ETV Bharat / state

Youth kills Friend: বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন ! কারণ শুনে চোখ কপালে উঠল পুলিশের

ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে শ্বাসরোধ করে খুন করলেন যুবক ! মালদার ঘটনা (Malda Murder) ৷ ঠিক কী ঘটেছিল ?

police arrest young man for murder of a close friend in Malda
ধৃত মঙ্গল ৷
author img

By

Published : Dec 17, 2022, 8:47 PM IST

মালদা, 17 ডিসেম্বর: গত 9 ডিসেম্বর পুরাতন মালদার সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ছাতিয়ান মোড়ে মহানন্দা নদীর ধার থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক যুবকের দেহ ৷ মৃত যুবকের নাম বিষ্ণু রবিদাস ৷ বয়স 25 বছর ৷ ওই এলাকাতেই তাঁর বাড়ি ৷ তিনি ব্যান্ডপার্টির দলে বাজনা বাজাতেন ৷ গত 6 ডিসেম্বর রাত থেকে তাঁর কোনও সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না ৷

পরিবারের তরফে মালদা থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয় ৷ ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে বিষ্ণুর এক কাছের বন্ধু মঙ্গল রবিদাসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে মালদা থানার পুলিশ ৷ এরপর যে তথ্য বেরিয়ে আসে, তাতে চোখ কপালে ওঠে পুলিশের ৷ সূত্রের দাবি, জেরা শুরু হতেই মঙ্গল স্বীকার করে নেন, তিনিই বিষ্ণুকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছেন (Malda Murder) ৷

কিন্তু কেন বিষ্ণুকে খুন করলেন মঙ্গল ? পুলিশকে সেই কারণও জানিয়েছেন তিনি ৷ মঙ্গল জানান, বিষ্ণুর বাবা তাঁর মায়ের সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত ছিলেন ৷ দু'জনের ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত দেখে ফেলেছিলেন বিষ্ণু ৷ যেখানে সেখানে এ নিয়ে মঙ্গলকে কথা শোনাতেন তিনি ৷ এদিকে, দুই বন্ধুই নিয়মিত মদ্যপান করতেন ৷ সেই নেশার আসরে অন্য বন্ধুরাও আসতেন ৷ বন্ধুদের সামনেই বিষ্ণু তাঁর বাবার সঙ্গে মঙ্গলের মায়ের মিলনের দৃশ্য বর্ণনা করতেন !

আরও পড়ুন: টাকার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে খুন দুষ্কৃতী, গ্রেফতার 3 সঙ্গী

দীর্ঘদিন ধরে বিষ্ণুর এই আচরণ সহ্য করছিলেন মঙ্গল ৷ মাঝেমধ্যে বিষ্ণুকে শিক্ষা দেওয়ার ইচ্ছা হত তাঁর ৷ কিন্তু রাগ চেপে রাখতেন তিনি ৷ গত 6 ডিসেম্বর কাজ সেরে তাঁরা একসঙ্গেই এলাকায় ফেরেন ৷ রাতে একটি আমবাগানে বসে তাঁরা দু'জন মদ্যপান করছিলেন ৷ বিষ্ণু সেখানেও তাঁর বাবার সঙ্গে মঙ্গলের মায়ের মিলনের বর্ণনা শুরু করে দেন ! এরপর আর নিজের রাগ সামলাতে পারেনি মঙ্গল ৷ বিষ্ণুকে আকণ্ঠ মদ্যপান করানোর পর তাঁর গলায় বেল্টের ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করেন মঙ্গল ৷ তারপর মৃতদেহ টানতে টানতে মহানন্দার ধারে একটি গর্তের মধ্যে ফেলে দেন ৷

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে শুক্রবার রাতে মঙ্গলকে গ্রেফতার করে মালদা থানার পুলিশ ৷ তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে ৷ শনিবার তাঁকে জেলা আদালতে পেশ করা হলে মুখ্য দায়রা বিচারক ধৃতকে 14 দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন ৷ আদালতে যাওয়ার পথে মঙ্গল বলেন, "আমার মা একবার ওর বাবার সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিল ৷ দু'জনের মধ্যে খারাপ সম্পর্ক ছিল ৷ বিষ্ণু সেসব নিয়ে আমাকে সবসময় উত্ত্যক্ত করত ৷ তাই আমি ওকে খুন করেছি ৷"

