ETV Bharat / state

মালদায় জুতো পরে কবিগুরুর মূর্তিতে মাল্যদান পুলিশের - রবীন্দ্র জয়ন্তী

শারীরিক দূরত্ববিধি উধাও জনপ্রতিনিধিদের, জুতো পরে কবিগুরুর মূর্তিতে মাল্যদান পুলিশের। রবীন্দ্র জয়ন্তীতে বিতর্ক মালদায়।

ছবি
ছবি
author img

By

Published : May 8, 2020, 1:30 PM IST

মালদা, 8 মে : লকডাউনে রবীন্দ্রজয়ন্তী ৷ অন্যান্য জায়গার মতো মালদাতেও অনাড়ম্বরভাবেই বিশ্বকবির 160 তম জন্মজয়ন্তী পালিত হল ৷ কোরোনা আবহে এনিয়ে বিতর্কও তুলে দিয়েছেন ইংরেজবাজার পৌরসভার জনপ্রতিনিধিরা ৷ জুতো পায়ে কবিগুরুর মূর্তিতে পা দিয়ে বিতর্কের আবহ তৈরি করে দিয়েছে পুলিশও ৷

লকডাউনে এবার বিশ্বভারতীতে সেভাবে কবিগুরুর জন্মজয়ন্তী পালিত হয়নি ৷ ব্যতিক্রম নয় মালদা শহরও ৷ বিভিন্ন শিল্প সংগঠন এবং রবীন্দ্রপ্রেমীরা এবার বাড়িতেই রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী পালন করছেন ৷ অন্যবারের মতো এবার কোথাও রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে কোনও আলোচনা সভা কিংবা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছে না ৷ তবে অনলাইনে অনেকেই এই অনুষ্ঠান পালন করছেন ৷ এরই মধ্যে আজ ইংরেজবাজার পৌরসভার পক্ষ থেকে অনাড়ম্বরভাবে রবীন্দ্রনাথের জন্মজয়ন্তী পালন করা হয় ৷ সকালে শহরের রবীন্দ্র মূর্তিতে মাল্যদান করেন পৌরসভার চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষ, ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকার, কাউন্সিলর শুভময় বসু, বঙ্গরত্ন সম্মাননা প্রাপক চিকিৎসক দ্বিগীন্দ্রনাথ সরকার সহ আরও অনেকে ৷ কিন্তু সবাই ভুলেই গেলেন কোরোনা সতর্কতায় শারীরিক দূরত্ববিধির কথা ৷ গায়ে গা লাগিয়েই সবাই দাঁড়িয়ে রইলেন রবীন্দ্রমূর্তির সামনে ৷

ভুল যে হয়েছে, তা অবশ্য স্বীকার করেছেন চেয়ারম্যান৷ নীহারবাবু বলেন, " আসলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে আমরা শুধু নয়, গোটা বিশ্বের মানুষ অসম্ভব ভালোবাসেন ৷ রবীন্দ্রনাথ মানেই একটা আবেগ ৷ সেই আবেগের জন্যই একটু ভুল হয়েছে আমাদের ৷ আসলে এটা ভালোবাসার টান ৷ রবীন্দ্রনাথের আত্মা আমাদের সবার মনে একটা জায়গা করে নিয়েছে ৷ যদি মরতে হয় মরব, কিন্তু রবীন্দ্রনাথকে শ্রদ্ধা জানিয়েই মরব ৷"

বিশেষ এই দিনে বিতর্কের আবহ তৈরি করে দিয়েছেন পুলিশকর্তারাও ৷ আজ প্রথমবার মালদায় পুলিশের পক্ষ থেকে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালিত হয়েছে ৷ সকালে শহরের ফোয়ারা মোড় থেকে পুলিশের একটি র‌্যালি বেরোয় ৷ পা মেলান পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া সহ জেলার সমস্ত পুলিশ আধিকারিকরা ৷ র‌্যালিটি গোটা শহর ঘুরে রবীন্দ্রমূর্তির সামনে এসে শেষ হয় ৷ পুরো র‌্যালিতেই পুলিশ আধিকারিকরা শারীরিক দূরত্ব বিধি মেনে চলেছেন ৷ সেখান থেকে মানুষকে বার্তা দিয়েছেন, কোরোনা যুদ্ধে সবাই যেন সমস্ত সরকারি নির্দেশিকা পালন করে ৷ পুলিশের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে শহরবাসীও ৷ এতদূর সব ভালোভাবেই চলেছে ৷ কিন্তু তাল কাটে রবীন্দ্রমূর্তিতে মাল্যদানের সময় ৷ দেখা যায়, দু’একজন পুলিশকর্তা জুতো পায়েই বিশ্বকবির মূর্তির গায়ে উঠে পড়েছেন ৷ সেখানে দাঁড়িয়েই কবিগুরুর গলায় মালা দিচ্ছেন ৷

পুলিশ সুপার বলেন, " আজ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী ৷ তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে আজ আমরা মালদা শহরে একটি র‌্যালির আয়োজন করেছিলাম ৷ গোটা র‌্যালিতে আমরা সবাই শারীরিক দূরত্ববিধি বজায় রেখে মালদাবাসীকে বার্তা দিতে চেয়েছি, কোরোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে সবাইকেই এই দূরত্ববিধি মেনে চলতে হবে ৷ বিশ্বকবির জন্মতিথিতে আমরা সবাই আজকে শপথ নেব, কোরোনার বিরুদ্ধে আমরা সবাই যুদ্ধ করব ৷ আর আমাদের ইউনিফর্ম বিধি অনুযায়ীই আজ আমরা রবীন্দ্রনাথের মূর্তিতে মাল্যদান করেছি ৷ সেই বিধি অনুযায়ী আমরা বিশ্বকবিকে নমস্কার নয়, স্যালুট করেছি ৷ তবে কেউ তাঁর স্ট্যাচুতে জুতো পড়ে ওঠেনি ৷ এনিয়ে বিতর্কের কোনও কারণ নেই ৷"

