মালদা, 21 এপ্রিল: কয়েকদিন ধরেই তাপমাত্রার পারদ 40 ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে ৷ বৃহস্পতিবার মরু শহরের তাপমাত্রা যেখানে 36 ডিগ্রি সেলসিয়াস, সেখানে মালদায় 43 ডিগ্রি ৷ এদিকে আলিপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়ে দিয়েছে, আগামী কয়েকদিন মালদায় পারদ এই জায়গাতেই ঘোরাফেরা করবে ৷ সঙ্গী হবে লু ৷ সেই পরিস্থিতিতেই শনিবার পালিত হতে যাচ্ছে খুশির ঈদ ৷ তীব্র রোদের তেজ থেকে আমজনতাকে বাঁচাতে এই প্রথম ছাউনির নীচে হবে ঈদের সমবেত নমাজপাঠ ৷ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালদা শহরের প্রধান ঈদগাহ কমিটি ৷
মালদা শহরের সুভাষপল্লিতে রয়েছে পৌর এলাকার সবচেয়ে বড় ঈদগাহ ৷ শনিবার প্রায় 20 হাজার মানুষ এখানে নমাজপাঠ করবেন ৷ বৃহস্পতিবার থেকেই ঈদগাহে তার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে ৷ কিন্তু সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে তীব্র গরম ৷ আটকোশিয়া আঞ্জুমান আকবরিয়া মালদা শহর মুসলিম কমিটির সম্পাদক মহম্মদ আসিফ হোসেন বলেন, "প্রচণ্ড দাবদাহ চলছে ৷ তাই আমরা কমিটির সবাই আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এবার ছাউনির নীচে ঈদের নমাজের ব্যবস্থা করা হবে ৷ একইসঙ্গে কমিটির তরফে ওআরএস, পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হবে ৷ প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য একটি ক্যাম্পেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে ৷ কারণ, এই গরমে নমাজ পড়তে গিয়ে অনেকে অসুস্থ হলেও হতে পারেন ৷ আমাদের ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী উন্মুক্ত আকাশের নীচে নমাজ পড়ার কথা ৷ কোনও আচ্ছাদনের নীচে নমাজ পড়ার বিধি নেই ৷ কিন্তু মানুষের প্রাণ বাঁচাতে আমরা ছাতার মতো সামান্য ফাঁক রেখে ছাউনির ব্যবস্থা করেছি ৷"
আরও পড়ুন: দাবদাহ থেকে সাময়িক মুক্তি, শনি থেকে স্বস্তির বৃষ্টি বঙ্গে
স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ মনু শেখ বলেন, "ঈদের নমাজে অনেক বয়স্ক, অসুস্থ, এমনকি অল্পবয়সি ছেলেরাও অংশ নেয় ৷ চড়া রোদে তাদের সমস্যা হতে পারে ৷ তাদের জন্য এখানে আলাদা বন্দোবস্ত রয়েছে ৷ সেখানে ফ্যানের বন্দোবস্ত রয়েছে ৷ ছাদের নীচে তারা নমাজপাঠ করবে ৷ আমি দীর্ঘদিন ধরে এই ঈদগাহে নমাজ পড়ছি ৷ এমন প্রতিকূল পরিস্থিতি কখনও দেখিনি ৷ "
দাবদাহের মধ্যে ঈদের নমাজ পড়া নিয়ে উদ্বিগ্ন ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীও ৷ তিনি বলেন, "কয়েকদিন ধরেই তাপপ্রবাহ চলছে ৷ তার মধ্যেই শনিবার ঈদ ৷ এই পরিস্থিতিতে আমাদের প্রধান কাজ, পানীয় জলের ব্যবস্থা করা ৷ এই মুহূর্তে জলস্তর নীচে চলে যাওয়ায় আমরা পর্যাপ্ত জল পাচ্ছি না ৷ ঈদের দিন প্রতিটি নমাজের জায়গায় আমরা পানীয় জলের ট্যাংকার রাখার ব্যবস্থা করেছি ৷ নমাজিদের বিশ্রাম নেওয়ার জন্য শেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ নমাজ পড়ার সময় কেউ অসুস্থ হলে পড়লে তৎক্ষণাৎ তাঁকে হাসপাতালে পাঠানোর জন্য অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে ৷"