মালদা, 29 অক্টোবর: সারাদিন ভালোই কাটে ৷ কিন্তু, সন্ধে হলেই যেন ভূতের ঢিল পড়ে ! ছাউনির নীচে আলো থাকলেও বাকি জায়গায় আলোর কোনও ব্যবস্থা নেই ৷ এই অবস্থায় ঝুঁকি নিয়েই মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর স্টেশনে (Harishchandrapur Railway Station) রাতের ট্রেন ধরতে হয় যাত্রীদের ৷ প্ল্যাটফর্মে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করার জন্য তাঁরা অনেকবার স্টেশন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন ৷ কিন্তু তাতে কোনও কাজ হয়নি ৷ তাই এবার এ নিয়ে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ৷ যদিও বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হতেই রাজি নন স্টেশন ম্যানেজার ৷
উত্তর মালদার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের একমাত্র ভরসা হরিশ্চন্দ্রপুর স্টেশন ৷ সামসি স্টেশনে কয়েকটি ট্রেন দাঁড়ালেও তার সংখ্যা হাতে গোনা ৷ কিন্তু হরিশ্চন্দ্রপুর স্টেশনে অনেক দূরপাল্লা ট্রেনের স্টপেজ রয়েছে ৷ তাই উত্তর মালদার মানুষ প্রায় 100 কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে মালদা না-এসে হরিশ্চন্দ্রপুর স্টেশন দিয়েই যাতায়াত করেন ৷ স্টেশনের আয়ও বেশ ভালো ৷ কিন্তু এখানে যাত্রী নিরাপত্তার ন্যূনতম ব্যবস্থা নেই বলেই অভিযোগ ৷ রাতে অন্ধকার প্ল্যাটফর্মে হামেশাই চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে ৷ ট্রেনে ওঠা-নামা করতে গিয়ে যাত্রীদের দুর্ঘটনার আশংকাও রয়েছে ৷ কিন্তু সেদিকে স্টেশন কর্তৃপক্ষের নজর নেই !
আরও পড়ুন: টাকা দিয়ে ভোট কিনি, রাস্তা-জল-আলোর প্রশ্নে গ্রামবাসীদের উত্তর রাজনীতির কারবারিদের
এ নিয়ে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হরিশ্চন্দ্রপুর ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক বিনোদ গুপ্তা ৷ তিনি বলেন, "স্টেশনে শেডের অংশে কিছু বাতি থাকলেও বাকি প্ল্যাটফর্মের কোথাও আলোর ব্যবস্থা নেই ৷ এতে যাত্রীদের ভীষণ অসুবিধা হচ্ছে ৷ বিশেষ করে বাচ্চা, মহিলা ও বয়স্করা প্রচণ্ড সমস্যায় পড়ছেন ৷ ট্রেনে উঠতে গিয়ে যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে ৷ অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে দুষ্কৃতীরাও সক্রিয় হচ্ছে ৷ চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে ৷ তাই রেল কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের দাবি, দ্রুত প্ল্যাটফর্মের সব জায়গায় আলোর ব্যবস্থা করা হোক ৷ না হলে এ নিয়ে আমরা বড়সড় আন্দোলনে নামব ৷"