ETV Bharat / state

River Erosion in Malda: ফুলহরের ভাঙন পরিদর্শনে গিয়ে রাজ্যকে তুলোধনা সাংসদ খগেনের

5-7টি গ্রামের পরিস্থিতি অত্যন্ত বিপজ্জনক ৷ প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যে গ্রামবাসীদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়েছে ৷ আজ, বুধবার উত্তর মালদার সাংসদ পরিদর্শনে গিয়ে রাজ্য সরকারকে তুলোধনা করেন ৷

River Erosion in Malda
রাজ্যকে তুলোধনা সাংসদ খগেনের
author img

By

Published : Jul 19, 2023, 10:49 PM IST

রাজ্যকে তুলোধনা সাংসদ খগেনের

মালদা, 19 জুলাই: ভোট মিটতেই ফুলহরের আতঙ্কে রাত কাটছে হরিশ্চন্দ্রপুর 2 নম্বর ব্লকের ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের 5-7টি গ্রামের ৷ একদিকে নদীর জলোচ্ছ্বাস, তারসঙ্গে ভাঙনে ত্রস্ত পাঁচ থেকে সাত হাজার মানুষ ৷ যেভাবে নদী পাড় কাটছে, তাতে আগামিদিনে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে ৷ ভাঙন রোধের অস্থায়ী কাজও শুরু করেছে জেলা সেচ দফতরের মহানন্দা এমব্যাংকমেন্ট ডিভিশন ৷ বুধবার ওই এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে সেই কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় সাংসদ খগেন মুর্মু ৷ ভাঙন ইস্যুতে এদিন রাজ্য সরকারকে তুলোধনা করেছেন তিনি ৷

ফুলহরের ভাঙনে বিপজ্জনক হয়ে রয়েছে কাউয়াডোল, রশিদপুর, উত্তর ভাকুরিয়া, দক্ষিণ ভাকুরিয়া, মীরপাড়া, তাঁতিপাড়া গ্রামগুলি ৷ ইতিমধ্যে অনেক মানুষ নিজেদের ঘর ছেড়ে নিরাপদ জায়গায় সরে গিয়েছেন ৷ সোমবার এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে মন্ত্রী তজমুল হোসেনও ফুলহরের পরিস্থিতি নিয়ে নিজের উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন ৷ তিনি জানিয়েছিলেন, বিপন্ন গ্রামবাসীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হবে ৷ তাঁর পরিদর্শনের পরেই ব্লক প্রশাসন দুর্গতদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যেতে শুরু করে ৷

বুধবার সাংসদ এলাকা পরিদর্শনে গেলে তাঁর কাছে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দেন গ্রামবাসীরা ৷ সাংসদকে তাঁরা জানান, প্রতি বস্তায় মাত্র 10 কিলো করে মাটি ভরা হচ্ছে ৷ গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ৷ গ্রামের 120টি পরিবার খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছে ৷ ঘরে খাবার নেই ৷ প্রশাসনের তরফে গ্রামে কেউ আসেনি ৷ সরকার কিছু না-করলে তাঁরা ফুলহরের জন্যই মারা পড়বেন ৷ সাংসদকে এক মহিলা বলেন, "এখানে কোনও কাজ হচ্ছে না ৷ আমরা পুনর্বাসনের জায়গা চাই ৷ ফুলহরের দাপটে এখানে আমরা থাকতে পারব না ৷ নেতারাই সব টাকা খেয়ে নিচ্ছে ৷"

সাংসদ বলেন, "শুধু মানুষকে দেখাতে এখানে কাজ হচ্ছে ৷ আসলে বন্যা ভাঙন শুরু হলে সেচ দফতরের ঘুম ভাঙে ৷ সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী মালদার মানুষ ৷ তিনি এখন ফোন ধরছেন না ৷ অথচ কেন্দ্র থেকে বারবার রাজ্যকে বলা হয়েছে, এখানে ভাঙন রোধের স্থায়ী ব্যবস্থা করতে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হোক ৷ বিপন্ন মানুষজনকে এখান থেকে অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত রাজ্য সরকারের ৷ এবার আমরা আমরা কিন্তু জেলাশাসকের দফতর ঘেরাও করব ৷ "

