্ত তিনিই মহিলাদের জানান, তাঁদের দাবির বিষয়টি নিয়ে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছেন ৷ সাতদিনের মধ্যে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছেন ৷ তাঁর আশ্বাস পেয়ে হাসিমুখে ঘরে ফিরে যান আদিবাসী মহিলারা ৷

মালদা, 18 মে : দু’জনের আদায় কাঁচকলায় সম্পর্কের বিষয়টি জানা ছিল সবারই ৷ পারতপক্ষে দু’জন একে অন্যের ধারে কাছে ঘেষতেন না ৷ তেমন কথাবার্তাও ছিল না ৷ সম্পর্ক যা ছিল, সবই কাগজে কলমে ৷ তাঁদের একজন পুরাতন মালদার বিডিও ইরফান হাবিব, আরেকজন পুরাতন মালদা পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী মৃণালিনী মণ্ডল মাইতি ৷ গতকাল সন্ধেয় এই দু’জনকে প্রকাশ্যেই বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়তে দেখলেন কয়েকশো মানুষ ৷ তাও আবার শূকর পালন নিয়ে (Quarrel Between BDO and Panchayet Samiti Leader Over Pig Rearing Project in Old Malda) ৷ সেই দৃশ্য দেখে আড়ালে মুচকি হেসেছেন অনেকেই ৷ আবার সভ্যমহলে দুই পদাধিকারীর এমন আচরণের সমালোচনাও শুরু হয়েছে ৷

শুনতে অবাক লাগলেও ঘটনার সূত্রপাত শূকর নিয়ে ৷ তফসিলি উপজাতিভুক্ত মহিলাদের শূকর পালনের জন্য একটি প্রকল্প রয়েছে রাজ্য সরকারের ৷ সেই প্রকল্পে আদিবাসী মহিলাদের শূকরছানা বিলি করার কথা ৷ পুরাতন মালদা ব্লকেও এমন অনেক আদিবাসী মহিলা এই প্রকল্পের সুবিধে পেতে ব্লক অফিসে নাম নথিভুক্ত করেছিলেন ৷ তবে শূকরছানা নয়, তার পরিবর্তে টাকা দাবি করেন তাঁরা ৷ তাঁদের বক্তব্য, এই প্রকল্পে ব্লক অফিস থেকে প্রথম পর্যায়ে বেশ কিছু মহিলাকে টাকা দেওয়া হয়েছে ৷ কিন্তু, তার পর থেকে টাকার বদলে অত্যন্ত নিম্নমানের শূকর দেওয়া হচ্ছে ৷ কিছুদিন যেতে না যেতেই সেই শূকর মারা যাচ্ছে। অথচ সরকারি প্রকল্প অনুযায়ী প্রত্যেক মহিলাকে সাড়ে 12 হাজার টাকা দেওয়া হলে, তাঁরা সেই টাকায় গোরু-ছাগলও প্রতিপালন করতে পারেন ৷

এই দাবি নিয়েই গত দু’বছর ধরে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন পুরাতন মালদার আদিবাসী মহিলারা ৷ নিজেদের দাবিতে এর আগে তাঁরা পাঁচবার বিডিও অফিসে এসে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন ৷ অফিসের ভিতর শূকর ছেড়ে দিয়েছেন ৷ কিন্তু, বিডিও কোনওবারই তাঁদের সঙ্গে কথা বলেননি বলে অভিযোগ ৷ একই দাবিতে গতকাল বিকেলে আবারও পাঁচশোরও বেশি আদিবাসী মহিলা বিডিও অফিসে যান ৷ সেই খবর আগাম বিডিও-র কানে পৌঁছে যায় ৷ তার জেরে গতকাল সকাল থেকে অফিসের গেট বন্ধ রাখা হয় ৷ নির্দিষ্ট প্রমাণপত্র ছাড়া কাউকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি ৷ ফলে বিক্ষোভকারীরা অফিসের ভিতরে যেতে পারেননি ৷

শূকর পালন প্রকল্প নিয়ে তর্কাতর্কি পুরাতন মালদার বিডিও এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রীর

আরও পড়ুন : Road Block in Malda : 10 বছরেও বেহাল রাস্তা, একের পর এক দুর্ঘটনা ; সংস্কার দাবিতে অবরোধ রতুয়া-বাহারাল রাজ্য সড়ক

বিডিও তাঁর প্রতিনিধি মারফৎ আদিবাসী মহিলাদের জানান, তিনি পাঁচজনের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কথা বলতে পারেন ৷ কিন্তু, তাতে রাজি হননি মহিলারা ৷ তাঁরা দাবি করেন, বিডিওকে বাইরে বেরিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলতে হবে ৷ কিন্তু, দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও বিডিও বাইরে না আসায় মহিলারা অফিসের সামনে 12 নম্বর জাতীয় সড়কে অবরোধ শুরু করেন ৷

জাতীয় সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মালদা থানার পুলিশ ৷ বিক্ষোভকারীদের অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য আর্জি জানান পুলিশ আধিকারিকরা ৷ কিন্তু, আদিবাসী মহিলাদের সাফ কথা, আসতে হবে বিডিওকে ৷ এভাবেই প্রায় ঘণ্টা দুয়েক কেটে যায় ৷ জাতীয় সড়কে তখন প্রবল যানজট ৷ শেষ পর্যন্ত বিডিও দফতরে যান মহকুমাশাসক সুরেশ রানো ৷ তাঁর সঙ্গেই অবরোধস্থলে যান বিডিও এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী ৷

আরও পড়ুন : Sand Theft from Phulhar River : ফুলহরের বালি চুরি রুখতে বসল সিসি ক্যামেরা, ড্রোনে নজরদারি

এর পর তাঁদের জাতীয় সড়ক থেকে সরিয়ে এনে বিডিও দফতরের সামনে কথা বলতে শুরু করেন প্রশাসনিক কর্তারা ৷ এই সময়ই কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন বিডিও এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী ৷ প্রকাশ্যে দু’জনের বিতণ্ডায় দৃশ্যতই অস্বস্তিতে পড়ে যান মহকুমাশাসক ৷ শেষ পর্যন্ত তিনিই মহিলাদের জানান, তাঁদের দাবির বিষয়টি নিয়ে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছেন ৷ সাতদিনের মধ্যে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছেন ৷ তাঁর আশ্বাস পেয়ে হাসিমুখে ঘরে ফিরে যান আদিবাসী মহিলারা ৷

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.