ETV Bharat / state

অঙ্গনওয়াড়ির চাল-ডিম বিক্রির অভিযোগ, পরিদর্শনে প্রশাসনিক কর্তারা - হরিশ্চন্দ্রপুর

এলাকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে মিড-ডে মিলের দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছিল কাউয়ামারি গ্রামের বাসিন্দারা ৷ কয়েকদিন আগে তারা এনিয়ে বিক্ষোভ দেখায় ৷ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে তালা মেরে দেয় ৷ দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখা হয় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদেরও ৷ পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে ৷

photo
author img

By

Published : Aug 26, 2019, 10:31 PM IST

মালদা, 26 অগাস্ট : চুঁচুড়ার স্কুলে মিড-ডে মিলে নুন-ভাত শোরগোল ফেলেছিল রাজ্যজুড়ে ৷ সেই ঘটনার পর স্কুলের মিড-ডে মিল নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার । কিন্তু স্কুলগুলিতে এনিয়ে কড়া নজরদারি চালু হলেও সেই ব্যবস্থা দেখা যায়নি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে ৷ এলাকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে নিম্নমানের খাবার দেওয়ার অভিযোগ তুলে সরব হয় হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লকের কাউয়ামারি এলাকার বাসিন্দারা ৷ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের জন্য বরাদ্দ চাল ও ডিম খোলাবাজারে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ তুলে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভও দেখায় ৷ অভিযোগ জানায় চাঁচলের মহকুমাশাসককে ৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আজ কাউয়ামারি এলাকায় একাধিক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র পরিদর্শন করেন মহকুমাশাসক সব্যসাচী রায়, BDO অনির্বাণ বসু, SDPO অনুপ সরকার সহ অন্য প্রশাসনিক কর্তারা ৷ তাঁদের কাছে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দেয় গ্রামবাসীরা ৷

এলাকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে মিড-ডে মিলের দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছিল কাউয়ামারি গ্রামের বাসিন্দারা ৷ কয়েকদিন আগে তারা এনিয়ে বিক্ষোভ দেখায় ৷ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে তালা মেরে দেয় ৷ দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখা হয় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদেরও ৷ পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে ৷ এদিকে এই মুহূর্তে গোটা রাজ্যেই মিড-ডে মিল নিয়ে সতর্ক রয়েছে রাজ্য সরকার ৷ তাই আজ তড়িঘড়ি এলাকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে মিড-ডে মিলের মান পরিদর্শন করতে যান প্রশাসনিক কর্তারা ৷ তাঁরা কাউয়ামারি ছাড়াও পিপলা, মধ্যপাড়া, গঙ্গাপাড়া সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি ঘুরে দেখেন ৷ কথা বলেন গ্রামবাসীদের সঙ্গে ৷ স্থানীয়রাও তাঁদের কাছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির মিড-ডে মিল দুর্নীতি তুলে ধরে ৷

স্থানীয় বাসিন্দা পবিত্রি দাস বলেন, "আজ অফিসাররা এখানে এসেছিলেন ৷ তাঁরা সব সেন্টার ঘুরে দেখেন ৷ আমরা তাঁদের বলেছি, এলাকার কোনও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বাচ্চাদের ঠিকমতো খাবার দেওয়া হয় না ৷ আমরা চাই, সেন্টারে বাচ্চারা ভালো খাবার পাক ৷ তাদের জন্য বরাদ্দ ডিম-কলা তাদেরই দেওয়া হোক ৷ তাদের খাবার বাইরে বিক্রি করে দেওয়া আমরা কিছুতেই বরদাস্ত করব না ৷"

মহকুমাশাসক সব্যসাচী রায় অবশ্য আজকের পরিদর্শনের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি ৷ তিনি শুধু বলেন, "আমরা আজ এলাকার বিভিন্ন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র পরিদর্শন করছি ৷ এই পরিদর্শনের রিপোর্ট জেলাশাসককে পাঠিয়ে দেব ৷"

মালদা, 26 অগাস্ট : চুঁচুড়ার স্কুলে মিড-ডে মিলে নুন-ভাত শোরগোল ফেলেছিল রাজ্যজুড়ে ৷ সেই ঘটনার পর স্কুলের মিড-ডে মিল নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার । কিন্তু স্কুলগুলিতে এনিয়ে কড়া নজরদারি চালু হলেও সেই ব্যবস্থা দেখা যায়নি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে ৷ এলাকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে নিম্নমানের খাবার দেওয়ার অভিযোগ তুলে সরব হয় হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লকের কাউয়ামারি এলাকার বাসিন্দারা ৷ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের জন্য বরাদ্দ চাল ও ডিম খোলাবাজারে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ তুলে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভও দেখায় ৷ অভিযোগ জানায় চাঁচলের মহকুমাশাসককে ৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আজ কাউয়ামারি এলাকায় একাধিক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র পরিদর্শন করেন মহকুমাশাসক সব্যসাচী রায়, BDO অনির্বাণ বসু, SDPO অনুপ সরকার সহ অন্য প্রশাসনিক কর্তারা ৷ তাঁদের কাছে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দেয় গ্রামবাসীরা ৷

এলাকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে মিড-ডে মিলের দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছিল কাউয়ামারি গ্রামের বাসিন্দারা ৷ কয়েকদিন আগে তারা এনিয়ে বিক্ষোভ দেখায় ৷ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে তালা মেরে দেয় ৷ দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখা হয় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদেরও ৷ পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে ৷ এদিকে এই মুহূর্তে গোটা রাজ্যেই মিড-ডে মিল নিয়ে সতর্ক রয়েছে রাজ্য সরকার ৷ তাই আজ তড়িঘড়ি এলাকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে মিড-ডে মিলের মান পরিদর্শন করতে যান প্রশাসনিক কর্তারা ৷ তাঁরা কাউয়ামারি ছাড়াও পিপলা, মধ্যপাড়া, গঙ্গাপাড়া সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি ঘুরে দেখেন ৷ কথা বলেন গ্রামবাসীদের সঙ্গে ৷ স্থানীয়রাও তাঁদের কাছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির মিড-ডে মিল দুর্নীতি তুলে ধরে ৷

স্থানীয় বাসিন্দা পবিত্রি দাস বলেন, "আজ অফিসাররা এখানে এসেছিলেন ৷ তাঁরা সব সেন্টার ঘুরে দেখেন ৷ আমরা তাঁদের বলেছি, এলাকার কোনও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বাচ্চাদের ঠিকমতো খাবার দেওয়া হয় না ৷ আমরা চাই, সেন্টারে বাচ্চারা ভালো খাবার পাক ৷ তাদের জন্য বরাদ্দ ডিম-কলা তাদেরই দেওয়া হোক ৷ তাদের খাবার বাইরে বিক্রি করে দেওয়া আমরা কিছুতেই বরদাস্ত করব না ৷"

মহকুমাশাসক সব্যসাচী রায় অবশ্য আজকের পরিদর্শনের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি ৷ তিনি শুধু বলেন, "আমরা আজ এলাকার বিভিন্ন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র পরিদর্শন করছি ৷ এই পরিদর্শনের রিপোর্ট জেলাশাসককে পাঠিয়ে দেব ৷"

Intro:মালদা, ২৬ অগাস্ট : চুঁচুড়ার স্কুলে মিড-ডে মিলের নুন-ভাত শোরগোল ফেলেছিল রাজ্য জুড়ে৷ সেই ঘটনার পর স্কুলের মিড-ডে মিল নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার৷ স্কুলের মিড-ডে মিলের খাবারের তালিকা ঠিক করে দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী৷ কিন্তু স্কুলগুলিতে এনিয়ে কড়া নজরদারি চালু হলেও সেই ব্যবস্থা দেখা যায়নি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে৷ চুঁচুড়া কাণ্ডের ঠিক পরেই এলাকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে নিম্নমানের খাবার দেওয়ার অভিযোগ তুলে সরব হয় হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের কাউয়ামারি এলাকার বাসিন্দারা৷ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের জন্য বরাদ্দ চাল ও ডিম খোলাবাজারে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ তুলে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভও দেখায়৷ অভিযোগ জানায় চাঁচলের মহকুমাশাসককে৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আজ কাউয়ামারি এলাকায় একাধিক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র পরিদর্শন করেন মহকুমাশাসক সব্যসাচী রায়, বিডিও অনির্বাণ বসু, সিডিপিও অনুপ সরকার সহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তারা৷ তাঁদের কাছে নিজেদের ক্ষোভ উগড়ে দেয় গ্রামবাসীরাও৷Body:         এলাকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে মিড-ডে মিলের দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছিল কাউয়ামারি গ্রামের বাসিন্দারা৷ কয়েকদিন আগে তারা এনিয়ে আন্দোলন দেখায়৷ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে তালা মেরে দেয়৷ দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখা হয় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের৷ পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে৷ এদিকে এই মুহূর্তে গোটা রাজ্যেই মিড-ডে মিল নিয়ে সতর্ক রয়েছে রাজ্য সরকার৷ তাই আজ তড়িঘড়ি এলাকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে মিড-ডে মিলের মান পরিদর্শন করতে যান প্রশাসনিক কর্তারা৷ তাঁরা কাউয়ামারি ছাড়াও পিপলা, মধ্যপাড়া, গঙ্গাপাড়া সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি ঘুরে দেখেন৷ কথা বলেন গ্রামবাসীদের সঙ্গে৷ স্থানীয়রাও তাঁদের কাছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির মিড-ডে মিল দুর্নীতি তুলে ধরে৷Conclusion:         স্থানীয় বাসিন্দা পবিত্রি দাস বলেন, "আজ অফিসাররা এখানে এসেছিলেন৷ তাঁরা সব সেন্টার ঘুরে দেখেন৷ আমরা তাঁদের বলেছি, এলাকার কোনও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বাচ্চাদের ঠিকমতো খাবার দেওয়া হয় না৷ আমরা চাই, সেন্টারে বাচ্চারা ভালো খাবার পাক৷ তাদের জন্য বরাদ্দ ডিম-কলা তাদেরই দেওয়া হোক৷ তাদের খাবার বাইরে বিক্রি করে দেওয়া আমরা কিছুতেই বরদাস্ত করব না৷" মহকুমাশাসক সব্যসাচী রায় অবশ্য আজকের পরিদর্শনের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি৷ তিনি শুধু বলেন, "আমরা আজ এলাকার বিভিন্ন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র পরিদর্শন করছি৷ এই পরিদর্শনের রিপোর্ট জেলাশাসককে পাঠিয়ে দেব৷"
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.