ETV Bharat / state

পিতৃ পরিচয়ের দাবিতে শিশুকন্যাকে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীর বাড়ির সামনে রেখে গেলেন মা - পিতৃ পরিচয়ের দাবি

Mother lefts baby girl: পরিচারিকার সঙ্গে একাধিকবার সহবাস করেন এক অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী ৷ তার জেরে গর্ভবতী হয়ে পড়েন ওই পরিচারিকা ৷ তিনি একটি কন্যাসন্তান প্রসব করেন ৷ তাঁর দাবি, এই সন্তানের বাবা অবসরপ্রাপ্ত ওই সরকারি কর্মী ৷ মেয়ের পিতৃ পরিচয়ের দাবিতে তিনি ফের ওই ব্যক্তির বাড়িতে যেতে শুরু করেন ৷

Etv Bharat
Etv Bharat
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Dec 20, 2023, 10:53 PM IST

মালদা, 20 ডিসেম্বর: বিয়ের পর ভালো রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিবাহিত পরিচারিকার সঙ্গে একাধিকবার সহবাস করেন এক অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী ৷ তার জেরে গর্ভবতী হয়ে পড়েন ওই পরিচারিকা ৷ অন্তঃসত্ত্বা পরিচারিকা অবসরপ্রাপ্ত কর্মীকে বিয়ে করার কথা বললে বেঁকে বসেন তিনি ৷ এভাবে কেটে যায় কয়েক মাস ৷ শেষ পর্যন্ত ওই প্রতারকের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় অভিযোগও দায়ের করেন পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা পরিচারিকা ৷ যদিও পুলিশ অবসরপ্রাপ্ত কর্মীকে গ্রেফতার করেনি বলে অভিযোগ পরিচারিকার ৷ এদিকে এই ঘটনা জানতে পেরে যান পরিচারিকার স্বামী ৷ ঘটনার সময় তিনি ভিনরাজ্যে কর্মরত ছিলেন ৷ সব জেনেশুনে তিনি স্ত্রী'কে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ ৷ তারপর থেকে বাপের বাড়িতেই থাকতেন ওই মহিলা ৷

সম্প্রতি তিনি একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন ৷ তাঁর দাবি, এই সন্তানের বাবা অবসরপ্রাপ্ত ওই সরকারি কর্মী ৷ মেয়ের পিতৃ পরিচয়ের দাবিতে তিনি ফের ওই ব্যক্তির বাড়িতে যেতে শুরু করেন ৷ কিন্তু প্রতিবারই প্রত্যাখ্যাত হয়ে ফিরতে হয় বলে অভিযোগ ৷ শেষ পর্যন্ত বুধবার তিনি দুধের শিশুকে প্রাক্তন সরকারি কর্মীর বাড়ির সামনে রেখে চলে যান ৷ ঘটনায় গোটা এলাকায় হইচই পড়ে যায় ৷ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ ৷ শিশুকন্যাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে ৷ ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুরের একটি গ্রামে ৷ মহিলার বক্তব্য, “আমরা গরিব মানুষ ৷ স্বামী ভিনরাজ্যে খাটতে গিয়েছিল ৷ এদিকে আমার সংসার চলছিল না ৷ তাই ওই লোকটির বাড়িতে ঝিয়ের কাজ নিই ৷ এক বছর ওর বাড়িতে কাজ করেছিলাম ৷ তারই মধ্যে আমাকে বিয়ে করবে বলে আমার সঙ্গে অনেকবার সহবাস করে ৷ আমার পেটে সন্তান চলে আসে ৷ আমি বিষয়টি ওকে জানালে সে প্রথমে আমাকে গর্ভপাত করাতে বলে ৷ তখন আমি ওর বাড়ির লোকদের সব জানাই ৷ ওরাও আমাকে একই পরামর্শ দেয় ৷ কিছুদিন অপেক্ষা করার পর আমি হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি ৷ কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি ৷ এর মধ্যে আমার মেয়ে জন্মায় ৷ মেয়ের পিতৃ পরিচয় পেতে চার মাস ওর বাড়িতে গিয়েছি ৷ কাজ না-হওয়ায় শেষ পর্যন্ত আজ মেয়েকে ওর বাড়ির সামনে রেখে এসেছি ৷”

এক গ্রামবাসী জাহাঙ্গির আলম বলেন, “আমরা দেখলাম, এক অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীর বাড়ির সামনে এক কন্যা সন্তানকে ফেলে তার মা চলে গিয়েছে ৷ বাচ্চাটির মায়ের বাড়ি এই গ্রামেই ৷ তার সঙ্গে ওই অবসরপ্রাপ্ত কর্মীর নাকি অবৈধ সম্পর্ক ছিল ৷ এনিয়ে থানা পুলিশও হয়েছে ৷ ওই অবসরপ্রাপ্ত কর্মী বাচ্চাটিকে নিজের বলে স্বীকৃতি দিতে রাজি নয় ৷” এবিষয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি অভিযুক্ত ব্যক্তি ৷ হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, আপাতত ওই কন্যা সন্তানকে উদ্ধার করে হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ শিশুর মাকে থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছে ৷ এই নিয়ে তিনি কোনও অভিযোগ দায়ের করলে তদন্ত শুরু করা হবে ৷ প্রয়োজনে ডিএনএ টেস্টও করা হতে পারে ৷

আরও পড়ুন:

