ETV Bharat / state

মালদায় নৌকাতেই কোয়ারান্টাইনে বৃদ্ধ - covid 19

বৃদ্ধের বাড়ি নদিয়ার নবদ্বীপে ৷ দিন পাঁচেক আগে মালদায় ভাগ্নির বাড়িতে পৌঁছান তিনি । আপাতত সেখানেই নৌকায় কোয়ারান্টাইনে রয়েছেন ।

ছবি
ছবি
author img

By

Published : Apr 2, 2020, 7:12 PM IST

Updated : Apr 2, 2020, 7:20 PM IST

মালদা, 2 এপ্রিল : কীর্তন করে নানা জায়গায় ঘুরে বেড়ান । ঘুরতে ঘুরতেই মালদায় ভাগ্নির বাড়িতে পৌঁছেছিলেন। এদিকে গ্রামে তখন কোরোনা আতঙ্ক । খবর পেয়েই ওই বৃদ্ধকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। 14 দিন কোয়ারান্টাইনে থাকার কথা বলা হয়। কিন্তু ভাগ্নির পরিবারে পাঁচজন সদস্য । তাই আলাদা করে থাকার জায়গা হয়নি মামার । শেষমেশ নৌকার মধ্যেই কোয়ারান্টাইনে রয়েছেন তিনি । মালদার হবিবপুরের ঘটনা ।

বৃদ্ধের বাড়ি নদিয়ার নবদ্বীপে ৷ কীর্তন করেই দিন কাটে। কীর্তন করে নানা জায়গায় ঘুরে বেড়ান । ঘুরতে ঘুরতেই দিন পাঁচেক আগে পৌঁছান মালদায় ৷ লকডাউনে বন্ধ গণপরিষেবা ৷ তাই বাড়ি ফিরতে পারবেন না । এই অবস্থায় কোথায় যাবেন? কী করবেন ? ভাবতে ভাবতে পৌঁছে যান হবিবপুরের ডোবাপাড়ায় ভাগ্নির বাড়িতে ৷ কীর্তনের আসরে ঘুরে বেড়িয়েছেন। তাই মামা যে সংক্রমিত নন, তার কী নিশ্চয়তা আছে। তড়িঘড়ি বৃদ্ধকে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যান আশপাশের বাসিন্দারা । চিকিৎসকরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে 14 দিনের কোয়ারান্টাইনে থাকার পরামর্শ দেন নিরঞ্জনবাবুকে । কিন্তু এ যে উলটো বিপদ । একেই পাঁচজনের ভরা সংসার ভাগ্নির । এর মধ্যে আবার মামাকে কীভাবে কোয়ারান্টাইনে রাখবে ?

বিষয়টি নিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলোচনা করেন ভাগ্নির বাড়ির সদস্যরা । শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, বুলবুলচণ্ডী শ্মশানের পাশে টাঙন নদীতে বাঁধা নৌকায় রাখা হবে নিরঞ্জনবাবুকে ৷ এরপর থেকেই নৌকোই ঠিকানা বৃদ্ধের ৷ নির্দিষ্ট সময় অন্তর দূর থেকে নৌকা করে তাঁর কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে খাবার ও পানীয় জল ৷ শুধু ভাগ্নির বাড়ির লোকজন নয়, তাঁর সাহায্যে এগিয়ে এসেছে গ্রামের লোকজনও ৷

ডোবাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা তপন বিশ্বাস বলেন, "বৃদ্ধের বাড়ি নবদ্বীপে ৷ কীর্তন করে বেড়ান ৷ দিন কয়েক আগে এখানে ভাগ্নির বাড়িতে এসেছিলেন ৷ এখন সবার মধ্যে কোরোনা আতঙ্ক । প্রাথমিক পরীক্ষার পর তাঁর শরীরে কোরোনা ভাইরাস না পাওয়া গেলেও পুলিশ-প্রশাসন জানায়, বৃদ্ধকে 14 দিন হোম কোয়ারান্টাইনে রাখতে হবে ৷ তাঁর ভাগ্নির বাড়ির সদস্যরা এনিয়ে আমাদের সঙ্গে কথা বলে ৷ কোথাও কোনও জায়গা না পেয়ে শেষ পর্যন্ত আমরা টাঙন নদীতে বাঁধা একটি নৌকায় তাঁর থাকার ব্যবস্থা করেছি ৷ গ্রামবাসীদের পাশাপাশি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও তাঁকে খাবার সহ নানা প্রয়োজনীয় সামগ্রী দিচ্ছে ৷"

image
নৌকার মধ্যে কোয়ারান্টাইনে বৃদ্ধ

নিরঞ্জনবাবু বলেন, "পাঁচদিন আগে ভাগ্নির বাড়ি এসেছিলাম ৷ কোরোনা ভাইরাসের জন্য আমাকে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ৷ এখন 14 দিন কোয়ারান্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে ৷ ভাগ্নির বাড়িতে আর থাকতে দেয়নি ৷ তাই চারদিন ধরে নৌকোয় আছি ৷ তবে ভাগ্নির বাড়ি থেকে খাবার দিয়ে যাচ্ছে ৷ খবর পেয়েছি, মেয়ে এসে আমাকে এখান থেকে তাড়াতাড়ি বাড়ি নিয়ে যাবে ৷"

প্রশ্ন উঠেছে, নিরঞ্জনবাবুর কাছে খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রতিদিন পৌঁছে দেওয়া হলেও নদীতে তাঁর নিরাপত্তা কোথায়? এপ্রসঙ্গে হবিবপুরের BDO শুভজিৎ জানা বলেন, বিষয়টি তাঁর জানা ছিল না ৷ তিনি ওই বৃদ্ধকে সরকারি কোয়ারান্টাইন সেন্টারে পাঠানোর ব্যবস্থা করছেন ৷

কয়েকদিন আগে পুরুলিয়ায় গাছের মাচায় কোয়ারান্টাইনে থাকার খবর সামনে এসেছিল । গাছেই ছিলেন গ্রামের সাত শ্রমিক ৷ শেষে প্রশাসনের তরফে তাঁদের স্থানীয় ICDS সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয় ৷

মালদা, 2 এপ্রিল : কীর্তন করে নানা জায়গায় ঘুরে বেড়ান । ঘুরতে ঘুরতেই মালদায় ভাগ্নির বাড়িতে পৌঁছেছিলেন। এদিকে গ্রামে তখন কোরোনা আতঙ্ক । খবর পেয়েই ওই বৃদ্ধকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। 14 দিন কোয়ারান্টাইনে থাকার কথা বলা হয়। কিন্তু ভাগ্নির পরিবারে পাঁচজন সদস্য । তাই আলাদা করে থাকার জায়গা হয়নি মামার । শেষমেশ নৌকার মধ্যেই কোয়ারান্টাইনে রয়েছেন তিনি । মালদার হবিবপুরের ঘটনা ।

বৃদ্ধের বাড়ি নদিয়ার নবদ্বীপে ৷ কীর্তন করেই দিন কাটে। কীর্তন করে নানা জায়গায় ঘুরে বেড়ান । ঘুরতে ঘুরতেই দিন পাঁচেক আগে পৌঁছান মালদায় ৷ লকডাউনে বন্ধ গণপরিষেবা ৷ তাই বাড়ি ফিরতে পারবেন না । এই অবস্থায় কোথায় যাবেন? কী করবেন ? ভাবতে ভাবতে পৌঁছে যান হবিবপুরের ডোবাপাড়ায় ভাগ্নির বাড়িতে ৷ কীর্তনের আসরে ঘুরে বেড়িয়েছেন। তাই মামা যে সংক্রমিত নন, তার কী নিশ্চয়তা আছে। তড়িঘড়ি বৃদ্ধকে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যান আশপাশের বাসিন্দারা । চিকিৎসকরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে 14 দিনের কোয়ারান্টাইনে থাকার পরামর্শ দেন নিরঞ্জনবাবুকে । কিন্তু এ যে উলটো বিপদ । একেই পাঁচজনের ভরা সংসার ভাগ্নির । এর মধ্যে আবার মামাকে কীভাবে কোয়ারান্টাইনে রাখবে ?