মালদা, 17 ডিসেম্বর: গত 9 ডিসেম্বর পুরাতন মালদার সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ছাতিয়ান মোড়ে মহানন্দা নদীর ধার থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক যুবকের দেহ ৷ মৃত যুবকের নাম বিষ্ণু রবিদাস ৷ বয়স 25 বছর ৷ ওই এলাকাতেই তাঁর বাড়ি ৷ তিনি ব্যান্ডপার্টির দলে বাজনা বাজাতেন ৷ গত 6 ডিসেম্বর রাত থেকে তাঁর কোনও সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না ৷

পরিবারের তরফে মালদা থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয় ৷ ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে বিষ্ণুর এক কাছের বন্ধু মঙ্গল রবিদাসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে মালদা থানার পুলিশ ৷ এরপর যে তথ্য বেরিয়ে আসে, তাতে চোখ কপালে ওঠে পুলিশের ৷ সূত্রের দাবি, জেরা শুরু হতেই মঙ্গল স্বীকার করে নেন, তিনিই বিষ্ণুকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছেন (Malda Murder) ৷

কিন্তু কেন বিষ্ণুকে খুন করলেন মঙ্গল ? পুলিশকে সেই কারণও জানিয়েছেন তিনি ৷ মঙ্গল জানান, বিষ্ণুর বাবা তাঁর মায়ের সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত ছিলেন ৷ দু'জনের ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত দেখে ফেলেছিলেন বিষ্ণু ৷ যেখানে সেখানে এ নিয়ে মঙ্গলকে কথা শোনাতেন তিনি ৷ এদিকে, দুই বন্ধুই নিয়মিত মদ্যপান করতেন ৷ সেই নেশার আসরে অন্য বন্ধুরাও আসতেন ৷ বন্ধুদের সামনেই বিষ্ণু তাঁর বাবার সঙ্গে মঙ্গলের মায়ের মিলনের দৃশ্য বর্ণনা করতেন !

আরও পড়ুন: টাকার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে খুন দুষ্কৃতী, গ্রেফতার 3 সঙ্গী

দীর্ঘদিন ধরে বিষ্ণুর এই আচরণ সহ্য করছিলেন মঙ্গল ৷ মাঝেমধ্যে বিষ্ণুকে শিক্ষা দেওয়ার ইচ্ছা হত তাঁর ৷ কিন্তু রাগ চেপে রাখতেন তিনি ৷ গত 6 ডিসেম্বর কাজ সেরে তাঁরা একসঙ্গেই এলাকায় ফেরেন ৷ রাতে একটি আমবাগানে বসে তাঁরা দু'জন মদ্যপান করছিলেন ৷ বিষ্ণু সেখানেও তাঁর বাবার সঙ্গে মঙ্গলের মায়ের মিলনের বর্ণনা শুরু করে দেন ! এরপর আর নিজের রাগ সামলাতে পারেনি মঙ্গল ৷ বিষ্ণুকে আকণ্ঠ মদ্যপান করানোর পর তাঁর গলায় বেল্টের ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করেন মঙ্গল ৷ তারপর মৃতদেহ টানতে টানতে মহানন্দার ধারে একটি গর্তের মধ্যে ফেলে দেন ৷

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে শুক্রবার রাতে মঙ্গলকে গ্রেফতার করে মালদা থানার পুলিশ ৷ তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে ৷ শনিবার তাঁকে জেলা আদালতে পেশ করা হলে মুখ্য দায়রা বিচারক ধৃতকে 14 দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন ৷ আদালতে যাওয়ার পথে মঙ্গল বলেন, "আমার মা একবার ওর বাবার সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিল ৷ দু'জনের মধ্যে খারাপ সম্পর্ক ছিল ৷ বিষ্ণু সেসব নিয়ে আমাকে সবসময় উত্ত্যক্ত করত ৷ তাই আমি ওকে খুন করেছি ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.