  1. রিলস ভিডিয়ো করতে গিয়ে মালগাড়ির ধাক্কায় মৃত 3 ছাত্র, আশংকাজনক 2
  2. অভিযোগ জানাতে বিচারপতির বাড়ির সামনে চাকরিপ্রার্থীরা, রাস্তায় দাঁড়িয়ে পরামর্শ দিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
  3. স্ত্রী'র কাছে আত্মগোপন করেও হল না শেষরক্ষা, গড়িয়ায় লিভ-ইন পার্টনারকে খুনের চেষ্টায় গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত

মালদা, 20 ডিসেম্বর: বিয়ের পর ভালো রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিবাহিত পরিচারিকার সঙ্গে একাধিকবার সহবাস করেন এক অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী ৷ তার জেরে গর্ভবতী হয়ে পড়েন ওই পরিচারিকা ৷ অন্তঃসত্ত্বা পরিচারিকা অবসরপ্রাপ্ত কর্মীকে বিয়ে করার কথা বললে বেঁকে বসেন তিনি ৷ এভাবে কেটে যায় কয়েক মাস ৷ শেষ পর্যন্ত ওই প্রতারকের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় অভিযোগও দায়ের করেন পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা পরিচারিকা ৷ যদিও পুলিশ অবসরপ্রাপ্ত কর্মীকে গ্রেফতার করেনি বলে অভিযোগ পরিচারিকার ৷ এদিকে এই ঘটনা জানতে পেরে যান পরিচারিকার স্বামী ৷ ঘটনার সময় তিনি ভিনরাজ্যে কর্মরত ছিলেন ৷ সব জেনেশুনে তিনি স্ত্রী'কে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ ৷ তারপর থেকে বাপের বাড়িতেই থাকতেন ওই মহিলা ৷

সম্প্রতি তিনি একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন ৷ তাঁর দাবি, এই সন্তানের বাবা অবসরপ্রাপ্ত ওই সরকারি কর্মী ৷ মেয়ের পিতৃ পরিচয়ের দাবিতে তিনি ফের ওই ব্যক্তির বাড়িতে যেতে শুরু করেন ৷ কিন্তু প্রতিবারই প্রত্যাখ্যাত হয়ে ফিরতে হয় বলে অভিযোগ ৷ শেষ পর্যন্ত বুধবার তিনি দুধের শিশুকে প্রাক্তন সরকারি কর্মীর বাড়ির সামনে রেখে চলে যান ৷ ঘটনায় গোটা এলাকায় হইচই পড়ে যায় ৷ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ ৷ শিশুকন্যাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে ৷ ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুরের একটি গ্রামে ৷ মহিলার বক্তব্য, “আমরা গরিব মানুষ ৷ স্বামী ভিনরাজ্যে খাটতে গিয়েছিল ৷ এদিকে আমার সংসার চলছিল না ৷ তাই ওই লোকটির বাড়িতে ঝিয়ের কাজ নিই ৷ এক বছর ওর বাড়িতে কাজ করেছিলাম ৷ তারই মধ্যে আমাকে বিয়ে করবে বলে আমার সঙ্গে অনেকবার সহবাস করে ৷ আমার পেটে সন্তান চলে আসে ৷ আমি বিষয়টি ওকে জানালে সে প্রথমে আমাকে গর্ভপাত করাতে বলে ৷ তখন আমি ওর বাড়ির লোকদের সব জানাই ৷ ওরাও আমাকে একই পরামর্শ দেয় ৷ কিছুদিন অপেক্ষা করার পর আমি হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি ৷ কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি ৷ এর মধ্যে আমার মেয়ে জন্মায় ৷ মেয়ের পিতৃ পরিচয় পেতে চার মাস ওর বাড়িতে গিয়েছি ৷ কাজ না-হওয়ায় শেষ পর্যন্ত আজ মেয়েকে ওর বাড়ির সামনে রেখে এসেছি ৷”

এক গ্রামবাসী জাহাঙ্গির আলম বলেন, “আমরা দেখলাম, এক অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীর বাড়ির সামনে এক কন্যা সন্তানকে ফেলে তার মা চলে গিয়েছে ৷ বাচ্চাটির মায়ের বাড়ি এই গ্রামেই ৷ তার সঙ্গে ওই অবসরপ্রাপ্ত কর্মীর নাকি অবৈধ সম্পর্ক ছিল ৷ এনিয়ে থানা পুলিশও হয়েছে ৷ ওই অবসরপ্রাপ্ত কর্মী বাচ্চাটিকে নিজের বলে স্বীকৃতি দিতে রাজি নয় ৷” এবিষয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি অভিযুক্ত ব্যক্তি ৷ হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, আপাতত ওই কন্যা সন্তানকে উদ্ধার করে হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ শিশুর মাকে থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছে ৷ এই নিয়ে তিনি কোনও অভিযোগ দায়ের করলে তদন্ত শুরু করা হবে ৷ প্রয়োজনে ডিএনএ টেস্টও করা হতে পারে ৷

আরও পড়ুন:

  1. রিলস ভিডিয়ো করতে গিয়ে মালগাড়ির ধাক্কায় মৃত 3 ছাত্র, আশংকাজনক 2
  2. অভিযোগ জানাতে বিচারপতির বাড়ির সামনে চাকরিপ্রার্থীরা, রাস্তায় দাঁড়িয়ে পরামর্শ দিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
  3. স্ত্রী'র কাছে আত্মগোপন করেও হল না শেষরক্ষা, গড়িয়ায় লিভ-ইন পার্টনারকে খুনের চেষ্টায় গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.