আরও পড়ুন: মরশুমের প্রথম নদী ভাঙন শুরু ফুলহরের, বিপন্ন একাধিক গ্রাম

রাজ্যকে তুলোধনা সাংসদ খগেনের

মালদা, 19 জুলাই: ভোট মিটতেই ফুলহরের আতঙ্কে রাত কাটছে হরিশ্চন্দ্রপুর 2 নম্বর ব্লকের ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের 5-7টি গ্রামের ৷ একদিকে নদীর জলোচ্ছ্বাস, তারসঙ্গে ভাঙনে ত্রস্ত পাঁচ থেকে সাত হাজার মানুষ ৷ যেভাবে নদী পাড় কাটছে, তাতে আগামিদিনে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে ৷ ভাঙন রোধের অস্থায়ী কাজও শুরু করেছে জেলা সেচ দফতরের মহানন্দা এমব্যাংকমেন্ট ডিভিশন ৷ বুধবার ওই এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে সেই কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় সাংসদ খগেন মুর্মু ৷ ভাঙন ইস্যুতে এদিন রাজ্য সরকারকে তুলোধনা করেছেন তিনি ৷

ফুলহরের ভাঙনে বিপজ্জনক হয়ে রয়েছে কাউয়াডোল, রশিদপুর, উত্তর ভাকুরিয়া, দক্ষিণ ভাকুরিয়া, মীরপাড়া, তাঁতিপাড়া গ্রামগুলি ৷ ইতিমধ্যে অনেক মানুষ নিজেদের ঘর ছেড়ে নিরাপদ জায়গায় সরে গিয়েছেন ৷ সোমবার এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে মন্ত্রী তজমুল হোসেনও ফুলহরের পরিস্থিতি নিয়ে নিজের উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন ৷ তিনি জানিয়েছিলেন, বিপন্ন গ্রামবাসীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হবে ৷ তাঁর পরিদর্শনের পরেই ব্লক প্রশাসন দুর্গতদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যেতে শুরু করে ৷

বুধবার সাংসদ এলাকা পরিদর্শনে গেলে তাঁর কাছে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দেন গ্রামবাসীরা ৷ সাংসদকে তাঁরা জানান, প্রতি বস্তায় মাত্র 10 কিলো করে মাটি ভরা হচ্ছে ৷ গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ৷ গ্রামের 120টি পরিবার খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছে ৷ ঘরে খাবার নেই ৷ প্রশাসনের তরফে গ্রামে কেউ আসেনি ৷ সরকার কিছু না-করলে তাঁরা ফুলহরের জন্যই মারা পড়বেন ৷ সাংসদকে এক মহিলা বলেন, "এখানে কোনও কাজ হচ্ছে না ৷ আমরা পুনর্বাসনের জায়গা চাই ৷ ফুলহরের দাপটে এখানে আমরা থাকতে পারব না ৷ নেতারাই সব টাকা খেয়ে নিচ্ছে ৷"

সাংসদ বলেন, "শুধু মানুষকে দেখাতে এখানে কাজ হচ্ছে ৷ আসলে বন্যা ভাঙন শুরু হলে সেচ দফতরের ঘুম ভাঙে ৷ সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী মালদার মানুষ ৷ তিনি এখন ফোন ধরছেন না ৷ অথচ কেন্দ্র থেকে বারবার রাজ্যকে বলা হয়েছে, এখানে ভাঙন রোধের স্থায়ী ব্যবস্থা করতে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হোক ৷ বিপন্ন মানুষজনকে এখান থেকে অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত রাজ্য সরকারের ৷ এবার আমরা আমরা কিন্তু জেলাশাসকের দফতর ঘেরাও করব ৷ "

আরও পড়ুন: মরশুমের প্রথম নদী ভাঙন শুরু ফুলহরের, বিপন্ন একাধিক গ্রাম

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.