ETV Bharat / state

ক্যানসার আক্রান্ত পার্শ্বশিক্ষকের মৃত্যু, আন্দোলনে যোগদান ঘিরে বিতর্ক

লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন মালদার পার্শ্বশিক্ষক আবদুল মজিদ ৷ রাজ্যে 17 দিন যাবৎ চলে আসা পার্শ্বশিক্ষকদের আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না সেই নিয়েই দানা বেঁধেছে বিতর্ক ৷ পার্শ্বশিক্ষক যৌথ মঞ্চের যুগ্ম আহ্বায়ক ভগীরথ ঘোষের দাবি, মহম্মদ মজিদ পার্শ্বশিক্ষকদের আন্দোলন শুরু হওয়ার পর একদিনের জন্য অবস্থান মঞ্চে এসেছিলেন । অন্যদিকে, তাঁর বাড়ির লোকের বক্তব্য, শরীর খারাপ থাকায় চিকিৎসা নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন মহম্মদ মজিদ । কোথাও যাননি তিনি‌ ।

পার্শ্বশিক্ষকদের আন্দোলন
পার্শ্বশিক্ষক
author img

By

Published : Nov 27, 2019, 11:23 PM IST

Updated : Nov 28, 2019, 1:02 AM IST

কলকাতা, 27 নভেম্বর : কয়েকদিন আগেই মৃত্যু হয়েছে এক পার্শ্বশিক্ষিকার । আবারও মৃত্যু হল এক পার্শ্বশিক্ষকের । মৃত পার্শ্বশিক্ষকের নাম মহম্মদ আবদুল মজিদ । তিনি মালদার বাসিন্দা । বহুদিন ধরেই লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন ৷ পার্শ্বশিক্ষক যৌথ মঞ্চের যুগ্ম আহ্বায়ক ভগীরথ ঘোষের দাবি, মহম্মদ মজিদ পার্শ্বশিক্ষকদের আন্দোলন শুরু হওয়ার পর একদিনের জন্য অবস্থান মঞ্চে এসেছিলেন । অন্যদিকে, তাঁর বাড়ির লোকের বক্তব্য, শরীর খারাপ থাকায় চিকিৎসা নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন মহম্মদ মজিদ । কোথাও যাননি তিনি‌ ।

মহম্মদ আবদুল মজিদ নামের ওই পার্শ্বশিক্ষক গত চার মাস ধরে লিভার ক্যানসারে ভুগছিলেন । হরিশচন্দ্রপুর থানার লতাসি গ্রামে তাঁর বাড়ি । মুম্বইয়ের টাটা রিসার্চ ইনস্টিটিউটে তাঁর চিকিৎসা করানো হয়েছিল । সম্প্রতি তিনি মুকুন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি ছিলেন । সেখান থেকে গতকাল তাঁকে ছুটি দেওয়া হয়েছিল । পরে বাড়ি আনার সময় পথে মৃত্যু হয় তাঁর । এ নিয়ে পার্শ্বশিক্ষক যৌথ মঞ্চের যুগ্ম আহ্বায়ক ভগীরথ ঘোষ বলেন, "13 নভেম্বর উনি আমাদের অনশন মঞ্চে এসেছিলেন । উনি আগে থেকেই ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন । আমাদের এখান থেকে ফিরে যাওয়ার পর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয় । তারপরে দু'দিন হাসপাতালে ভরতি থাকার পর মারা গেছেন ।" যদিও, মহম্মদ আবদুল মজিদের ভাইপো জানিয়েছেন, তাঁর কাকা পার্শ্বশিক্ষকদের আন্দোলনে কোনও দিন যাননি । চিকিৎসা নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন । দু'পক্ষের দুই রকম বয়ান নিয়েই বিতর্ক দানা বেঁধেছে । তিনি আরও বলেন, "রাজ্যে একের পর এক পার্শ্বশিক্ষকের মৃত্যু হলেও রাজ্য সরকার নির্বিকার । যে রাজ্যে মদ্যপান করে কেউ মারা গেলে 2 লাখ টাকা পায়, সেখানে শিক্ষক মারা গেলে শিক্ষামন্ত্রীর তাকানোর সময় নেই । রাজ্য সরকারের অর্থনৈতিক শোষণের কারণে একের পর এক পার্শ্বশিক্ষক মারা যাচ্ছেন । কোথাও কোথাও আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটেছে । অথচ, তাতে রাজ্যের কোনও হেলদোল নেই । পার্শ্বশিক্ষকদের ন্যায্য পাওনা বেতন কাঠামো থেকে দীর্ঘদিন বঞ্চিত করা হচ্ছে ।"

শুনুন ভিডিয়োয় পার্থ চট্টোপাধ্যায় কী বললেন ...