মালদা, 8 মে : লকডাউনে রবীন্দ্রজয়ন্তী ৷ অন্যান্য জায়গার মতো মালদাতেও অনাড়ম্বরভাবেই বিশ্বকবির 160 তম জন্মজয়ন্তী পালিত হল ৷ কোরোনা আবহে এনিয়ে বিতর্কও তুলে দিয়েছেন ইংরেজবাজার পৌরসভার জনপ্রতিনিধিরা ৷ জুতো পায়ে কবিগুরুর মূর্তিতে পা দিয়ে বিতর্কের আবহ তৈরি করে দিয়েছে পুলিশও ৷

লকডাউনে এবার বিশ্বভারতীতে সেভাবে কবিগুরুর জন্মজয়ন্তী পালিত হয়নি ৷ ব্যতিক্রম নয় মালদা শহরও ৷ বিভিন্ন শিল্প সংগঠন এবং রবীন্দ্রপ্রেমীরা এবার বাড়িতেই রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী পালন করছেন ৷ অন্যবারের মতো এবার কোথাও রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে কোনও আলোচনা সভা কিংবা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছে না ৷ তবে অনলাইনে অনেকেই এই অনুষ্ঠান পালন করছেন ৷ এরই মধ্যে আজ ইংরেজবাজার পৌরসভার পক্ষ থেকে অনাড়ম্বরভাবে রবীন্দ্রনাথের জন্মজয়ন্তী পালন করা হয় ৷ সকালে শহরের রবীন্দ্র মূর্তিতে মাল্যদান করেন পৌরসভার চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষ, ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকার, কাউন্সিলর শুভময় বসু, বঙ্গরত্ন সম্মাননা প্রাপক চিকিৎসক দ্বিগীন্দ্রনাথ সরকার সহ আরও অনেকে ৷ কিন্তু সবাই ভুলেই গেলেন কোরোনা সতর্কতায় শারীরিক দূরত্ববিধির কথা ৷ গায়ে গা লাগিয়েই সবাই দাঁড়িয়ে রইলেন রবীন্দ্রমূর্তির সামনে ৷

ভুল যে হয়েছে, তা অবশ্য স্বীকার করেছেন চেয়ারম্যান৷ নীহারবাবু বলেন, " আসলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে আমরা শুধু নয়, গোটা বিশ্বের মানুষ অসম্ভব ভালোবাসেন ৷ রবীন্দ্রনাথ মানেই একটা আবেগ ৷ সেই আবেগের জন্যই একটু ভুল হয়েছে আমাদের ৷ আসলে এটা ভালোবাসার টান ৷ রবীন্দ্রনাথের আত্মা আমাদের সবার মনে একটা জায়গা করে নিয়েছে ৷ যদি মরতে হয় মরব, কিন্তু রবীন্দ্রনাথকে শ্রদ্ধা জানিয়েই মরব ৷"

বিশেষ এই দিনে বিতর্কের আবহ তৈরি করে দিয়েছেন পুলিশকর্তারাও ৷ আজ প্রথমবার মালদায় পুলিশের পক্ষ থেকে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালিত হয়েছে ৷ সকালে শহরের ফোয়ারা মোড় থেকে পুলিশের একটি র‌্যালি বেরোয় ৷ পা মেলান পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া সহ জেলার সমস্ত পুলিশ আধিকারিকরা ৷ র‌্যালিটি গোটা শহর ঘুরে রবীন্দ্রমূর্তির সামনে এসে শেষ হয় ৷ পুরো র‌্যালিতেই পুলিশ আধিকারিকরা শারীরিক দূরত্ব বিধি মেনে চলেছেন ৷ সেখান থেকে মানুষকে বার্তা দিয়েছেন, কোরোনা যুদ্ধে সবাই যেন সমস্ত সরকারি নির্দেশিকা পালন করে ৷ পুলিশের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে শহরবাসীও ৷ এতদূর সব ভালোভাবেই চলেছে ৷ কিন্তু তাল কাটে রবীন্দ্রমূর্তিতে মাল্যদানের সময় ৷ দেখা যায়, দু’একজন পুলিশকর্তা জুতো পায়েই বিশ্বকবির মূর্তির গায়ে উঠে পড়েছেন ৷ সেখানে দাঁড়িয়েই কবিগুরুর গলায় মালা দিচ্ছেন ৷

পুলিশ সুপার বলেন, " আজ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী ৷ তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে আজ আমরা মালদা শহরে একটি র‌্যালির আয়োজন করেছিলাম ৷ গোটা র‌্যালিতে আমরা সবাই শারীরিক দূরত্ববিধি বজায় রেখে মালদাবাসীকে বার্তা দিতে চেয়েছি, কোরোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে সবাইকেই এই দূরত্ববিধি মেনে চলতে হবে ৷ বিশ্বকবির জন্মতিথিতে আমরা সবাই আজকে শপথ নেব, কোরোনার বিরুদ্ধে আমরা সবাই যুদ্ধ করব ৷ আর আমাদের ইউনিফর্ম বিধি অনুযায়ীই আজ আমরা রবীন্দ্রনাথের মূর্তিতে মাল্যদান করেছি ৷ সেই বিধি অনুযায়ী আমরা বিশ্বকবিকে নমস্কার নয়, স্যালুট করেছি ৷ তবে কেউ তাঁর স্ট্যাচুতে জুতো পড়ে ওঠেনি ৷ এনিয়ে বিতর্কের কোনও কারণ নেই ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.