বিষয়টি নিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলোচনা করেন ভাগ্নির বাড়ির সদস্যরা । শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, বুলবুলচণ্ডী শ্মশানের পাশে টাঙন নদীতে বাঁধা নৌকায় রাখা হবে নিরঞ্জনবাবুকে ৷ এরপর থেকেই নৌকোই ঠিকানা বৃদ্ধের ৷ নির্দিষ্ট সময় অন্তর দূর থেকে নৌকা করে তাঁর কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে খাবার ও পানীয় জল ৷ শুধু ভাগ্নির বাড়ির লোকজন নয়, তাঁর সাহায্যে এগিয়ে এসেছে গ্রামের লোকজনও ৷

ডোবাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা তপন বিশ্বাস বলেন, "বৃদ্ধের বাড়ি নবদ্বীপে ৷ কীর্তন করে বেড়ান ৷ দিন কয়েক আগে এখানে ভাগ্নির বাড়িতে এসেছিলেন ৷ এখন সবার মধ্যে কোরোনা আতঙ্ক । প্রাথমিক পরীক্ষার পর তাঁর শরীরে কোরোনা ভাইরাস না পাওয়া গেলেও পুলিশ-প্রশাসন জানায়, বৃদ্ধকে 14 দিন হোম কোয়ারান্টাইনে রাখতে হবে ৷ তাঁর ভাগ্নির বাড়ির সদস্যরা এনিয়ে আমাদের সঙ্গে কথা বলে ৷ কোথাও কোনও জায়গা না পেয়ে শেষ পর্যন্ত আমরা টাঙন নদীতে বাঁধা একটি নৌকায় তাঁর থাকার ব্যবস্থা করেছি ৷ গ্রামবাসীদের পাশাপাশি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও তাঁকে খাবার সহ নানা প্রয়োজনীয় সামগ্রী দিচ্ছে ৷"

image
নৌকার মধ্যে কোয়ারান্টাইনে বৃদ্ধ

নিরঞ্জনবাবু বলেন, "পাঁচদিন আগে ভাগ্নির বাড়ি এসেছিলাম ৷ কোরোনা ভাইরাসের জন্য আমাকে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ৷ এখন 14 দিন কোয়ারান্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে ৷ ভাগ্নির বাড়িতে আর থাকতে দেয়নি ৷ তাই চারদিন ধরে নৌকোয় আছি ৷ তবে ভাগ্নির বাড়ি থেকে খাবার দিয়ে যাচ্ছে ৷ খবর পেয়েছি, মেয়ে এসে আমাকে এখান থেকে তাড়াতাড়ি বাড়ি নিয়ে যাবে ৷"

প্রশ্ন উঠেছে, নিরঞ্জনবাবুর কাছে খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রতিদিন পৌঁছে দেওয়া হলেও নদীতে তাঁর নিরাপত্তা কোথায়? এপ্রসঙ্গে হবিবপুরের BDO শুভজিৎ জানা বলেন, বিষয়টি তাঁর জানা ছিল না ৷ তিনি ওই বৃদ্ধকে সরকারি কোয়ারান্টাইন সেন্টারে পাঠানোর ব্যবস্থা করছেন ৷

কয়েকদিন আগে পুরুলিয়ায় গাছের মাচায় কোয়ারান্টাইনে থাকার খবর সামনে এসেছিল । গাছেই ছিলেন গ্রামের সাত শ্রমিক ৷ শেষে প্রশাসনের তরফে তাঁদের স্থানীয় ICDS সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয় ৷

Last Updated : Apr 2, 2020, 7:20 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.