মালদা, 10 মে: বহরমপুরে কলেজ ছাত্রী সুতপা চৌধুরীর খুনের ঘটনার তদন্তে মালদায় বহরমপুর পুলিশের দল (Berhampore College Student Murder Case ) । এদিন তদন্তকারীরা দীর্ঘক্ষণ পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বললেও স্থানীয় কাউন্সিলরের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যাননি ৷
উল্লেখ্য, গত 2 মে বহরমপুরের শহিদ সূর্য সেন রোডে খুন হন কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সুতপা চৌধুরী । এই ঘটনায় অভিযুক্ত সুতপার প্রাক্তন প্রেমিক সুশান্ত চৌধুরীকে কয়েকঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার করে পুলিশ । এই ঘটনার তদন্তেই মঙ্গলবার মালদায় তদন্তে আসে বহরমপুর পুলিশের একটি দল । সুতপা চৌধুরীর বাবা স্বাধীন চৌধুরীকে নিয়ে দিন প্রথমে কালিয়াচকের রাজনগর গ্রামে যান তদন্তকারী অফিসাররা । বিকেলে তাঁরা আসেন স্বাধীনবাবুর এয়ারভিউ কমপ্লেক্সের বাড়িতে । বাড়িতে দীর্ঘক্ষণ পরিবারের লোকজন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা । সুতপার ঘরেও তল্লাশি চালানো হয় ৷
আরও পড়ুন : আগেও মিলেছিল খুনের হুমকি, মেয়ের নিথর দেহ গ্রামে ফিরতেই কান্নায় ভেঙে পড়ল পরিবার
তবে স্থানীয়দের দাবি, কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ ঘোষের সঙ্গে কথা বলতে এদিন দেখা যায়নি তদন্তকারী অফিসারদের । এনিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷ স্থানীয়দের গলাতে বারবার উঠে এসেছে, সুতপা-সুশান্তের সম্পর্কের মধ্যে এলাকা নিয়ে বিবাদের কথা । সেই সময় স্থানীয় কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়া হয়েছিল । সুতপা-সুশান্তের ভবিষ্যতের কথা ভেবে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়নি ।
এদিকে, সুশান্তের পরিবার বারবার অভিযোগ করেছে, স্থানীয় ক্লাবের ছেলেদের নিয়ে সুশান্তকে নানাভাবে হেনস্তা করা হয়েছিল । তবে তদন্ত নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে কিছু জানাতে রাজি হননি তদন্তকারী অফিসাররা । কিছু বলতে চাননি সুতপার বাবা স্বাধীনবাবুও। পুলিশের সঙ্গে যেতে যেতে তাঁর মুখে একটাই কথা, “তদন্তের স্বার্থে সংবাদমাধ্যমকে কিছু বলা যাবে না ।” সুশান্তকে মারধর প্রসঙ্গে তিনি জানান, “সব মিথ্যে কথা ।”