ETV Bharat / state

ফোনে দিনভর ফেসবুক, মায়ের বকুনিতে আত্মঘাতী ছাত্রী - বকুনি মায়ের

জানা গিয়েছে, করোনায় স্কুল বন্ধ হওয়ার পর পড়াশোনায় প্রভাব পড়েছিল বিউটির ৷ স্কুলের সঙ্গে সঙ্গে গৃহশিক্ষকদের কাছে যাওয়ার বন্ধ হয়েছিল ৷ আগে তাঁর ফোন ছিল না ৷ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া টাকায় হাতে চলে আসে স্মার্টফোন ৷ ওই ফোনে পড়াশোনার থেকেও সোশ্যাল মিডিয়াতেই ব্যস্ত থাকত সে ৷

one-student-committed-suicide-at-gazole
one-student-committed-suicide-at-gazole
author img

By

Published : May 20, 2021, 10:39 PM IST

মালদা, 20 মে : করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যের পড়ুয়ারা যাতে অনলাইন ক্লাস থেকে বঞ্চিত না হয়, তার জন্য প্রত্যেককে স্মার্টফোন কেনার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ প্রত্যেক পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়েছিল রাজ্য সরকার ৷ সেই ফোনই কাল হল এক পড়ুয়ার ৷ পড়াশোনার থেকে বেশি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যস্ত হওয়ায় শাসন করেন মা ৷ বকুনির জেরে আত্মঘাতী হল পড়ুয়া ৷ ঘটনাটি ঘটেছে গাজোল ব্লকের রানিগঞ্জ গ্রামে ৷

মৃত ছাত্রীর নাম বিউটি বালো ৷ বয়স 19 বছর ৷ রানিগঞ্জ কৃষ্ণচন্দ্র উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রী ৷ এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর ৷ বাবা লালমোহন বালো বেশ কয়েক বছর আগে মারা গিয়েছেন ৷ মা টুবিদেবী দুই মেয়েকে মানুষ করছেন ৷ বিউটি ছোট মেয়ে ৷ একান্নবর্তী পরিবারের সদস্য তাঁরা ৷ কৃষি নির্ভর গোটা পরিবার ৷ রানিগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বাড়ি ৷ জানা গিয়েছে, করোনায় স্কুল বন্ধ হওয়ার পর পড়াশোনায় প্রভাব পড়েছিল বিউটির ৷ স্কুলের সঙ্গে সঙ্গে গৃহশিক্ষকদের কাছে যাওয়ার বন্ধ হয়েছিল ৷ আগে তাঁর ফোন ছিল না ৷ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া টাকায় হাতে চলে আসে স্মার্টফোন ৷ ওই ফোনে পড়াশোনার থেকেও সোশ্যাল মিডিয়াতেই ব্যস্ত থাকতেন তিনি ৷ যা নিয়ে বকাবকি করতেন মা টুবিদেবী ৷ গতকাল রাতেও মেয়েকে বকাঝকা করেন তিনি ৷ এতেই অভিমানী বিউটি রাতে ঘরে থাকা কীটনাশক খান ৷ মাঝরাতে তাঁকে গাজোল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা ৷ গাজোল থেকে তাঁকে মালদা মেডিকেলে স্থানান্তরিত করা হয় ৷ সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে ৷

বিউটির খুড়তুতো দাদা দেবেশ বালো বলেন, “স্মার্টফোন হাতে আসার পর বিউটির পড়াশোনা থেকে মন উঠে যায় ৷ ঠিকমতো পড়ত না ৷ গতকাল কাকিমা বকাবকি করেন ৷ এতেই অভিমানে ঘরে থাকা কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হয় সে ৷”

মালদা, 20 মে : করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যের পড়ুয়ারা যাতে অনলাইন ক্লাস থেকে বঞ্চিত না হয়, তার জন্য প্রত্যেককে স্মার্টফোন কেনার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ প্রত্যেক পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়েছিল রাজ্য সরকার ৷ সেই ফোনই কাল হল এক পড়ুয়ার ৷ পড়াশোনার থেকে বেশি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যস্ত হওয়ায় শাসন করেন মা ৷ বকুনির জেরে আত্মঘাতী হল পড়ুয়া ৷ ঘটনাটি ঘটেছে গাজোল ব্লকের রানিগঞ্জ গ্রামে ৷

মৃত ছাত্রীর নাম বিউটি বালো ৷ বয়স 19 বছর ৷ রানিগঞ্জ কৃষ্ণচন্দ্র উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রী ৷ এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর ৷ বাবা লালমোহন বালো বেশ কয়েক বছর আগে মারা গিয়েছেন ৷ মা টুবিদেবী দুই মেয়েকে মানুষ করছেন ৷ বিউটি ছোট মেয়ে ৷ একান্নবর্তী পরিবারের সদস্য তাঁরা ৷ কৃষি নির্ভর গোটা পরিবার ৷ রানিগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বাড়ি ৷ জানা গিয়েছে, করোনায় স্কুল বন্ধ হওয়ার পর পড়াশোনায় প্রভাব পড়েছিল বিউটির ৷ স্কুলের সঙ্গে সঙ্গে গৃহশিক্ষকদের কাছে যাওয়ার বন্ধ হয়েছিল ৷ আগে তাঁর ফোন ছিল না ৷ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া টাকায় হাতে চলে আসে স্মার্টফোন ৷ ওই ফোনে পড়াশোনার থেকেও সোশ্যাল মিডিয়াতেই ব্যস্ত থাকতেন তিনি ৷ যা নিয়ে বকাবকি করতেন মা টুবিদেবী ৷ গতকাল রাতেও মেয়েকে বকাঝকা করেন তিনি ৷ এতেই অভিমানী বিউটি রাতে ঘরে থাকা কীটনাশক খান ৷ মাঝরাতে তাঁকে গাজোল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা ৷ গাজোল থেকে তাঁকে মালদা মেডিকেলে স্থানান্তরিত করা হয় ৷ সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে ৷

বিউটির খুড়তুতো দাদা দেবেশ বালো বলেন, “স্মার্টফোন হাতে আসার পর বিউটির পড়াশোনা থেকে মন উঠে যায় ৷ ঠিকমতো পড়ত না ৷ গতকাল কাকিমা বকাবকি করেন ৷ এতেই অভিমানে ঘরে থাকা কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হয় সে ৷”

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.