ETV Bharat / state

আতঙ্কের সুজাপুরে শান্তির বার্তা দিতে মাইকে ঘোষণা পুলিশের - বাম ও কংগ্রেসের ডাকা সাধারণ ধর্মঘট

বাম ও কংগ্রেসের ডাকা ভারত বনধের দিন পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল কলিয়াচকের সুজাপুর ৷ এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে 16 জনকে । 33 জনের নামে মামলা রুজু করা হয়েছে ৷ ভয়ে এই মুহূর্তে রাতে সুনসান থাকছে সুজাপুরসহ সংলগ্ন এলাকা । মানুষের মন থেকে ভয় দূর করতে প্রচারে নেমেছে কালিয়াচক থানার পুলিশ ৷

sujapur
সুজাপুরে মাইকে ঘোষণা পুলিশের
author img

By

Published : Jan 13, 2020, 3:28 PM IST

মালদা, 13 জানুয়ারি : মানুষের মন থেকে ভয় দূর করতে মাইক হাতে প্রচারে নামল কালিয়াচক থানার পুলিশ ৷ গতকাল রাতে পুলিশের পক্ষ থেকে সুজাপুরের বিভিন্ন জায়গায় মাইক সহযোগে প্রচার করা হয় ৷ জানানো হয়, পুলিশ কোনও নিরাপরাধকে হেনস্থা করবে না ৷ প্রত্যেকে যেন নির্ভয়ে থাকতে পারে ৷ দেশে ফিরে গতকাল সন্ধে নাগাদ সুজাপুর যান জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নূর ৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন শাসকদলের অন্য নেতা-নেত্রীরাও ৷ সুজাপুরে শান্তি ফিরিয়ে আনতে তাঁরা কালিয়াচক থানার IC-র সঙ্গে দেখা করেন ৷ তাঁদের সঙ্গে আলোচনার পরই পুলিশ সুজাপুরের বিভিন্ন এলাকায় মাইকযোগে প্রচার করে ।

বাম ও কংগ্রেস শ্রমিক সংগঠনের ডাকা সাধারণ ধর্মঘটের দিন পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কালিয়াচকের সুজাপুর ৷ জনতার ইট-বোমার জবাব কাঁদানে গ্যাস-গুলিতে দিয়েছিল পুলিশ ৷ আগুনে পোড়ে পুলিশ ও সাধারণ মানুষের 9টি গাড়ি ৷ কালো ধোঁয়ায় ভারি হয়ে উঠেছিল গোটা এলাকা ৷ সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত 16 জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ৷ সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে ওই ঘটনায় 33 জনের নামে মামলা রুজু করা হয়েছে ৷ তবে এই সংখ্যাটি আরও অনেক বাড়বে বলে জানাচ্ছে পুলিশেরই একাংশ ৷ গ্রেপ্তারির ভয়ে এই মুহূর্তে রাতে সুনসান থাকছে সুজাপুরসহ সংলগ্ন এলাকা ৷ অধিকাংশ বাড়ির পুরুষরা বাইরে রাত কাটাচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে ৷ এই পরিস্থিতিতে প্রথমে পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনার আবেদন জানিয়েছিল বাম-কংগ্রেস ৷ গতকাল একই আবেদন জানিয়েছে তৃণমূল ৷

শান্তির বার্তা দিতে মাইকে ঘোষণা পুলিশের
শেষ পর্যন্ত গতকাল রাতে সুজাপুর, গয়েশবাড়ি, চৌরঙ্গি, স্কুলপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় মাইক হাতে প্রচার করে পুলিশ ৷ পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কোনও অপরাধে কেউ জড়িত না থাকলে পুলিশ কাউকে অহেতুক হেনস্থা করবে না ৷ নিরাপরাধ ব্যক্তিরা যেন নির্ভয়ে বাড়িতে থাকেন ৷ যারা এলাকা ছেড়ে বাইরে রয়েছে, তারা যেন নিজেদের বাড়িতে ফিরে আসে ৷ এলাকার স্কুল-কলেজ, বাজারহাট খোলা রাখার জন্যও পুলিশের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয় ৷ ঘোষণা করা হয়, পুলিশের বিরুদ্ধে কারও কোনও অভিযোগ থাকলে তিনি কালিয়াচক থানা কিংবা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানাতে পারেন ৷ সেক্ষেত্রে অভিযোগকারীর নাম ও পরিচয় গোপন রাখা হবে ৷ অযথা বিভ্রান্তি কিংবা গুজব না ছড়ানোর জন্যও পুলিশের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয় ৷

