ETV Bharat / state

পেঁয়াজের দামে 'চোখে জল', কেন্দ্রের পদক্ষেপে দাম কমার আশা

মালদার বাজারে পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী । এনিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে । পাশাপাশি রয়েছে কালোবাজারিদের প্রভাব ।

মালদা
author img

By

Published : Sep 21, 2019, 2:56 PM IST

মালদা, 21 সেপ্টেম্বর : পুজোর মুখে পেঁয়াজের ঝাঁঝে চোখে জল সাধারণ মানুষের । আজ মালদা শহরের খুচরো বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে 50 থেকে 55 টাকা কিলো দরে । পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকার ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে ক্রেতারা । তাদেরই আতঙ্ক বাড়িয়ে খুচরো ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, কালীপুজো পর্যন্ত পেঁয়াজের দাম বাড়তেই থাকবে । যদিও দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার । পেঁয়াজের রপ্তানি বন্ধ করতে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে আমদানি শুল্ক । জেলার বণিকসভা দাবি করেছে, কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে পুজোর আগেই খুচরো বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে ।

গত কয়েকদিন ধরেই মালদার বাজারে পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী । প্রতিদিনই দাম বাড়ছে দৈনন্দিন রান্নার কাজে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় এই আনাজের । আজ শহরের রথবাড়ির নেতাজি পৌরবাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে 50 থেকে 55 টাকা কিলো দরে । এনিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে । শহরের বিনয় সরকার রোডের বাসিন্দা মিঠুন আরজে নামে এক ক্রেতা বলেন, "গতকাল এই বাজার থেকেই পেঁয়াজ কিনেছি 40 টাকা কিলো দরে । আজ বাজারে এসে শুনছি, 50 থেকে 55 টাকা কিলো । কেন এভাবে দর বাড়ছে বুঝতে পারছি না । শুধু তাই নয়, এই দর থেকে সামান্যও পিছু হটতে নারাজ বিক্রেতারা । তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, দাম আরও বাড়বে । পেঁয়াজ আর খেতে হবে না । তবে দাম কমলে সবারই ভালো হবে ।" অন্যদিকে রামকৃষ্ণ পল্লির বাসিন্দা মৃণালকান্তি বসাক বলেন, "এখন 50 থেকে 55 টাকা কিলো দরে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে । দু'তিনদিন ধরে দাম এই জায়গায় রয়েছে । কেন দাম বাড়ছে বোঝা যাচ্ছে না ।"

দেখুন ভিডিয়োয়

আবার নেতাজি পৌরবাজারের খুচরো পেঁয়াজ বিক্রেতা বিক্রমকুমার দাস বলেন, "আজ 55 টাকা কিলো দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে । এখানে নাসিক থেকেই বেশি পেঁয়াজ আসে । কিন্তু পেঁয়াজ উৎপাদনকারী বিভিন্ন রাজ্যে বন্যা হওয়ায় সেখান থেকে পেঁয়াজ আসছে না । এখন রাজ্যের পেঁয়াজই বিক্রি করতে হচ্ছে আমাদের । আজ আমরা 50 টাকা কিলো দরে পেঁয়াজ কিনেছি । প্রতি বস্তায় 4-5 কিলো পেঁয়াজ খারাপ বেরোয় । তাই 55 টাকা কিলো দরে বিক্রি না করলে আমাদের লাভ হবে না । তবে পেঁয়াজের কালোবাজারি নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে, তা সঠিক নয় । পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, পেঁয়াজের দাম আরও বাড়বে ।"

