ETV Bharat / state

জেলার দায়িত্ব মৌসমের হাতে, তৃণমূলের অন্দরে গুঞ্জন

author img

By

Published : May 26, 2019, 2:00 PM IST

Updated : May 26, 2019, 3:03 PM IST

ভোটে হারের পরও মৌসম নুরকে জেলা সভানেত্রীর দায়িত্ব দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী । এই নিয়ে দলের অন্দরে গুঞ্জন ছড়িয়েছে ।

মৌসম নুর

মালদা, 26 মে: দলে যোগদান করার পরই মৌসম নুরকে লোকসভা ভোটে উত্তর মালদা কেন্দ্রে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । ভোটে হারের পরও তাঁকেই জেলা সভানেত্রীর দায়িত্ব দিয়েছেন দলেনত্রী । প্রাক্তন জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেনকে দিয়েছেন জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব । কিন্তু এই নিয়ে দলের অন্দরেই বাড়ছে ক্ষোভ ।

মালদায় শাসকদল বিভিন্ন গোষ্ঠীতে বিভক্ত । খোদ দলনেত্রীই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে পারেননি । সেক্ষেত্রে মৌসম কি পারবেন দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামাল দিতে! তৃণমূল নেতা নীহাররঞ্জন ঘোষ বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছোটো সংগঠনের মাধ্যমে আজ ক্ষমতায় এসেছেন । মালদার রাজনৈতিক উন্নয়নের জন্য তিনি নিশ্চয়ই চিন্তাভাবনা করেই মৌসম নুরকে দায়িত্ব দিয়েছেন । আমরা আশা রাখি, মৌসম নুরের নেতৃত্বে আগামী ভোটগুলোতে দিদির সিদ্ধান্ত যে সঠিক, তা আমরা প্রমাণ করব । তবে মৌসমের নেতৃত্ব মানতে না-পারা নিয়ে যেসব প্রশ্ন উঠছে তা সঠিক নয় । উনি ভোটে হেরে গিয়েছেন ঠিক । কিন্তু ভোট আর সংগঠন আলাদা জিনিস । আমাদের নেত্রী যোগ্য হাতেই মালদা জেলার দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন ।"

শুনুন বক্তব্য

মালদা, 26 মে: দলে যোগদান করার পরই মৌসম নুরকে লোকসভা ভোটে উত্তর মালদা কেন্দ্রে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । ভোটে হারের পরও তাঁকেই জেলা সভানেত্রীর দায়িত্ব দিয়েছেন দলেনত্রী । প্রাক্তন জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেনকে দিয়েছেন জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব । কিন্তু এই নিয়ে দলের অন্দরেই বাড়ছে ক্ষোভ ।

মালদায় শাসকদল বিভিন্ন গোষ্ঠীতে বিভক্ত । খোদ দলনেত্রীই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে পারেননি । সেক্ষেত্রে মৌসম কি পারবেন দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামাল দিতে! তৃণমূল নেতা নীহাররঞ্জন ঘোষ বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছোটো সংগঠনের মাধ্যমে আজ ক্ষমতায় এসেছেন । মালদার রাজনৈতিক উন্নয়নের জন্য তিনি নিশ্চয়ই চিন্তাভাবনা করেই মৌসম নুরকে দায়িত্ব দিয়েছেন । আমরা আশা রাখি, মৌসম নুরের নেতৃত্বে আগামী ভোটগুলোতে দিদির সিদ্ধান্ত যে সঠিক, তা আমরা প্রমাণ করব । তবে মৌসমের নেতৃত্ব মানতে না-পারা নিয়ে যেসব প্রশ্ন উঠছে তা সঠিক নয় । উনি ভোটে হেরে গিয়েছেন ঠিক । কিন্তু ভোট আর সংগঠন আলাদা জিনিস । আমাদের নেত্রী যোগ্য হাতেই মালদা জেলার দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন ।"

