ETV Bharat / state

নিরঞ্জনের সময় লণ্ঠনের আলোয় প্রতিমাকে পথ দেখান সংখ্যালঘুরা

পাহাড়পুর দুর্গামন্দির থেকে প্রতিমাকে নিয়ে যাওয়া হয় 200 মিটার দূরে মরা মহানন্দায় ৷ দুই সম্প্রদায়ের মানুষের উপস্থিতিতে দেবীমূর্তিতে নদীতে নিরঞ্জন দেওয়া হয় ৷ 300 বছরেরও আগে চণ্ডীরূপে দুর্গাপুজোর প্রচলন শুরু করেছিলেন চাঁচলের রাজা শরৎচন্দ্র রায়চৌধুরি ৷ এখানে দেবী চতুর্ভূজা ৷ 300 বছরের প্রাচীন রীতি মেনে আজও প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় লণ্ঠনের আলোয় নদীঘাটের পথ দেখায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ ৷

মালদা
author img

By

Published : Oct 8, 2019, 9:20 PM IST

Updated : Oct 8, 2019, 9:27 PM IST

মালদা, 8 অক্টোবর : 300 বছরের প্রাচীন রীতি মেনে আজও প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় লণ্ঠনের আলোয় নদীঘাটের পথ দেখান সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ ৷ পুরোনো প্রথা মেনেই চাঁচলের পাহাড়পুর এলাকায় চলে আসছে এই নিয়ম ৷

পাহাড়পুর দুর্গামন্দির থেকে প্রতিমাকে নিয়ে যাওয়া হয় 200 মিটার দূরে মরা মহানন্দায় ৷ দুই সম্প্রদায়ের মানুষের উপস্থিতিতে দেবীমূর্তিতে নদীতে নিরঞ্জন দেওয়া হয় ৷ 300 বছরেরও আগে চণ্ডীরূপে দুর্গাপুজোর প্রচলন শুরু করেছিলেন চাঁচলের রাজা শরৎচন্দ্র রায়চৌধুরি ৷ এখানে দেবী চতুর্ভূজা ৷ প্রথমে পাহাড়পুর সংলগ্ন নদীঘাটে একটি অস্থায়ী মন্দিরে দেবীর পুজো হত ৷ রাজবাড়ি থেকে চণ্ডীমূর্তি আনা হত সেই মন্দিরে ৷ পরে পাহাড়পুরে দেবীর স্থায়ী মন্দির নির্মিত হয় ৷

মাটির প্রতিমা তৈরি করে সেখানে পুজো দেওয়ার পাশাপাশি মহাষষ্ঠীতে রাজবাড়ি থেকে এখনও আনা হয় কষ্টিপাথরের চণ্ডীমূর্তি ৷ তবে পুজো শেষের সঙ্গে সঙ্গে মূর্তি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় রাজবাড়িতে ৷ দশমীর গোধূলি লগ্নে মাটির প্রতিমা বিসর্জন করা হয় মরা মহানন্দায় ৷

দেখুন ভিডিয়ো

এলাকাবাসীরা জানান, 300 বছরেরও বেশি সময় আগে পাহাড়পুর সংলগ্ন এলাকায় মড়ক দেখা গিয়েছিল ৷ তখন এলাকার সংখ্যালঘুদের এক প্রতিনিধি দেবীর স্বপ্নাদেশ পান ৷ দেবীর নিরঞ্জনের সময় ঘাটে যাওয়ার রাস্তায় আলো দেখাতে হবে তাঁদের ৷ তবেই মড়ক থেকে রক্ষা পাবে সবাই ৷ তখন থেকেই দেবীর নিরঞ্জনের সময় পাহাড়পুর থেকে নদীঘাট পর্যন্ত রাস্তার ধারে ও নদীর দুই পাড়ে আলো নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজন ৷ এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি ৷

এই পুজো এখন আর শুধু রাজার পুজো নয় ৷ এখন এই পুজো সর্বজনীন রূপ পেয়েছে ৷ পাহাড়পুর রাজবাড়ি চণ্ডীপুজো কমিটির সভাপতি সুদর্শন দাস বলেন, "প্রাচীন রীতি মেনে আজ গোধূলি লগ্নে দেবীর মূর্তি নিরঞ্জন করা হল ৷"

মালদা, 8 অক্টোবর : 300 বছরের প্রাচীন রীতি মেনে আজও প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় লণ্ঠনের আলোয় নদীঘাটের পথ দেখান সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ ৷ পুরোনো প্রথা মেনেই চাঁচলের পাহাড়পুর এলাকায় চলে আসছে এই নিয়ম ৷

পাহাড়পুর দুর্গামন্দির থেকে প্রতিমাকে নিয়ে যাওয়া হয় 200 মিটার দূরে মরা মহানন্দায় ৷ দুই সম্প্রদায়ের মানুষের উপস্থিতিতে দেবীমূর্তিতে নদীতে নিরঞ্জন দেওয়া হয় ৷ 300 বছরেরও আগে চণ্ডীরূপে দুর্গাপুজোর প্রচলন শুরু করেছিলেন চাঁচলের রাজা শরৎচন্দ্র রায়চৌধুরি ৷ এখানে দেবী চতুর্ভূজা ৷ প্রথমে পাহাড়পুর সংলগ্ন নদীঘাটে একটি অস্থায়ী মন্দিরে দেবীর পুজো হত ৷ রাজবাড়ি থেকে চণ্ডীমূর্তি আনা হত সেই মন্দিরে ৷ পরে পাহাড়পুরে দেবীর স্থায়ী মন্দির নির্মিত হয় ৷

