মালদা, 5 অক্টোবর : একে কোরোনা, তার উপর দোসর বন্যা ৷ এই দুইয়ের দাপট মাথায় নিয়েই আজ থেকে পরীক্ষা শুরু হল গৌড়বঙ্গের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ 25টি কলেজে ৷ আজ থেকে কলেজগুলিতে সব বিভাগের তৃতীয় বর্ষের পাস ও অনার্স কোর্সের পরীক্ষা শুরু হয়েছে ৷ কোরোনা আবহে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশিকা অনুযায়ী এবার বাড়িতে বসে পরীক্ষা দিচ্ছেন পরীক্ষার্থীরা ৷ নতুন এই পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে তাঁদের কাছ থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে ৷ অনেকে এই পদ্ধতিকে স্বাগত জানালেও অনেকেই বলছেন, এর থেকে পুরানো পদ্ধতিই ভালো ছিল ৷
চাঁচল কলেজের বাংলা বিভাগের ছাত্রী সঞ্চিতা রায়চৌধুরি বলেন, “আজ অনার্সের ফিফথ্ পেপারের পরীক্ষা ৷ UGC-র গাইডলাইন অনুযায়ী আমরা এবার ওপেন বুক সিস্টেমে পরীক্ষা দিচ্ছি ৷ বই খুঁজেই উত্তর লিখছি ৷ এই সিস্টেম ভালো লাগলেও আমরা অনেকদিন ধরে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম ৷ তাই চেয়েছিলাম সেন্টারে গিয়ে পরীক্ষা দিতে ৷ কিন্তু কোরোনার জন্য সেই ইচ্ছে পূরণ হয়নি ৷" একই কলেজের সংস্কৃত বিভাগের ছাত্র বিক্রম বলেছেন, "নতুন পদ্ধতিতে পরীক্ষা দিতে ভালোই লাগছে ৷ তবে যারা ভালোমানের ছাত্র তারা সবসময় সেন্টারে গিয়ে পরীক্ষা দিতে চাইবে ৷ সাধারণ পড়ুয়াদের এই সিস্টেম ভালো লাগবে ৷ প্রশ্নপত্র ভালোই এসেছে ৷ বই ও স্যারের নোট দেখে লিখছি ৷ দেখা যাক, রেজাল্ট কেমন হয় ৷"
চাঁচল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম বলেছেন, "আজ থেকে কলেজে তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা শুরু হয়েছে ৷ ওপেন বুক সিস্টেমে পরীক্ষা হচ্ছে ৷ এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় একটি পরীক্ষা পোর্টাল খুলেছে ৷ পরীক্ষা শুরুর 30 মিনিট আগে সেই পোর্টাল খুলে দেওয়া হচ্ছে ৷ পরীক্ষার্থীরা সেখান থেকে প্রশ্নপত্র ডাউনলোড করছে ৷ পরীক্ষা পদ্ধতিকে সহজ করার জন্য আমরা কলেজের তরফে বিভিন্ন হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপ করেছি ৷ সেখানেও প্রশ্নপত্র দিয়ে দিচ্ছি ৷"
তিনি আরও জানান, "পরীক্ষা শেষের পর পরীক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পোর্টালে উত্তরপত্র আপলোড করতে পারবে ৷ সেখানে কোনও সমস্যা হলে কলেজের প্রতিটি বিভাগের ই-মেইল ID-তে উত্তরপত্র জমা দেওয়া যাবে ৷ পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উত্তরপত্র পরীক্ষার জন্য কলেজের অধ্যাপকদের দায়িত্ব দেবে ৷ মার্কসও পোর্টালে আপলোড করে দেওয়া হবে ৷ এখনও পর্যন্ত পরীক্ষা নিয়ে কোনও সমস্যা হয়নি ৷ কারণ, আমরা অনেক আগে থেকেই হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপ করে এই পদ্ধতি নিয়ে ক্লাস করেছি ৷"