অন্যদিকে, আজও পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য সুর নরম করলেন না শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ৷ পার্শ্বশিক্ষকদের সঙ্গে আজ শিক্ষামন্ত্রী আলোচনায় বসতে পারেন । সকালের দিকে এমনই গুঞ্জন শোনা গেছিল । সেই বিষয়ে আজ বিধানসভায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "আমি ওঁদের কোনদিনও বসতে বলিনি । ওঁরা বসেছেন, ওঁরা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেবেন কী করবে । সরকার সবসময় সহানুভূতিশীল । বুঝতে হবে 2018-তে তাঁদের ভাতাবৃদ্ধি সহ EPF বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে । মেডিকেলের সুযোগ-সুবিধা বেড়েছে । এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে আমার মনে হয় তারা অন্তত বুঝবে যে একটা কিছু করা উচিত । সরকার তাদের প্রতি যথেষ্ট সহানুভূতিশীল হওয়া সত্ত্বেও, তারা 2018-তে পেয়েও, আবার 2019-এ বসে পড়ছে ৷ এটা কেন?"

কলকাতা, 27 নভেম্বর : কয়েকদিন আগেই মৃত্যু হয়েছে এক পার্শ্বশিক্ষিকার । আবারও মৃত্যু হল এক পার্শ্বশিক্ষকের । মৃত পার্শ্বশিক্ষকের নাম মহম্মদ আবদুল মজিদ । তিনি মালদার বাসিন্দা । বহুদিন ধরেই লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন ৷ পার্শ্বশিক্ষক যৌথ মঞ্চের যুগ্ম আহ্বায়ক ভগীরথ ঘোষের দাবি, মহম্মদ মজিদ পার্শ্বশিক্ষকদের আন্দোলন শুরু হওয়ার পর একদিনের জন্য অবস্থান মঞ্চে এসেছিলেন । অন্যদিকে, তাঁর বাড়ির লোকের বক্তব্য, শরীর খারাপ থাকায় চিকিৎসা নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন মহম্মদ মজিদ । কোথাও যাননি তিনি‌ ।

মহম্মদ আবদুল মজিদ নামের ওই পার্শ্বশিক্ষক গত চার মাস ধরে লিভার ক্যানসারে ভুগছিলেন । হরিশচন্দ্রপুর থানার লতাসি গ্রামে তাঁর বাড়ি । মুম্বইয়ের টাটা রিসার্চ ইনস্টিটিউটে তাঁর চিকিৎসা করানো হয়েছিল । সম্প্রতি তিনি মুকুন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি ছিলেন । সেখান থেকে গতকাল তাঁকে ছুটি দেওয়া হয়েছিল । পরে বাড়ি আনার সময় পথে মৃত্যু হয় তাঁর । এ নিয়ে পার্শ্বশিক্ষক যৌথ মঞ্চের যুগ্ম আহ্বায়ক ভগীরথ ঘোষ বলেন, "13 নভেম্বর উনি আমাদের অনশন মঞ্চে এসেছিলেন । উনি আগে থেকেই ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন । আমাদের এখান থেকে ফিরে যাওয়ার পর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয় । তারপরে দু'দিন হাসপাতালে ভরতি থাকার পর মারা গেছেন ।" যদিও, মহম্মদ আবদুল মজিদের ভাইপো জানিয়েছেন, তাঁর কাকা পার্শ্বশিক্ষকদের আন্দোলনে কোনও দিন যাননি । চিকিৎসা নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন । দু'পক্ষের দুই রকম বয়ান নিয়েই বিতর্ক দানা বেঁধেছে । তিনি আরও বলেন, "রাজ্যে একের পর এক পার্শ্বশিক্ষকের মৃত্যু হলেও রাজ্য সরকার নির্বিকার । যে রাজ্যে মদ্যপান করে কেউ মারা গেলে 2 লাখ টাকা পায়, সেখানে শিক্ষক মারা গেলে শিক্ষামন্ত্রীর তাকানোর সময় নেই । রাজ্য সরকারের অর্থনৈতিক শোষণের কারণে একের পর এক পার্শ্বশিক্ষক মারা যাচ্ছেন । কোথাও কোথাও আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটেছে । অথচ, তাতে রাজ্যের কোনও হেলদোল নেই । পার্শ্বশিক্ষকদের ন্যায্য পাওনা বেতন কাঠামো থেকে দীর্ঘদিন বঞ্চিত করা হচ্ছে ।"

শুনুন ভিডিয়োয় পার্থ চট্টোপাধ্যায় কী বললেন ...

অন্যদিকে, আজও পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য সুর নরম করলেন না শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ৷ পার্শ্বশিক্ষকদের সঙ্গে আজ শিক্ষামন্ত্রী আলোচনায় বসতে পারেন । সকালের দিকে এমনই গুঞ্জন শোনা গেছিল । সেই বিষয়ে আজ বিধানসভায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "আমি ওঁদের কোনদিনও বসতে বলিনি । ওঁরা বসেছেন, ওঁরা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেবেন কী করবে । সরকার সবসময় সহানুভূতিশীল । বুঝতে হবে 2018-তে তাঁদের ভাতাবৃদ্ধি সহ EPF বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে । মেডিকেলের সুযোগ-সুবিধা বেড়েছে । এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে আমার মনে হয় তারা অন্তত বুঝবে যে একটা কিছু করা উচিত । সরকার তাদের প্রতি যথেষ্ট সহানুভূতিশীল হওয়া সত্ত্বেও, তারা 2018-তে পেয়েও, আবার 2019-এ বসে পড়ছে ৷ এটা কেন?"