মালদা, 13 জানুয়ারি : মানুষের মন থেকে ভয় দূর করতে মাইক হাতে প্রচারে নামল কালিয়াচক থানার পুলিশ ৷ গতকাল রাতে পুলিশের পক্ষ থেকে সুজাপুরের বিভিন্ন জায়গায় মাইক সহযোগে প্রচার করা হয় ৷ জানানো হয়, পুলিশ কোনও নিরাপরাধকে হেনস্থা করবে না ৷ প্রত্যেকে যেন নির্ভয়ে থাকতে পারে ৷ দেশে ফিরে গতকাল সন্ধে নাগাদ সুজাপুর যান জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নূর ৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন শাসকদলের অন্য নেতা-নেত্রীরাও ৷ সুজাপুরে শান্তি ফিরিয়ে আনতে তাঁরা কালিয়াচক থানার IC-র সঙ্গে দেখা করেন ৷ তাঁদের সঙ্গে আলোচনার পরই পুলিশ সুজাপুরের বিভিন্ন এলাকায় মাইকযোগে প্রচার করে ।

বাম ও কংগ্রেস শ্রমিক সংগঠনের ডাকা সাধারণ ধর্মঘটের দিন পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কালিয়াচকের সুজাপুর ৷ জনতার ইট-বোমার জবাব কাঁদানে গ্যাস-গুলিতে দিয়েছিল পুলিশ ৷ আগুনে পোড়ে পুলিশ ও সাধারণ মানুষের 9টি গাড়ি ৷ কালো ধোঁয়ায় ভারি হয়ে উঠেছিল গোটা এলাকা ৷ সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত 16 জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ৷ সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে ওই ঘটনায় 33 জনের নামে মামলা রুজু করা হয়েছে ৷ তবে এই সংখ্যাটি আরও অনেক বাড়বে বলে জানাচ্ছে পুলিশেরই একাংশ ৷ গ্রেপ্তারির ভয়ে এই মুহূর্তে রাতে সুনসান থাকছে সুজাপুরসহ সংলগ্ন এলাকা ৷ অধিকাংশ বাড়ির পুরুষরা বাইরে রাত কাটাচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে ৷ এই পরিস্থিতিতে প্রথমে পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনার আবেদন জানিয়েছিল বাম-কংগ্রেস ৷ গতকাল একই আবেদন জানিয়েছে তৃণমূল ৷

