মালদা, 9 এপ্রিল : কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ ৷ ওই কিশোরী উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ৷ মালদার হরিশচন্দ্রপুরের ঘটনা ৷ যদিও অভিযোগ পেয়েই তৎপরতার সঙ্গে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ ৷ ওই কিশোরীর অভিভাবক আজ 9 জনের বিরুদ্ধে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ৷
কিশোরীর আব্বা জানান, "গতকাল রাতে ঘরের বাইরে বাথরুমে গিয়েছিল মেয়ে ৷ সঙ্গে ওর আম্মাও ছিল ৷ তখন রাত প্রায় 1 টা ৷ সেই সময় পাশের গ্রামের এক যুবক আনজারুল মুসলেউদ্দিন সহ তার কয়েকজন বন্ধু মোটরবাইক নিয়ে আমাদের বাড়িতে আসে ৷ আমার বিবির উপস্থিতিতে মেয়েকে টেনে হিঁচড়ে বাইকে তুলে পালিয়ে যায় ৷ বিবির চিৎকারে ততক্ষণে আমিও বেরিয়ে আসি ৷ রাতেই মেয়েকে উদ্ধার করতে আনজারুলের বাড়িতে যাই ৷ কিন্তু তার বাড়ির লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাদের খুনের হুমকি দিতে শুরু করে ৷ আমার বিবির গলায় থাকা সোনার চেন ছিনিয়ে নেয় ৷ পরিস্থিতি বেগতিক দেখে আমি হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় ফোন মারফত সমস্ত ঘটনা জানাই ৷ খবর দিই চাইল্ড হেল্পলাইনেও ৷ অবশেষে আজ সকালে পুলিশ আমার মেয়েকে উদ্ধার করে ৷ আনজারুলকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় ৷ আজ আমি আনজারুল সহ মোট 9 জনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি ৷ "
ওই কিশোরীর নানি বলেন, " আমার মেয়ে আর নাতনি গতকাল রাতে বাথরুম যাওয়ার জন্য একসঙ্গেই ঘরের বাইরে বেরোয় ৷ আমার মেয়ে বাথরুমে ঢুকেছিল ৷ সেই সময় আনজারুলরা নাতনিকে জোর করে মোটরবাইকে তুলে নিয়ে পালায় ৷ নাতনির চিৎকারে মেয়ে বাথরুম থেকে বেরিয়ে এসে দেখি আনজারুলরা সেখান থেকে চলে যাচ্ছে ৷ রাতে আমরা সবাই আনজারুলদের বাড়ি যাই ৷ আমরা দেখতে পাই, একটি ছোটো ঘরে নাতনিকে তালা বন্ধ করে রাখা হয়েছে ৷ আমরা তাকে উদ্ধার করতে গেলে তারা আমাদের উপর হামলা চালায় ৷ অবশেষে পুলিশ এসে নাতনিকে উদ্ধার করে ৷ "
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ বলে, " অপহরণের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছে ৷ এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আনজারুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৷ তবে বাকি অভিযুক্তরা পলাতক ৷ তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে ৷ "
