মালদা, 25 নভেম্বর : এগিয়ে আসছে একুশের নির্বাচন৷ ইতিমধ্যে তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের৷ এই সময় নিজেদের দাবি দাওয়া নিয়ে সরকারের উপর চাপ বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন স্থায়ী ও অস্থায়ী সরকারি কর্মীরা৷ আজ 12 দফা দাবি নিয়ে জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখান গ্রামোন্নয়ন বিভাগে নিযুক্ত পশ্চিমবঙ্গ জেলা স্তরের ট্রেনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা ৷ একাধিক দাবিতে আজ তাঁরা জেলাশাসক ও আনন্দধারা প্রকল্পের জেলা মিশন অধিকর্তাকে ডেপুটেশন দেন ৷ তাঁদের এই কর্মসূচির জন্য আজ প্রশসানিক ভবনের সামনে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ৷
সংগঠনের তরফে জানানো হয়, জেলা গ্রামোন্নয়ন বিভাগের অধীনে আনন্দধারা প্রকল্পে প্রচুর মহিলা কাজ করেন৷ তাঁরা সবাই লিখিত পরীক্ষা দেওয়ার পর ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে কাজ পেয়েছেন৷ কোরোনা আবহেও তাঁরা উন্নয়নমূলক কাজ করে চলেছেন৷ কিন্তু তাঁদের যে সাম্মানিক দেওয়া হয় তাতে তাঁরা সংসার চালাতে পারছেন না৷ তাই তাঁরা মাসিক 30 হাজার টাকার বেতন দাবি করছেন তাঁরা৷ একইসঙ্গে তাঁদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে স্থায়ীকরণ, নিয়োগপত্র প্রদান, সঠিক ট্রাভেলিং অ্যালাওয়েন্স প্রদান, রি-অ্যাসেসমেন্ট বন্ধ করা, ওয়ার্কিং সার্টিফিকেট প্রদান করা, সবাইকে সমান সাম্মানিক প্রদান, পদোন্নতি চালু করা, প্রভিডেন্ড ফান্ড ও চিকিৎসার সুযোগ সুবিধে প্রদান, বাড়ির কাছাকাছি ব্লকে নিয়োগ এবং বিভিন্ন সরকারি সুযোগ সুবিধে প্রদানের মতো একাধিক বিষয়৷
সংগঠনের সভাপতি নবকুমার সরকার বলেন, "আনন্দধারা প্রকল্পে নিযুক্ত জেলাস্তরের প্রশিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরেই সাম্মানিক বৃদ্ধি সহ একাধিক দাবি জানিয়ে আসছেন৷ আজ আমরা আরও আবার জেলাশাসক ও জেলা গ্রামোন্নয়ন বিভাগের মিশন অধিকর্তাকে এই বিষয়ে ডেপুটেশন দিলাম৷ এই 12টি দাবির পাশাপাশি আমাদের আরও একটি দাবি রয়েছে৷ তা হল কর্মরত অবস্থায় কোনও কর্মীর মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়া এবং মৃতের পরিবারের সদস্যদের পাঁচ লাখ টাকা সাহায্যের দাবিও আমরা জানাচ্ছি৷ আশা করি জেলাশাসক কর্মীদের এই দাবিগুলো খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন৷"