এব্যাপারে জেলার বণিকসভা, মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের সম্পাদক জয়ন্ত কুণ্ডু বলেন, "এখন খুচরো বাজারে 50-55 টাকা কিলো দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে । দাম তো বেড়েছেই । তবে কেন্দ্রীয় সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির উপর প্রতি কিলোতে 50 টাকার বেশি শুল্ক ধার্য করেছে । ফলে এখন বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি অনেকটাই কমে গেছে । বাংলাদেশের যে আমদানিকারকরা আগে পেঁয়াজ আমদানির অর্ডার করেছিলেন, শুধুমাত্র সেই পেঁয়াজই সেখানে যাচ্ছে । কিন্তু জেলার যে ব্যবসায়ীরা 7-10 দিন আগে নাসিকের পেঁয়াজ বেশি দামে কিনেছিলেন, সেই পেঁয়াজ তাঁদের বেশি দামেই বিক্রি করতে হবে । তবে আমাদের আশা, রপ্তানি প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পুজোর আগে বাজারে পেঁয়াজের দাম অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে ।"
মহদিপুর এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুকুমার সাহা জানিয়েছেন, "দেশে এবার পেঁয়াজ উৎপাদনে ঘাটতি রয়েছে । ফলে গোটা দেশেই পেঁয়াজের অকাল দেখা দিয়েছে । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় সরকার প্রতি টন পেঁয়াজ রপ্তানির ক্ষেত্রে আমদানিকারকদের উপর 850 মার্কিন ডলার শুল্ক ধার্য করেছে । অর্থাৎ প্রতি কিলোতে শুল্কের হার 50 টাকারও বেশি । এর ফলে বাংলাদেশের আমদানিকারকরা ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি করতে রাজি হচ্ছে না । আশা করা যায়, কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তে পুজোর আগে কিংবা পরে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধিতে রাশ টানা যাবে ।"

মালদা, 21 সেপ্টেম্বর : পুজোর মুখে পেঁয়াজের ঝাঁঝে চোখে জল সাধারণ মানুষের । আজ মালদা শহরের খুচরো বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে 50 থেকে 55 টাকা কিলো দরে । পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকার ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে ক্রেতারা । তাদেরই আতঙ্ক বাড়িয়ে খুচরো ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, কালীপুজো পর্যন্ত পেঁয়াজের দাম বাড়তেই থাকবে । যদিও দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার । পেঁয়াজের রপ্তানি বন্ধ করতে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে আমদানি শুল্ক । জেলার বণিকসভা দাবি করেছে, কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে পুজোর আগেই খুচরো বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে ।

গত কয়েকদিন ধরেই মালদার বাজারে পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী । প্রতিদিনই দাম বাড়ছে দৈনন্দিন রান্নার কাজে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় এই আনাজের । আজ শহরের রথবাড়ির নেতাজি পৌরবাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে 50 থেকে 55 টাকা কিলো দরে । এনিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে । শহরের বিনয় সরকার রোডের বাসিন্দা মিঠুন আরজে নামে এক ক্রেতা বলেন, "গতকাল এই বাজার থেকেই পেঁয়াজ কিনেছি 40 টাকা কিলো দরে । আজ বাজারে এসে শুনছি, 50 থেকে 55 টাকা কিলো । কেন এভাবে দর বাড়ছে বুঝতে পারছি না । শুধু তাই নয়, এই দর থেকে সামান্যও পিছু হটতে নারাজ বিক্রেতারা । তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, দাম আরও বাড়বে । পেঁয়াজ আর খেতে হবে না । তবে দাম কমলে সবারই ভালো হবে ।" অন্যদিকে রামকৃষ্ণ পল্লির বাসিন্দা মৃণালকান্তি বসাক বলেন, "এখন 50 থেকে 55 টাকা কিলো দরে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে । দু'তিনদিন ধরে দাম এই জায়গায় রয়েছে । কেন দাম বাড়ছে বোঝা যাচ্ছে না ।"