Intro:কলকাতা, ২৭ নভেম্বর: কয়েকদিন আগেই মৃত্যু হয়েছে এক পার্শ্বশিক্ষিকার। আবারও মৃত্যু হল এক পার্শ্বশিক্ষকের। জানা গেছে, মৃত পার্শ্বশিক্ষকের নাম মহম্মদ আব্দুল মজিদ। তিনি মালদার বাসিন্দা। বহুদিন ধরেই লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। তবে, পেশায় পার্শ্বশিক্ষক হলেও তাঁর পার্শ্বশিক্ষকদের ১৭ দিন ধরে চলে আসা আন্দোলনের সঙ্গে যোগসূত্র নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, পার্শ্বশিক্ষক যৌথ মঞ্চের যুগ্ম আহ্বায়ক ভগীরথ ঘোষের দাবি, মহম্মদ মজিদ পার্শ্বশিক্ষকদের আন্দোলন শুরু হওয়ার পর একদিনের জন্য অবস্থান মঞ্চে এসেছিলেন। অন্যদিকে, তাঁর বাড়ির লোকের বক্তব্য, শরীর খারাপ থাকায় চিকিৎসা নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন মহম্মদ মজিদ। কোথাও যাননি তিনি‌।

Body:জানা গেছে, মহম্মদ আব্দুল মজিদ নামের ওই পার্শ্বশিক্ষক গত চারমাস ধরে লিভার ক্যান্সারে ভুগছিলেন। হরিশচন্দ্রপুর থানার লতাসি গ্রামে তাঁর বাড়ি। মুম্বাইয়ের টাটা রিসার্চ ইন্সটিটিউটে তাঁর চিকিৎসা করানো হয়েছিল। সম্প্রতি তিনি মুকুন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেখান থেকে গতকাল তাঁকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তারপরে বাড়ি আনার পথে মৃত্যু হয় তাঁর। আজ তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। তাঁর মৃত্যু নিয়ে পার্শ্বশিক্ষক যৌথ মঞ্চের যুগ্ম আহ্বায়ক ভগীরথ ঘোষ বলেন, "গত ১৩ নভেম্বর উনি আমাদের অনশন মঞ্চে এসেছিলেন। উনি আগে থেকেই ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। আমাদের এখান থেকে ফিরে যাওয়ার পর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হন। তারপরে দু'দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর মারা গেছেন।" যদিও, মহম্মদ আব্দুল মজিদের ভাইপো জানিয়েছেন, তাঁর কাকা পার্শ্বশিক্ষকদের আন্দোলনে কোনও দিনও যাননি। চিকিৎসা নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। আর দু'পক্ষের দুই রকম কথা নিয়েই তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

মহম্মদ আব্দুল মজিদের মৃত্যু নিয়ে পার্শ্বশিক্ষক ঐক্য মঞ্চের যুগ্ম আহ্বায়ক ভগীরথ ঘোষ বলেন, "রাজ্যে একের পর এক পার্শ্বশিক্ষকের মৃত্যু হলেও রাজ্য সরকার নির্বিকার। যে রাজ্যে মদ্যপান করে কেউ মারা গেলে ২ লক্ষ টাকা পায়, সেখানে শিক্ষক মারা গেলে শিক্ষামন্ত্রীর তাকানোর সময় নেই। রাজ্য সরকারের অর্থনৈতিক শোষনের কারণে একের পর এক পার্শ্বশিক্ষক মারা যাচ্ছেন। কোথাও কোথাও আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটেছে। অথচ, তাতে রাজ্যের কোনও হেল-দোল নেই। পার্শ্বশিক্ষকদের ন্যায্য পাওনা বেতন কাঠামো থেকে দীর্ঘ দিন বঞ্চিত করা হচ্ছে।"

অন্যদিকে, আজও পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য সুর নরম করলেন না শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পার্শ্বশিক্ষকদের সঙ্গে আজ শিক্ষামন্ত্রী আলোচনায় বসতে পারেন। সকালের দিকে এমনই গুঞ্জন শোনা গেছিল। সেই বিষয়ে আজ বিধানসভায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "আমি তো ওদের কোনদিনও বসতে বলিনি। ওরা বসেছে, ওরা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেবে কী করবে। সরকার সবসময় সহানুভূতিশীল। বুঝতে হবে ২০১৮-তে তাদের ভাতাবৃদ্ধি, EPF সহ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মেডিক্যালের সুযোগ-সুবিধা বেড়েছে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে আমার মনে হয় তাঁরা অন্তত বুঝবে যে একটা কিছু করা উচিত। সরকার তাঁদের প্রতি যথেষ্ঠ সহানুভূতিশীল হওয়া সত্ত্বেও, তাঁরা ২০১৮-তে পেয়েও, আবার ২০১৯-এ কেন বসে পড়ছে?"
Conclusion:
Last Updated : Nov 28, 2019, 1:02 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.