শুনুন বক্তব্য
Intro:মালদা, ২৫ মেঃ দল বদলে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন মাস চারেক আগে৷ যেদিন শাসকদলে যোগ দেন, সেদিনই তাঁর নাম উত্তর মালদার দলীয় প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করে দেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ দুর্ভাগ্যের বিষয়, জনাদেশ গিয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে৷ ৮৪২৯৮ ভোটে তিনি হেরে যান বিজেপি প্রার্থীর কাছে৷ কিন্তু তাঁর নাম মৌসম নূর৷ রাজনীতিতে পা দেওয়ার পর থেকেই ক্ষমতার অলিন্দে তাঁর যাতায়াত৷ ভোটে হেরেও সেই ক্ষমতা থেকেই গেল তাঁর হাতে৷ আজ তৃণমূলনেত্রী সেই মৌসম নূরকেই মালদা জেলা তৃণমূল সভানেত্রী পদে বসিয়েছেন৷ ভূতপূর্ব জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেনকে করা হয়েছে জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান৷Body:সুজাপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক রুবি নূরের মৃত্যুর পর ২০০৮ সালে ওই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন তাঁর মেয়ে মৌসম৷ জীবনের প্রথম নির্বাচনে ২১২০৫ ভোটে জয়লাভ করেন৷ ২০০৯ লোকসভা নির্বাচনে তিনি উত্তর মালদা কেন্দ্রে জয়ী হন৷ ২০১১ সালে রাজ্য যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী হিসাবে নির্বাচিত হন তিনি৷ ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে তাঁর কাঁধে মালদা জেলা সভানেত্রীর দায়িত্বও তুলে দেয় পিসিসি৷ ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে তিনি ফের উত্তর মালদা কেন্দ্রের সাংসদ নির্বাচিত হন৷ ২০১৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর নেতৃত্বেই এই জেলার ১২টি আসনের মধ্যে ৮টি আসনে জয় পান কংগ্রেস প্রার্থীরা৷ ইংরেজবাজার কেন্দ্রেও নির্দল প্রার্থীকে সমর্থন করেছিল কংগ্রেস৷ তাল কাটে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর৷ এই নির্বাচনে জেলা থেকে কার্যত উধাও হয়ে যায় কংগ্রেস৷ চিন্তায় পড়ে যান মৌসমও৷ অবশেষে গত ২৮ জানুয়ারি তিনি তৃণমূলে যোগ দেন৷ কিন্তু নতুন দলের প্রার্থী হয়েও তিনি তাঁর ব্যক্তিগত ক্যারিশমা এবারের ভোটে দেখাতে পারেননি৷
প্রশ্ন উঠেছে, তৃণমূলে যোগ দিয়ে যিনি সম্পূর্ণ ক্ষমতা পেয়েও নিজের কেন্দ্রে জয় ধরে রাখতে পারেননি, সেই দলের জেলা সভানেত্রী হিসাবে তিনি কতটা সফল হতে পারবেন৷ তার উপর এই জেলায় শাসকদল একাধিক গোষ্ঠীতে বিভক্ত৷ সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে পারেননি খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও৷ মৌসম কি সেই দ্বন্দ্ব সামাল দিতে পারবেন? তার উপর জেলা কংগ্রেস সভানেত্রী থাকাকালীন তিনি সব সময় সহায়তা পেয়েছেন তাঁর মামা, এই জেলার রাজনীতিকে হাতের তালুর মত চেনা আবু হাসেম খান চৌধুরি সহ মোস্তাক আলম, সমর মুখোপাধ্যায়ের মত বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদদের৷ জেলা তৃণমূলে তেমন নেতার বড়োই অভাব এখনও৷ মৌসমকে জেলা তৃণমূল সভানেত্রী নিয়োগ করার পর আজ বিকেল থেকেই শাসকদলের অন্দরমহলে শুরু হয়েছে ফিসফাস৷ পুরোনো নেতাদের অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, মাত্র চার মাস আগে দলে যোগ দেওয়া, নির্বাচনে হেরে যাওয়া একজনকে কেন এই গুরুদায়িত্ব? সেই অংশের মতে, এতে দ্বন্দ্ব বাড়বে বই কমবে না৷
কী হতে পারে? এনিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল জেলা তৃণমূলের অন্যতম নেতা নীহাররঞ্জন ঘোষকে৷ তিনি বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছোটো সংগঠনের মাধ্যমে আজ তিনি ক্ষমতায় এসেছেন৷ তিনি নিশ্চয়ই চিন্তাভাবনা করে মালদার রাজনৈতিক উন্নয়নের জন্য মৌসম নূরকে দায়িত্ব দিয়েছেন৷ আমরা আশা রাখি, মৌসম নূরের নেতৃত্বে আগামী ভোটগুলিতে দিদির সিদ্ধান্ত যে সঠিক, তা আমরা প্রমাণ করব৷ তবে মৌসমের নেতৃত্ব মানতে না পারা নিয়ে যেসব প্রশ্ন উঠছে তা সঠিক নয়৷ উনি ভোটে হেরে গিয়েছেন ঠিক৷ কিন্তু ভোট আর সংগঠন আলাদা জিনিস৷ আমাদের নেত্রী যোগ্য হাতেই মালদা জেলার দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন৷"
Conclusion:অন্যদিকে, জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোস্তাক আলম তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী হিসাবে মৌসমকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, "এখানে ব্যক্তিগত কোনও বিরোধিতার বিষয় নেই৷ এটা দলগত লড়াই৷ দিল্লিতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও রাহুল গান্ধির হাত ধরে বিজেপি হটাও স্লোগান তুলতে বাধ্য হয়েছিলেন৷ আবার হবেন৷ তিনি তৃণমূলের সভানেত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন৷ তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করবেন, আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করব৷ মৌসমকে তৃণমূলের জেলার সভানেত্রী হিসাবে নতুনভাবে ভাবার কিছুই নেই৷ রাজনীতির লড়াইয়ে তাঁকে স্বাগত৷"
Last Updated : May 26, 2019, 3:03 PM IST

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.