দেখুন ভিডিয়োয়

আবার নেতাজি পৌরবাজারের খুচরো পেঁয়াজ বিক্রেতা বিক্রমকুমার দাস বলেন, "আজ 55 টাকা কিলো দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে । এখানে নাসিক থেকেই বেশি পেঁয়াজ আসে । কিন্তু পেঁয়াজ উৎপাদনকারী বিভিন্ন রাজ্যে বন্যা হওয়ায় সেখান থেকে পেঁয়াজ আসছে না । এখন রাজ্যের পেঁয়াজই বিক্রি করতে হচ্ছে আমাদের । আজ আমরা 50 টাকা কিলো দরে পেঁয়াজ কিনেছি । প্রতি বস্তায় 4-5 কিলো পেঁয়াজ খারাপ বেরোয় । তাই 55 টাকা কিলো দরে বিক্রি না করলে আমাদের লাভ হবে না । তবে পেঁয়াজের কালোবাজারি নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে, তা সঠিক নয় । পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, পেঁয়াজের দাম আরও বাড়বে ।"

এব্যাপারে জেলার বণিকসভা, মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের সম্পাদক জয়ন্ত কুণ্ডু বলেন, "এখন খুচরো বাজারে 50-55 টাকা কিলো দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে । দাম তো বেড়েছেই । তবে কেন্দ্রীয় সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির উপর প্রতি কিলোতে 50 টাকার বেশি শুল্ক ধার্য করেছে । ফলে এখন বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি অনেকটাই কমে গেছে । বাংলাদেশের যে আমদানিকারকরা আগে পেঁয়াজ আমদানির অর্ডার করেছিলেন, শুধুমাত্র সেই পেঁয়াজই সেখানে যাচ্ছে । কিন্তু জেলার যে ব্যবসায়ীরা 7-10 দিন আগে নাসিকের পেঁয়াজ বেশি দামে কিনেছিলেন, সেই পেঁয়াজ তাঁদের বেশি দামেই বিক্রি করতে হবে । তবে আমাদের আশা, রপ্তানি প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পুজোর আগে বাজারে পেঁয়াজের দাম অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে ।"
মহদিপুর এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুকুমার সাহা জানিয়েছেন, "দেশে এবার পেঁয়াজ উৎপাদনে ঘাটতি রয়েছে । ফলে গোটা দেশেই পেঁয়াজের অকাল দেখা দিয়েছে । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় সরকার প্রতি টন পেঁয়াজ রপ্তানির ক্ষেত্রে আমদানিকারকদের উপর 850 মার্কিন ডলার শুল্ক ধার্য করেছে । অর্থাৎ প্রতি কিলোতে শুল্কের হার 50 টাকারও বেশি । এর ফলে বাংলাদেশের আমদানিকারকরা ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি করতে রাজি হচ্ছে না । আশা করা যায়, কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তে পুজোর আগে কিংবা পরে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধিতে রাশ টানা যাবে ।"

Intro:মালদা, 20 সেপ্টেম্বর : পুজোর মুখে পেঁয়াজের ঝাঁঝে চোখে জল আম আদমির। আজ মালদা শহরের খুচরো বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে 50 থেকে 55 টাকা কিলো দরে। পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকার ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন ক্রেতারা। তাঁদের আতঙ্ক বাড়িয়ে খুচরো ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, কালীপুজো পর্যন্ত পেঁয়াজের দাম বাড়তেই থাকবে। যদিও দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। পেঁয়াজের রপ্তানি বন্ধ করতে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে আমদানি শুল্ক। জেলার বণিকসভা দাবি করেছে, কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে পুজোর আগেই খুচরো বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।


