মালদা, 1 অগস্ট: ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে মাদক পাচারকারীরা ৷ মঙ্গলবার এক কিলো 117 গ্রাম আফিম-সহ ভিনরাজ্যের দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে কালিয়াচক থানার পুলিশ ৷ ধৃতদের মঙ্গলবার মালদা জেলা আদালতে তোলা হলে তাদের 8 দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বিচারক ৷
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে কালিয়াচকের চৌরঙ্গি মোড়ে রাজস্থানগামী একটি লরি আটক করে পুলিশকর্মীরা ৷ ফাঁকা ওই লরিতে তল্লাশি চালিয়েই উদ্ধার হয় আফিম ৷ গ্রেফতার করা হয় রাহুল খান (22) ও শেকুল আনসারি (26) নামে দুই যুবককে ৷ তারা দু’জনেই রাজস্থানের আলওয়ার জেলার নওয়াগাঁও থানার পাটা এলাকার বাসিন্দা ৷ রাজস্থানের রেজিস্ট্রেশন থাকা লরিটিও আটক করা হয়েছে ৷ 10 দিনের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়ে ধৃতদের এদিনই মালদা জেলা আদালতে পেশ করে কালিয়াচক থানার পুলিশ ৷ বিচারক তাদের আটদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ৷ এই দুই পাচারকারী কোনও মাদক চক্রের সঙ্গে জড়িত কি না, তা জানতে ধৃতদের জেরা করছে পুলিশ ৷
ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, "পোস্তর আঠা-সহ দুই মাদক কারবারিকে কালিয়াচক থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে ৷ ধৃতরা দু’জনেই রাজস্থানের বাসিন্দা ৷ তারা কোথায় থেকে ওই মাদক সংগ্রহ করেছিল, কোথায় নিয়ে যেত, সেসব বিস্তারিত জানতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ৷"
আরও পড়ুন: দেশের মাদক পাচার নেটওয়ার্কে বড়সড় আঘাত হানল এনসিবি, উদ্ধার প্রচুর এলএসডি
কয়েক বছর আগেও মালদা জেলা ছিল আফিম উৎপাদনের অন্যতম কেন্দ্র ৷ জেলার প্রায় প্রতিটি ব্লকেই পোস্ত চাষ করা হত ৷ গরিব ক্ষুদ্র কৃষকদের মোটা টাকার লোভ দেখিয়ে তাঁদের জমিতে পোস্ত চাষে কার্যত বাধ্য করত মাদক কারবারিরা ৷ এই জেলাতেই পোস্ত ফল থেকে উৎপন্ন আফিমকে রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় ব্রাউন সুগার, এমনকী হেরোইনও উৎপাদন হত ৷ সেই মাদক ছড়িয়ে দেওয়া হত গোটা দেশে ৷ এমনকি বাংলাদেশেও সেই মাদক পাচার করা হত ৷ এই সমস্ত বেআইনি পোস্ত চাষ বন্ধ করতে উদ্যোগ নেয় কেন্দ্রীয় নারকোটিক বিভাগ এবং জেলা প্রশাসন ৷