মাটির প্রতিমা তৈরি করে সেখানে পুজো দেওয়ার পাশাপাশি মহাষষ্ঠীতে রাজবাড়ি থেকে এখনও আনা হয় কষ্টিপাথরের চণ্ডীমূর্তি ৷ তবে পুজো শেষের সঙ্গে সঙ্গে মূর্তি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় রাজবাড়িতে ৷ দশমীর গোধূলি লগ্নে মাটির প্রতিমা বিসর্জন করা হয় মরা মহানন্দায় ৷

দেখুন ভিডিয়ো

এলাকাবাসীরা জানান, 300 বছরেরও বেশি সময় আগে পাহাড়পুর সংলগ্ন এলাকায় মড়ক দেখা গিয়েছিল ৷ তখন এলাকার সংখ্যালঘুদের এক প্রতিনিধি দেবীর স্বপ্নাদেশ পান ৷ দেবীর নিরঞ্জনের সময় ঘাটে যাওয়ার রাস্তায় আলো দেখাতে হবে তাঁদের ৷ তবেই মড়ক থেকে রক্ষা পাবে সবাই ৷ তখন থেকেই দেবীর নিরঞ্জনের সময় পাহাড়পুর থেকে নদীঘাট পর্যন্ত রাস্তার ধারে ও নদীর দুই পাড়ে আলো নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজন ৷ এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি ৷

এই পুজো এখন আর শুধু রাজার পুজো নয় ৷ এখন এই পুজো সর্বজনীন রূপ পেয়েছে ৷ পাহাড়পুর রাজবাড়ি চণ্ডীপুজো কমিটির সভাপতি সুদর্শন দাস বলেন, "প্রাচীন রীতি মেনে আজ গোধূলি লগ্নে দেবীর মূর্তি নিরঞ্জন করা হল ৷"

Intro:মালদা, ৮ অক্টোবর : তিনশো বছরের প্রাচীন রীতি মেনে আজও বিদায়বেলায় উমাকে লণ্ঠনের আলোয় নদীঘাটের পথ দেখালো চাঁচলের পাহাড়পুর এলাকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজন৷ পুরোনো প্রথা মেনে আজ বিকেলে পাহাড়পুর দুর্গামন্দির থেকে দুর্গাপ্রতিমাকে নিয়ে যাওয়া হয় সেখান থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরে মরা মহানন্দায়৷ দুই সম্প্রদায়ের মানুষের উপস্থিতিতে দেবীমূর্তিকে নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয়৷ Body:৩০০ বছরেরও বেশি আগে চণ্ডীরূপে দুর্গাপুজোর প্রচলন শুরু করেন চাঁচলের রাজা শরৎচন্দ্র রায়চৌধুরি৷ এখানে দেবী চতুর্ভুজা৷ প্রথমদিকে পাহাড়পুর সংলগ্ন নদীঘাটে একটি অস্থায়ী মন্দিরে দেবীর পুজো হত৷ রাজবাড়ি থেকে চণ্ডীমূর্তি আনা হত সেই মন্দিরে৷ পরবর্তীতে পাহাড়পুরে দেবীর স্থায়ী মন্দির নির্মিত হয়৷ মাটির প্রতিমা তৈরি করে সেখানে পুজো দেওয়ার পাশাপাশি মহাষষ্ঠীতে রাজবাড়ি থেকে এখনও আনা হয় কষ্টিপাথরের চণ্ডীমূর্তি৷ তবে পুজো শেষের সঙ্গে সঙ্গে সেই মূর্তি ফের রাজবাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়৷ দশমীর গোধুলি লগ্নে মাটির প্রতিমা বিসর্জন করা হয় মরা মহানন্দায়৷ কথিত রয়েছে, ৩০০ বছরেরও বেশি সময় আগে পাহাড়পুর সংলগ্ন এলাকায় মড়ক দেখা দিয়েছিল৷ সেবার ওই এলাকার সংখ্যালঘুদের এক প্রতিনিধি দেবীর স্বপ্নাদেশ পান, দেবীর বিসর্জনের সময় ঘাটে যাওয়ার রাস্তায় আলো দেখাতে হবে তাঁদের৷ তবেই মড়ক থেকে রক্ষা পাবে সবাই৷ তখন থেকেই দেবীর বিসর্জনের সময় পাহাড়পুর থেকে নদীঘাট পর্যন্ত রাস্তার ধারে, এমনকি নদীর দুই পাড়ে আলো নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজন৷ এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি৷ যদিও এই পুজো এখন আর শুধু রাজার পুজো নয়৷ এখন এই পুজো সর্বজনীন রূপ পেয়েছে৷Conclusion:পাহাড়পুর রাজবাড়ি চণ্ডীপুজো কমিটির সভাপতি সুদর্শন দাস বলেন, “প্রাচীন রীতি মেনে আজ গোধুলি লগ্নে দেবীর মূর্তি বিসর্জন দেওয়া হল৷ প্রায় ৩০০ বছরের রীতি মেনে এবারও এলাকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজন দেবীর যাত্রাপথের দু’ধারে লণ্ঠনের আলো দিয়ে মায়ের পথ দেখিয়েছেন৷ শোনা যায়, একবার এলাকায় লোকজন মারা যাচ্ছিল৷ সেই সময় থেকেই দেবীর বিসর্জনের সময় তাঁকে আলো দিয়ে পথ দেখানোর কাজ করে আসছেন স্থানীয় সংখ্যালঘুরা৷ এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি৷”
Last Updated : Oct 8, 2019, 9:27 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.