Body:গত কয়েকদিন ধরেই মালদার বাজারে পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী। প্রতিদিনই দাম বাড়ছে দৈনন্দিন রান্নার কাজে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় এই আনাজের দাম। আজ শহরের রথবাড়িতে নেতাজি পৌর বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে 55 থেকে 55 টাকা কিলো দরে। এনিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তাঁদেরই একজন, শহরের বিনয় সরকার রোডের বাসিন্দা মিঠুন আরজে বলেন, "গতকাল এই বাজার থেকেই পেঁয়াজ কিনেছি 40 টাকা কিলো দরে। আজ বাজারে এসে শুনছি, 50 থেকে 55 টাকা কিলো। কেন এভাবে দর বাড়ছে বুঝতে পারছি না। শুধু তাই নয়, এই দর থেকে সামান্যও পিছু হটতে নারাজ বিক্রেতারা। তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, দাম আরও বাড়বে। পেঁয়াজ আর খেতে হবে না। তবে দাম কমলে সবারই ভালো হবে।" শহরের রামকৃষ্ণ পল্লির বাসিন্দা মৃণালকান্তি বসাক বলেন, "এখন 50 থেকে 55 টাকা কিলো ধরে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। দু'তিনদিন ধরে দাম এই জায়গায় রয়েছে। কেন দাম বাড়ছে বোঝা যাচ্ছে না। বিক্রেতারা বলছে, আমদানি নেই। তারা আরও বলছে, এখন প্রতিদিনই দাম বাড়বে। এদিকে সুযোগ বুঝে পেঁয়াজের কালোবাজারিও চলছে। আমরা সরকারের কাছে আর্জি জানাচ্ছি, বিষয়টা একটু দেখা হোক। এর আগে বাজারের দাম নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকার এবং জেলা প্রশাসন ভালো ভূমিকা নিয়েছিল। আবারও সেই ভূমিকা নিতে আমি সরকার ও প্রশাসনের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।"
নেতাজি পৌর বাজারের খুচরো পেয়াঁজ বিক্রেতা বিক্রমকুমার দাস বলেন, "আজ 55 টাকা কিলো দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। এখানে নাসিক থেকেই বেশি পেঁয়াজ আসে। কিন্তু পেঁয়াজ উৎপাদনকারী বিভিন্ন রাজ্যে বন্যা হওয়ায় সেখান থেকে পেঁয়াজ আসছে না। এখন রাজ্যের পেঁয়াজই বিক্রি করতে হচ্ছে আমাদের। আজ আমরা 50 টাকা কিলো দরে পেঁয়াজ কিনেছি। প্রতি বস্তায় 4-5 কিলো পেঁয়াজ খারাপ বেরোয়। তাই 55 টাকা কিলো দরে বিক্রি না করলে আমাদের লাভ হবে না। তবে পেঁয়াজের কালোবাজারি নিয়েছে অভিযোগ উঠেছে, তা সঠিক নয়। পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, পেঁয়াজের দাম আরও বাড়বে।"


Conclusion:এব্যাপারে জেলার বণিকসভা, মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের সম্পাদক জয়ন্ত কুন্ডু বলেন, "এখন খুচরো বাজারে 50-55 টাকা কিলো দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। দাম তো বেড়েছেই। তবে কেন্দ্রীয় সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির উপর প্রতি কিলোতে 50 টাকার বেশি আমদানি শুল্ক ধার্য করেছে। ফলে এখন বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি অনেকটাই কমে গেছে। বাংলাদেশের যে আমদানিকারকরা আগে পেঁয়াজ আমদানির অর্ডার করেছিলেন, শুধুমাত্র সেই পেঁয়াজই সেখানে যাচ্ছে। কিন্তু জেলার যে ব্যবসায়ীরা 7-10 দিন আগে নাসিকের পেঁয়াজ বেশি দামে কিনেছিলেন, সেই পেঁয়াজ তাঁদের বেশি দামেই বিক্রি করতে হবে। তবে আমাদের আশা, রপ্তানি প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পুজোর আগে বাজারে পেঁয়াজের দাম অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।" মহদিপুর এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুকুমার সাহা জানিয়েছেন, "দেশে এবার পেঁয়াজ উৎপাদনে ঘাটতি রয়েছে। ফলে গোটা দেশেই পেঁয়াজের অকাল দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় সরকার প্রতি টন পেঁয়াজ রপ্তানির ক্ষেত্রে আমদানিকারকদের উপর 850 মার্কিন ডলার শুল্ক ধার্য করেছে। অর্থাৎ প্রতি কিলোতে শুল্কের হার 50 টাকারও বেশি। এর ফলে বাংলাদেশের আমদানিকারকরা ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি করতে রাজি হচ্ছে না। আশা করা যায়, কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তে পুজোর আগে কিংবা পরে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধিতে রাশ টানা যাবে।"
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.