মালদা, 9 নভেম্বর : বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খেলতে বেরিয়েছিল আবাসিক মিশনের নবম শ্রেণির ছাত্র ৷ তারপর আর ফেরেনি সে ৷ খোঁজাখুঁজির পরও তাকে না পাওয়ায় খবর দেওয়া হয় পরিবারের লোকজনকে ৷ অবশেষে, গতকাল ভোরে কালিয়াচকের কাছে মিশন থেকে প্রায় 2 কিলোমিটার দূরে রেল লাইনের ধার থেকে উদ্ধার হয় তার মৃতদেহ ৷ দেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে কালিয়াচক থানার পুলিশ ৷ ঘটনায় আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷
মৃত ছাত্রর নাম ইউনিস ৷ ইউনিসের চাচাতো দাদা কালিয়াচক 1 ব্লকের যুব সভাপতি মহম্মদ সারিউল শেখ ৷ বলেন, "বৃহস্পতিবার বন্ধুদের কাছ থেকে ইউনিসের নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়েই মিশনে গিয়ে খোঁজ শুরু করি ৷ মিশন কর্তৃপক্ষ জানায়, ইউনিস নিজের ঘরে রয়েছে ৷ কিন্তু তাকে ঘরে পাওয়া না গেলে খোঁজ শুরু করি ৷ পরে জানতে পারি, রেল লাইনের ধারে এক কিশোরের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে ৷ ঘটনাস্থানে গিয়ে ইউনিসের দেহ সনাক্ত করা হয় ৷ স্থানীয়দের থেকে জানতে পারি, 4-5জন ছাত্র মিলে বাইরে গিয়েছিল ৷ মিশন কর্তৃপক্ষ আমাদের কিছু জানায়নি ৷ মিশনের গাফিলতিতেই মৃত্যু হয়েছে ভাইয়ের ৷ অভিভাবকরা আবাসিক মিশনে নিরাপত্তার কথা ভেবেই ছেলেমেয়েদের পাঠায় ৷ ইউনিস কীভাবে মিশন থেকে বাইরে গেল?"
মিশনের পক্ষে মহম্মদ সিজাউল হক বলেন, "মিশনের খেলার সময় 4টে থেকে 5টা ৷ সেসময় কয়েকজন ছাত্র শিক্ষকের সঙ্গে বাইরে যায় ৷ এলাকার কোনও গলি দিয়ে ইউনিস আলাদা হয়ে যায় ৷ বিকেল সাড়ে 5টা নাগাদ জানা যায়, ইউনিস অনুপস্থিত ৷ সঙ্গে সঙ্গে আমরা খোঁজ শুরু করি ৷ পরে জানতে পারি, ইউনিসের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে ৷"
পুলিশের তরফে জানানো হয়, দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷ রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে ৷ আপাতত অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে ৷
গতবছরও কালিয়াচকের এক বেসরকারি আবাসিক মিশনের তৃতীয় তল থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছিল একজন ছাত্রী ৷ তারপর মিশনগুলির নিরাপত্তা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল প্রশাসনের তরফে ৷ এই ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে জেলা প্রশাসন ৷