মালদা, 1 অক্টোবর : আজ সকাল থেকে ফের গঙ্গার জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে ৷ জলস্তর বাড়ছে ফুলহর ও মহানন্দারও ৷ কয়েকদিন ধরে অবিরাম বৃষ্টিও বন্ধ হয়েছে গতরাতে ৷ তবে এখনও মালদা ও পুরাতন মালদা শহরের বেশ কিছু অংশে জমে রয়েছে বৃষ্টির জল ৷ দুই শহরের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আজ দুপুরে জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক করেন তৃণমূল জেলা সভানেত্রী মৌসম নুর ৷
বর্তমানে গঙ্গা 25.99 মিটার উচ্চতায় বইছে ৷ যা নদীর চরম বিপদসীমা (25.30 মিটার) থেকে 69 সেন্টিমিটার বেশি ৷ আজ দুপুরে ফুলহরের জলস্তর ছিল 28.25 মিটার ৷ আর 10 সেন্টিমিটার জল বাড়লেই ফুলহর চরম বিপদসীমা ছুঁয়ে ফেলবে ৷ জল বাড়ছে মহানন্দাতেও ৷ আজ মহানন্দার জলস্তর 21.32 মিটার ৷ যা বিপদসীমা 21.00 মিটার থেকে 32 সেন্টিমিটার উঁচু দিয়ে বইছে ৷
![Malda](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/wb-mld-02-flood-update-7203520_01102019160811_0110f_1569926291_215.jpeg)
কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টির পর গতরাত থেকে জেলায় বন্ধ হয়েছে বৃষ্টি ৷ গত 24 ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ 47.60 মিলিমিটার ৷ পুরাতন মালদার 13 নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোহন ঘোষ বলেন, "4 দিন ধরে জলে ডুবে রয়েছি ৷ কেউ দেখতে আসেনি ৷ পাম্প করে জল বের করাও হয়নি ৷ শুধু আমাদের ওয়ার্ডই নয় ৷ বাকি ওয়ার্ডগুলোতেও জল জমে রয়েছে ৷ সবাই ঘরবন্দী ৷" ইংরেজবাজার পৌরসভার 20 নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা গোপাল ঘোষ বলেন, "বৃষ্টি থামলেও এখনও জল জমে রয়েছে ৷ শহরের বেশিরভাগ জায়গায় একই অবস্থা ৷ পৌরসভা থেকে জমা জল বের করতে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ৷ এই জল শুকোতে আরও 15 দিন লেগে যাবে ৷ ফের বৃষ্টি হলে সমস্যা বেড়ে যাবে ৷"
পুরাতন মালদা পৌরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ জানান, টানা বৃষ্টিতে পৌর এলাকার জলাশয়গুলো সব ভরে গেছে ৷ মহানন্দার অবস্থাও বিপজ্জনক ৷ কোথাও জল ফেলা যাচ্ছে না ৷ তাও জমা জল নদীতে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে ৷ বিধানসভার অধিবেশনে চলে যাওয়ার কারণে ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ৷
বৃষ্টিতে দুই শহরে তৈরি হওয়া বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আজ দুপুরে জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করেন জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নুর ৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল পরিচালিত দুই পৌরসভার প্রতিনিধিরাও ৷ পরিস্থিতি নিয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা ৷ আলোচনায় ত্রাণসামগ্রী বণ্টন সহ ত্রাণ শিবির খোলার প্রসঙ্গটিও ওঠে ৷ বৈঠক এখনও চলছে ৷ জানা গেছে, বৈঠকে জেলাশাসক জেলার বিস্তীর্ণ অংশে বন্যাদুর্গতদের পাশাপাশি দুই শহর এলাকার দুর্গতদের জন্যও যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ৷