মালদা, 25 অগস্ট: কোনও কিছু দিয়েই মানব জীবনের ক্ষতিপূরণ হয় না । ভারতে কোনও রাজ্যে যাতে এ ধরনের ঘটনা আগামী দিনে না ঘটে, পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কী করলে ভালো হয়, তা আমরা একত্রিত হয়ে সিদ্ধান্ত নেব । মিজোরামে দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার আগে মালদা টাউন স্টেশনে এই মন্তব্য করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ।
আজ সকালে হাওড়া থেকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে মালদায় আসার কথা ছিল রাজ্যপালের। কিন্তু যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে অন্য একটি ট্রেনে মালদায় যান রাজ্যপাল । ওই স্পেশাল ট্রেনে 11টা 39 মিনিটে মালদায় নামেন তিনি । স্টেশনের বিশ্রামাগারে কিছুক্ষণ ডিআরএমের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল । সেখানেই কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে তাঁর হাতে নিজেদের দাবি তুলে দেন । এরপর রাজ্যপাল সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রতুয়া 2 ব্লকে কোকলামারি এলাকায় নিহত শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার জন্য রওনা দেন ।
রাজ্যপাল বলেন, “মিজোরামে দুর্ঘটনায় শ্রমিক ভাইদের মৃত্যুতে আমি শোকাহত । আমি ঈশ্বরের কাছে তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা করছি । পুরো বাংলা দুঃখিত । আমার ভাইয়েরা আমাদের ছেড়ে স্বর্গে ভগবানের কাছে গিয়েছেন । আমরা তাঁদের পরিবারের পাশে থাকব ।”
আজ মালদা টাউন স্টেশনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী বলেন, রাজ্য সরকারের ক্ষতিপূরণ যথেষ্ট নয় । পাশাপাশি তিনি নিহত শ্রমিকদের পরিবারের একজনের চাকরির দাবি তুলেছেন ।
আরও পড়ুন: মালদায় গেলেন রাজ্যপাল, দেখা করবেন মিজোরামে মৃত শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে
এ নিয়ে রাজ্যপালের প্রতিক্রিয়া, “মানব জীবনের মূল্য ক্ষতিপূরণ দিয়ে পূরণ করা যায় না । আমি মালদা রেলওয়ে ডিভিশনের ডিআরএম এবং রেলমন্ত্রীর থেকে জানতে পেরেছি, এই দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের 10 লক্ষ টাকা, গুরুতর আহতদের 2 লক্ষ টাকা এবং অল্পবিস্তর আহতদের 50 হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে রেল দফতর । রাজ্য সরকারের তরফেও কিছু ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করা হয়েছে । এই দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি । ওই পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করে ক্ষতিপূরণের অংক নিয়ে সঠিক জায়গায় পৌঁছনো যাবে । এ ধরনের ঘটনা যাতে আগামী দিনে না ঘটে এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কী করলে ভালো হয় তা নিয়ে আমরা একত্রিত হয়ে সিদ্ধান্ত নেব ।”