ETV Bharat / state

Murder at Malda : কাকিমাকে প্রেম নিবেদনে সাড়া না পেয়ে কাকাকে খুন করে পলাতক ভাইপো - কাকিমার প্রেম না মেয়ে কাকাকে খুন

গভীর রাতে কোনওভাবে কাকার ঘরে ঢুকে পড়ে অভিযুক্ত । চাকু দিয়ে কাকার পেটে আঘাত করে সে । এর পর সেখান থেকে পালিয়ে যায় ৷

s
s
author img

By

Published : Aug 21, 2021, 6:26 PM IST

Updated : Aug 21, 2021, 7:50 PM IST

মালদা, 21 অগস্ট : কাকিমাকে মাঝেমধ্যেই কুপ্রস্তাব দিত ভাসুরের ছেলে। এমনকি বেশ কয়েকবার কাকিমার শ্লীলতাহানি করারও চেষ্টা করে। পরিবারের সম্মানের কথা ভেবে এনিয়ে ভাইপোর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেননি কাকা । কিন্তু এই ঘটনা নিয়ে গ্রামে সালিশি সভা বসে। সভায় ভাইপোকে তিরষ্কার করেন সমাজের মাতব্বররা। সালিশি সভা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত গতকাল রাতে ঘুমন্ত কাকার পেটে চাকু মেরে খুন করে ভাইপো। ঘটনাটি ঘটেছে মানিকচক ব্লকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত ভাইপো। তার সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে মানিকচক থানার পুলিশ।

নিহত ব্যক্তির নাম মানিক মণ্ডল। বয়স 48 বছর। পেশায় কৃষক। তাঁর দুই মেয়ে ও এক ছেলে। অভিযুক্ত যুবক প্রশান্ত মণ্ডল তাঁর ভাইপো। তবে জ্ঞাতি সম্পর্কের। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে মানিক মণ্ডলের স্ত্রীকে উত্যক্ত করত প্রশান্ত। কাকিমার সঙ্গে সে ভালবাসার সম্পর্ক তৈরি করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ । যদিও কাকিমা তাতে রাজি হয়নি । এর পর সে কাকিমার শ্লীলতাহানিরও চেষ্টা করে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা শোরগোল ফেলেছিল গ্রামে। এনিয়ে গ্রামে সালিশি সভা বসে। সেই সভায় প্রশান্তকে তিরষ্কার করেন গ্রামের মাতব্বররা। তার পর থেকেই দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। গতকাল রাতে ছোট মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন মানিক মণ্ডল। গভীর রাতে কোনওভাবে সেই ঘরে ঢুকে পড়ে প্রশান্ত। চাকু দিয়ে কাকার পেটে আঘাত করে সে। সেই সময় মানিক মণ্ডলের চিৎকারে বাড়ির অন্যদের ঘুম ভেঙে যায়। সবাই প্রশান্তকে ধরার চেষ্টা করলেও সে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত মানিক মণ্ডলকে তড়িঘড়ি মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও চিকিৎসকরা জানান, তিনি মৃত । খবর পেয়ে দেহ হেফাজতে নেয় মানিকচক থানার পুলিশ। আজ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।

কাকাকে খুন করে পলাতক ভাইপো ৷

প্রশান্তের খোঁজ না পেলেও তার বাবা দেবেন মণ্ডলকে আটক করেছে পুলিশ। গ্রামের এক বাসিন্দা পাতানু মণ্ডল বলেন, “কয়েক বছর ধরেই দুই পরিবারের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। কাকিমাকে নিয়েই ঝামেলা। ছেলেটি তার কাকিমাকে ভালবাসতে চায়। এদিকে কাকিমার তিন ছেলেমেয়ে রয়েছে। বড় মেয়ের বিয়েও হয়ে গিয়েছে। তবে গতকাল তেমন কোনও ঘটনা হয়নি। রাতে আমরা সবাই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। হঠাৎ বাড়ির লোকজন আমাকে ডেকে তোলে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি, প্রশান্ত মানিকের পেটে চাকু ঢুকিয়ে দিয়েছে।”

আরও পড়ুন: Murdered : জমি বিবাদের জেরে ভাইকে খুন, আটক অভিযুক্ত

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মানিক মণ্ডলের ছোট মেয়ে মামনি মণ্ডল জানায়, “রাতে আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ বাবার চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায়। তখন প্রশান্ত বাবার পেটে চাকু ঢুকিয়ে দিয়েছে। তা দেখেই আমি চিৎকার করে মাকে ডাকি। প্রশান্ত সেখান থেকে পালিয়ে যায়। আমি তাকে ধরার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু পারিনি। প্রশান্ত আমার দাদা হয়। অনেকদিন ধরে আমার মাকে জ্বালাত। বাবার রক্ত আমার জামাতেও লেগে গিয়েছে।”

