ETV Bharat / state

Minister Sabina Yeasmin নদী ভাঙন রোধ করা সম্ভব নয়, সাফ জানালেন সাবিনা

নদীর স্থায়ী ভাঙন রোধ করা যে সম্ভব নয়, তা পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন রাজ্যের সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন (River Erosion Problem is Not Possible Says Minister Sabina Yeasmin)। শুক্রবার কোশির ভাঙন পরিদর্শন করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা। মন্ত্রীকে সামনে পেয়ে ভাঙন রোধের কাজ নিয়ে বিস্তর অভিযোগ তোলেন ভূতনি চরের মানুষ (Villagers Agitation)।

ETV Bharat
Minister Sabina Yeasmin
author img

By

Published : Aug 26, 2022, 8:25 PM IST

মালদা, 26 অগস্ট: শুক্রবার মালদার ভূতনির বড় কালুটোনটোলা সংলগ্ন ঘাট থেকে কোশির ভাঙন পরিদর্শন শুরু করেন মন্ত্রী (Minister Sabina Yeasmin)। সেখানেই তাঁকে ভাঙন রোধের কাজ নিয়ে বিস্তর অভিযোগ করেন স্থানীয়রা (Villagers Agitation)। ভাঙন রোধের নামে কীভাবে কোটি কোটি টাকা জলে যাচ্ছে, তা তাঁরা খুলে বলেন।

তবে এদিনও মন্ত্রী বা ইঞ্জিনিয়ারদের পা পড়েনি কোশির ভাঙনে বিধ্বস্ত রতুয়া 1 নম্বর ব্লকের বিলাইমারি ও মহানন্দটোলা অঞ্চলের নদী তীরবর্তী গ্রামগুলিতে। লঞ্চে বসেই সেখানকার ভাঙনের ছবি পরিদর্শন করেছেন সপারিষদ মন্ত্রী।

আরও পড়ুন: কোশির দাপটে বিপন্ন একাধিক গ্রাম, ঘুম উড়েছে স্থানীয়দের

যারা এদিন তাঁকে অভিযোগ জানিয়েছেন সেসব গ্রামবাসীদের কোনওরকমে সামলান সেচ প্রতিমন্ত্রী (River Erosion Effect)। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "কয়েকদিন ধরেই কোশির ভাঙনের খবর পাচ্ছি। আজ আমরা ভাঙন পরিস্থিতি দেখতে এসেছি। গতবারও কোশিঘাটে ভাঙন হয়েছিল। তখন আমরা অস্থায়ীভাবে ভাঙন রোধের কাজ করেছিলাম। এবার পাঁচ কোটি টাকায় পঞ্চায়েতের বাঁধ সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু যেখানে বাঁধের কাজ শেষ হয়েছে, সেখানেই নদীর জল ধাক্কা মারছে।"

তিনি আরও বলেন, "গ্রাম বাঁচাতে কী করা যায়, তা নিয়ে আজ বিকেলে জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক করব। কয়েকদিনের মধ্যে এখানে দফতরের মন্ত্রীকেও নিয়ে আসার ব্যবস্থা করছি। তবে গঙ্গা ভাঙন রোধ করা সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রী তো ইতিমধ্যেই হাত তুলে নিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী তবু মানুষকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু মানুষকে প্রকৃতির এই অভিশাপ থেকে কীভাবে বাঁচাতে পারব জানি না। এলাকার মানুষ আতঙ্কিত। তাঁরা তো নিজেদের বাঁচাতে আমাদের কাছে আবেদন জানাবেনই। মহানন্দটোলা ও বিলাইমারির ভাঙন উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসনের জন্য সরকারি খাস জমির ব্যবস্থা করতে আজই আমি জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলছি।"

নদী ভাঙন রোধ করা সম্ভব নয় বললেন মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন

আরও পড়ুন: বৈষ্ণবনগরের পর মানিকচক, গঙ্গার ছোবলে ভাঙছে ঘরের পর ঘর

অন্যদিকে, ভূতনির বড় কার্তিকটোলার বাসিন্দা মন্টু মণ্ডল বলেন, "আজ মন্ত্রী এসেছিলেন। এখানে মাটি আর বালি দিয়ে বস্তা ভরে কীভাবে ভাঙন রোধের কাজের নামে নাটক হচ্ছে, তা তাঁকে জানালাম। আমরা শুধু চাই, ভাঙন রোধের কাজ ঠিকমতো করা হোক। এসব ঠিকাদার দিয়ে নয়, কাজ করাতে হবে ফরাক্কা ব্যারেজ প্রজেক্টের ঠিকাদার দিয়ে। মন্ত্রী যদি আমাদের দাবি না মানেন, তবে আমরা আন্দোলনে নামতে তৈরি রয়েছি।"

