মালদা, 19 ডিসেম্বর : "হাতে-পায়ে ধরছি ডাক্তারবাবু, ভাইকে একটু দেখুন।" রোগীর আত্মীয়ের কাতর আর্জিতে চিকিৎসকের পাল্টা, রোগী আগে ওয়ার্ডে ভর্তি হবে তারপর চিকিৎসা শুরু হবে। শেষ পর্যন্ত চিকিৎসা আর শুরু করা যায়নি ৷ তার আগেই জরুরি বিভাগে মৃত্যু হল রোগীর (Patient dies without getting treatment in Chanchal Super Speciality Hospital)। এমনই মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। অভিযোগ পেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসকদের গাফিলতির কথা মেনে নিলেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক (Local Trinamool MLA admits the negligency in Chanchal Super Speciality Hospital)।
রবিবার দুপুরে অসুস্থতা নিয়ে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি হন চাঁচল 1 নং ব্লকের দুনিয়াবাড়ি এলাকার বাসিন্দা আশরাফুল হক (55)। অভিযোগ, রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হলেও চিকিৎসকরা তাঁর চিকিৎসা শুরু করেননি। রোগীকে ভর্তি না করিয়ে তাঁকে বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয় বলে অভিযোগ ৷ বিনা চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু হওয়ার পর চিকিৎসকরা দেখেন বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। চিকিৎসায় গাফিলতিতেই আশরাফুলের মৃত্যু হয়েছে, দাবি তাঁদের।
মৃতের দাদা মতিউর রহমান বলেন, "হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভাইকে নিয়ে গিয়েছিলাম। ডাক্তারের হাত-পা ধরে ভাইকে দেখার অনুরোধ করেছিলাম। ডাক্তার একবার ভাইকে দেখে ফের চেয়ারে বসে পড়লেন। আমি বারবার অনুরোধ করলাম ভাইয়ের অবস্থা খারাপ একটু দেখুন। কিন্তু ডাক্তারবাবু সাফ জানিয়ে দিলেন, আগে রোগী ভর্তি হয়ে ওয়ার্ডে যাবে তারপর চিকিৎসা হবে। চিকিৎসায় গাফিলতির কারণেই ভাইয়ের মৃত্যু হল।"
আরও পড়ুন : Patient Death Controversy : রোগীমৃত্যুতে গাফিলতির অভিযোগ, দুর্গাপুরের হাসপাতালে বিক্ষোভ
স্থানীয় বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ বলেন, "চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল নিয়ে স্থানীয়দের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। চিকিৎসকদের দায়িত্ববোধে খানিকটা গাফিলতি রয়েছে এটা আমি স্বীকার করছি। আমি অনেকবার হাসপাতালে গিয়েছি, জেলাশাসককেও জানিয়েছি। একাধিকবার অভিযোগ জানানোর পর হাসপাতাল পরিষেবায় খানিকটা উন্নতি হলেও পুরোপুরি হয়নি ৷ জেলা প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীকে জানানোর পর হাসপাতালে স্থায়ী সুপার নিয়োগ হয়েছে।" হাসপাতাল সুপার জয়ন্ত বিশ্বাস যদিও কোনও অভিযোগ পাননি বলে দাবি করেছেন ৷