শান্তির বার্তা দিতে মাইকে ঘোষণা পুলিশের
শেষ পর্যন্ত গতকাল রাতে সুজাপুর, গয়েশবাড়ি, চৌরঙ্গি, স্কুলপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় মাইক হাতে প্রচার করে পুলিশ ৷ পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কোনও অপরাধে কেউ জড়িত না থাকলে পুলিশ কাউকে অহেতুক হেনস্থা করবে না ৷ নিরাপরাধ ব্যক্তিরা যেন নির্ভয়ে বাড়িতে থাকেন ৷ যারা এলাকা ছেড়ে বাইরে রয়েছে, তারা যেন নিজেদের বাড়িতে ফিরে আসে ৷ এলাকার স্কুল-কলেজ, বাজারহাট খোলা রাখার জন্যও পুলিশের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয় ৷ ঘোষণা করা হয়, পুলিশের বিরুদ্ধে কারও কোনও অভিযোগ থাকলে তিনি কালিয়াচক থানা কিংবা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানাতে পারেন ৷ সেক্ষেত্রে অভিযোগকারীর নাম ও পরিচয় গোপন রাখা হবে ৷ অযথা বিভ্রান্তি কিংবা গুজব না ছড়ানোর জন্যও পুলিশের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয় ৷
Intro:মালদা, ১৩ জানুয়ারি : মানুষের মন থেকে ভয় দূর করতে মাইক হাতে প্রচারে নামল কালিয়াচক থানার পুলিশ৷ গতকাল রাতে পুলিশের পক্ষ থেকে সুজাপুরের বিভিন্ন জায়গায় মাইক সহযোগে প্রচার করা হয়৷ জানানো হয়, পুলিশ কোনও নিরাপরাধকে হেনস্তা করবে না৷ প্রত্যেকে যেন নির্ভয়ে বাড়ি রাত কাটাতে পারে৷ তবে পুলিশের এই ঘোষণায় সাধারণ মানুষের আতঙ্ক কতটা কাটবে তা সময়ই বলবে৷ এদিকে বিদেশ থেকে ফিরে গতকাল সন্ধে নাগাদ সুজাপুর যান জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নূর৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন শাসকদলের অন্য নেতা-নেত্রীরাও৷ সুজাপুরে শান্তি ফিরিয়ে আনতে তাঁরা কালিয়াচক থানার আইসির সঙ্গে দেখা করেন৷ তাঁদের সঙ্গে আলোচনার পরেই পুলিশ সুজাপুরের বিভিন্ন এলাকায় মাইকযোগে প্রচার করে৷Body:         বাম ও কংগ্রেসের ডাকা ভারত বন্‌ধের দিন পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল কালিয়াচকের সুজাপুর৷ জনতার ইট-বোমার জবাব কাঁদানে গ্যাস-গুলিতে দিয়েছিল পুলিশ৷ আগুনে পোড়ে পুলিশ ও সাধারণ মানুষের ৯টি গাড়ি৷ কালো ধোঁয়ায় ভারি হয়ে উঠেছিল গোটা এলাকা৷ সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে ওই ঘটনায় ৩৩ জনের নামে মামলা রুজু করা হয়েছে৷ তবে এই সংখ্যাটি আরও অনেক বাড়বে বলে জানাচ্ছে পুলিশেরই একাংশ৷ গ্রেফতারির ভয়ে এই মুহূর্তে রাতে শুনসান থাকছে সুজাপুর সহ সংলগ্ন এলাকা৷ অধিকাংশ বাড়ির পুরুষরা বাইরে রাত কাটাচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে৷ এই পরিস্থিতিতে প্রথমে পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনার আবেদন জানিয়েছিল বাম-কংগ্রেস৷ গতকাল একই আবেদন জানিয়েছে তৃণমূল৷Conclusion:         শেষ পর্যন্ত গতকাল রাতে সুজাপুর, গয়েশবাড়ি, চৌরঙ্গি, স্কুলপাড়া সহ বিভিন্ন এলাকায় মাইক হাতে প্রচার করে পুলিশ৷ পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কোনও অপরাধে কেউ জড়িত না থাকলে পুলিশ কাউকে অহেতুক হেনস্তা করবে না৷ নিরাপরাধ প্রত্যেকেই যেন নির্ভয়ে বাড়িতে থাকেন৷ যারা এলাকা ছেড়ে বাইরে রয়েছে, তারা যেন নিজেদের বাড়িতে ফিরে আসে৷ এলাকার স্কুল-কলেজ, বাজারহাট খোলা রাখার জন্যও পুলিশের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয়৷ পুলিশের পক্ষ থেকে আরও ঘোষণা করা হয়, পুলিশের বিরুদ্ধে কারোর কোনও অভিযোগ থাকলে তিনি কালিয়াচক থানা কিংবা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানাতে পারেন৷ সেক্ষেত্রে অভিযোগকারীর নাম ও পরিচয় গোপন রাখা হবে৷ অযথা বিভ্রান্তি কিংবা গুজব না ছড়ানোর জন্যও পুলিশের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয়৷
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.