মালদা, 26 অগস্ট: শুক্রবার মালদার ভূতনির বড় কালুটোনটোলা সংলগ্ন ঘাট থেকে কোশির ভাঙন পরিদর্শন শুরু করেন মন্ত্রী (Minister Sabina Yeasmin)। সেখানেই তাঁকে ভাঙন রোধের কাজ নিয়ে বিস্তর অভিযোগ করেন স্থানীয়রা (Villagers Agitation)। ভাঙন রোধের নামে কীভাবে কোটি কোটি টাকা জলে যাচ্ছে, তা তাঁরা খুলে বলেন।

তবে এদিনও মন্ত্রী বা ইঞ্জিনিয়ারদের পা পড়েনি কোশির ভাঙনে বিধ্বস্ত রতুয়া 1 নম্বর ব্লকের বিলাইমারি ও মহানন্দটোলা অঞ্চলের নদী তীরবর্তী গ্রামগুলিতে। লঞ্চে বসেই সেখানকার ভাঙনের ছবি পরিদর্শন করেছেন সপারিষদ মন্ত্রী।

আরও পড়ুন: কোশির দাপটে বিপন্ন একাধিক গ্রাম, ঘুম উড়েছে স্থানীয়দের

যারা এদিন তাঁকে অভিযোগ জানিয়েছেন সেসব গ্রামবাসীদের কোনওরকমে সামলান সেচ প্রতিমন্ত্রী (River Erosion Effect)। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "কয়েকদিন ধরেই কোশির ভাঙনের খবর পাচ্ছি। আজ আমরা ভাঙন পরিস্থিতি দেখতে এসেছি। গতবারও কোশিঘাটে ভাঙন হয়েছিল। তখন আমরা অস্থায়ীভাবে ভাঙন রোধের কাজ করেছিলাম। এবার পাঁচ কোটি টাকায় পঞ্চায়েতের বাঁধ সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু যেখানে বাঁধের কাজ শেষ হয়েছে, সেখানেই নদীর জল ধাক্কা মারছে।"

তিনি আরও বলেন, "গ্রাম বাঁচাতে কী করা যায়, তা নিয়ে আজ বিকেলে জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক করব। কয়েকদিনের মধ্যে এখানে দফতরের মন্ত্রীকেও নিয়ে আসার ব্যবস্থা করছি। তবে গঙ্গা ভাঙন রোধ করা সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রী তো ইতিমধ্যেই হাত তুলে নিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী তবু মানুষকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু মানুষকে প্রকৃতির এই অভিশাপ থেকে কীভাবে বাঁচাতে পারব জানি না। এলাকার মানুষ আতঙ্কিত। তাঁরা তো নিজেদের বাঁচাতে আমাদের কাছে আবেদন জানাবেনই। মহানন্দটোলা ও বিলাইমারির ভাঙন উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসনের জন্য সরকারি খাস জমির ব্যবস্থা করতে আজই আমি জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলছি।"

নদী ভাঙন রোধ করা সম্ভব নয় বললেন মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন

আরও পড়ুন: বৈষ্ণবনগরের পর মানিকচক, গঙ্গার ছোবলে ভাঙছে ঘরের পর ঘর

অন্যদিকে, ভূতনির বড় কার্তিকটোলার বাসিন্দা মন্টু মণ্ডল বলেন, "আজ মন্ত্রী এসেছিলেন। এখানে মাটি আর বালি দিয়ে বস্তা ভরে কীভাবে ভাঙন রোধের কাজের নামে নাটক হচ্ছে, তা তাঁকে জানালাম। আমরা শুধু চাই, ভাঙন রোধের কাজ ঠিকমতো করা হোক। এসব ঠিকাদার দিয়ে নয়, কাজ করাতে হবে ফরাক্কা ব্যারেজ প্রজেক্টের ঠিকাদার দিয়ে। মন্ত্রী যদি আমাদের দাবি না মানেন, তবে আমরা আন্দোলনে নামতে তৈরি রয়েছি।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.