মানিকচক থানার আইসি অক্ষয় পাল জানিয়েছেন, এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত প্রশান্ত মণ্ডল পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার বাবাকে আটক করা হয়েছে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।

মালদা, 21 অগস্ট : কাকিমাকে মাঝেমধ্যেই কুপ্রস্তাব দিত ভাসুরের ছেলে। এমনকি বেশ কয়েকবার কাকিমার শ্লীলতাহানি করারও চেষ্টা করে। পরিবারের সম্মানের কথা ভেবে এনিয়ে ভাইপোর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেননি কাকা । কিন্তু এই ঘটনা নিয়ে গ্রামে সালিশি সভা বসে। সভায় ভাইপোকে তিরষ্কার করেন সমাজের মাতব্বররা। সালিশি সভা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত গতকাল রাতে ঘুমন্ত কাকার পেটে চাকু মেরে খুন করে ভাইপো। ঘটনাটি ঘটেছে মানিকচক ব্লকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত ভাইপো। তার সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে মানিকচক থানার পুলিশ।

নিহত ব্যক্তির নাম মানিক মণ্ডল। বয়স 48 বছর। পেশায় কৃষক। তাঁর দুই মেয়ে ও এক ছেলে। অভিযুক্ত যুবক প্রশান্ত মণ্ডল তাঁর ভাইপো। তবে জ্ঞাতি সম্পর্কের। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে মানিক মণ্ডলের স্ত্রীকে উত্যক্ত করত প্রশান্ত। কাকিমার সঙ্গে সে ভালবাসার সম্পর্ক তৈরি করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ । যদিও কাকিমা তাতে রাজি হয়নি । এর পর সে কাকিমার শ্লীলতাহানিরও চেষ্টা করে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা শোরগোল ফেলেছিল গ্রামে। এনিয়ে গ্রামে সালিশি সভা বসে। সেই সভায় প্রশান্তকে তিরষ্কার করেন গ্রামের মাতব্বররা। তার পর থেকেই দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। গতকাল রাতে ছোট মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন মানিক মণ্ডল। গভীর রাতে কোনওভাবে সেই ঘরে ঢুকে পড়ে প্রশান্ত। চাকু দিয়ে কাকার পেটে আঘাত করে সে। সেই সময় মানিক মণ্ডলের চিৎকারে বাড়ির অন্যদের ঘুম ভেঙে যায়। সবাই প্রশান্তকে ধরার চেষ্টা করলেও সে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত মানিক মণ্ডলকে তড়িঘড়ি মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও চিকিৎসকরা জানান, তিনি মৃত । খবর পেয়ে দেহ হেফাজতে নেয় মানিকচক থানার পুলিশ। আজ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।

কাকাকে খুন করে পলাতক ভাইপো ৷

প্রশান্তের খোঁজ না পেলেও তার বাবা দেবেন মণ্ডলকে আটক করেছে পুলিশ। গ্রামের এক বাসিন্দা পাতানু মণ্ডল বলেন, “কয়েক বছর ধরেই দুই পরিবারের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। কাকিমাকে নিয়েই ঝামেলা। ছেলেটি তার কাকিমাকে ভালবাসতে চায়। এদিকে কাকিমার তিন ছেলেমেয়ে রয়েছে। বড় মেয়ের বিয়েও হয়ে গিয়েছে। তবে গতকাল তেমন কোনও ঘটনা হয়নি। রাতে আমরা সবাই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। হঠাৎ বাড়ির লোকজন আমাকে ডেকে তোলে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি, প্রশান্ত মানিকের পেটে চাকু ঢুকিয়ে দিয়েছে।”

আরও পড়ুন: Murdered : জমি বিবাদের জেরে ভাইকে খুন, আটক অভিযুক্ত

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মানিক মণ্ডলের ছোট মেয়ে মামনি মণ্ডল জানায়, “রাতে আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ বাবার চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায়। তখন প্রশান্ত বাবার পেটে চাকু ঢুকিয়ে দিয়েছে। তা দেখেই আমি চিৎকার করে মাকে ডাকি। প্রশান্ত সেখান থেকে পালিয়ে যায়। আমি তাকে ধরার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু পারিনি। প্রশান্ত আমার দাদা হয়। অনেকদিন ধরে আমার মাকে জ্বালাত। বাবার রক্ত আমার জামাতেও লেগে গিয়েছে।”

মানিকচক থানার আইসি অক্ষয় পাল জানিয়েছেন, এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত প্রশান্ত মণ্ডল পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার বাবাকে আটক করা হয়েছে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।

Last Updated : Aug 21, 2021, 7:50 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.