ETV Bharat / state

Awas Yojana Scam: বাংলা-বিহার দুই রাজ্যেরই আবাস তালিকায় নাম, হতবাক কেন্দ্রীয় দল

গোবিন্দপুর ৷ বাংলা-বিহার সীমান্ত এলাকা ৷ এখান থেকেই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে বিস্তর গরমিলের অভিযোগ পেয়ে তদন্তে আসে দুই সদস্যের কেন্দ্রীয় দল ৷ অভিযোগ থাকা 35 জন উপভোক্তার বাড়ি বাড়ি গিয়ে শুরু হয় তদন্ত ৷ কিন্তু একি ? বেশ কয়েকজনের নাম রয়েছে দুই রাজ্যেরই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে (PM Awas Yojana)৷ যা দেখে রীতিমতো ভিরমি খাওয়ার অবস্থা তদন্তকারী দলের ৷

Etv Bharat
আবাস যোজনার তদন্তে কেন্দ্রীয় দল
author img

By

Published : Jan 18, 2023, 10:10 PM IST

মালদায় বাংলা-বিহার সীমান্তে আবাস যোজনার দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্রীয় দল

মালদা, 18 জানুয়ারি: পশ্চিমবঙ্গের কেন্দ্রীয় আবাস যোজনার তালিকায় নাম রয়েছে পড়শি রাজ্যের বাসিন্দাদের ৷ তাঁদের মধ্যে একজন আবার বিহারের একটি গ্রাম পঞ্চায়েতের জন প্রতিনিধিও ছিলেন ৷ সব দেখেশুনে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের দুই সদস্যের ভিরমি খাওয়ার জোগাড় ৷ একটি নয়, রতুয়া 1 নম্বর ব্লকের মহানন্দটোলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দু'দিন ধরে তদন্ত চালিয়ে এমন অনেক অনিয়মের খোঁজ পেয়েছেন তাঁরা (PM Awas Yojana Scam in Malda)৷ যদিও এই নিয়ে তাঁরা সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেননি ৷

সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে মহানন্দটোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবিন্দপুর এবং সংলগ্ন দু'একটি গ্রামে কেন্দ্রীয় আবাস যোজনার তালিকায় বিস্তর গরমিলের অভিযোগ আসে ৷ সেইসব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে মঙ্গবার থেকেই এলাকায় তদন্ত চালাচ্ছে দুই সদস্যের কেন্দ্রীয় দল ৷ আজ বুধবারও চলছে তদন্ত ৷ ওই দলের কাছে অন্তত 35 জন উপভোক্তার নামে অভিযোগ রয়েছে ৷ দলের দুই সদস্য সেই নাম ধরে ধরে উপভোক্তাদের বাড়িতে হানা দিয়েছেন ৷ আর তাতেই তাঁদের চোখ কপালে উঠেছে ৷ বাংলা-বিহার সীমান্তের গোবিন্দপুর গ্রামের অনেক মানুষই দুই রাজ্য থেকে সরকারি সুবিধে আদায় করেন ৷ তাঁদের কাছে দুই রাজ্যেরই রেশন, আধার ও ভোটার কার্ড রয়েছে ৷ অনেকের নাম দুই রাজ্যের কেন্দ্রীয় আবাস যোজনার তালিকাতেও উঠেছে ৷

Malda
অভিযোগের তালিকা মিলিয়ে উপভোক্তাদের বাড়ি বাড়ি ঘুরল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল

আরও পড়ুন : পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও আবাস যোজনা তালিকায় নাম, বাতিলের আবেদন পঞ্চায়েত সদস্যের

কেন্দ্রীয় দলের গ্রামে পা রাখার খবর পেয়েই বাড়িতে তালা দিয়ে পরিবার নিয়ে অন্য জায়গায় চলে যান শ্যাম যাদব ৷ তিনি বিহারের দুর্গাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সদস্য ৷ রতুয়া ব্লক প্রশাসনের খাতায় তিনি এ রাজ্যের কেন্দ্রীয় আবাস যোজনার তালিকাভুক্ত ৷ বিষয়টি সামনে আসতেই অস্বস্তিতে পড়ে যান কেন্দ্রীয় দলের সঙ্গে থাকা রতুয়া 1 নম্বর ব্লকের বিডিও রাকেশ টোপ্পো ৷ শ্যাম যাদবের মা নিভাদেবী প্রথমে গোটা ঘটনার কথা স্বীকার করে নিলেও পরিস্থিতি অন্যদিকে যেতে পারে বুঝে সতর্ক হয়ে যান ৷

Malda
আবাস যোজনার তদন্তে কেন্দ্রীয় দল

এই আবাস যোজনার তালিকায় রয়েছে গ্রামের বাসিন্দা আসগর আলির বউমার নাম ৷ তিনিও গ্রামে নেই ৷ মায়ের বাড়িতে রয়েছেন ৷ তাঁর স্বামী নেপালে থাকেন ৷ আরেক গ্রামবাসী ফতেমা বিবি বিহার থেকে ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের এক লাখ টাকা পেয়েছেন ৷ সেই টাকায় ইট কিনে পশ্চিমবঙ্গ থেকে একই প্রকল্পের টাকা পাওয়ার দিন গুনছেন ৷ শুধু কি তাই ! এই গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য ওয়াসিম আখতার কংগ্রেস থেকে ভোটে জিতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন ৷ রীতিমতো পাকাপোক্ত বাড়ি ৷ এদিকে তাঁর বাবার নাম রয়েছে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের তালিকায় ৷ ওয়াসিম অবশ্য দাবি করছেন, "আমার বাবা আবু তালেবের নাম বাংলা আবাস যোজনার তালিকায় রয়েছে ৷ আবেদনের ভিত্তিতে তাঁর নাম তালিকায় ওঠে ৷ আমি পঞ্চায়েত সদস্য ৷ কিন্তু আমার জন্য বাবা কিংবা দাদা-ভাইরা আবাস যোজনার ঘর কেন পাবে না ! তারা তো পেতেই পারে ৷ কেন্দ্রীয় দল সব দেখে গেল ৷ ওরা যা রিপোর্ট করার করবে ৷"

আরও পড়ুন : ফের সক্রিয় মাফিয়ারা, জেসিবির কোপে চলছে দেদার মাটি কাটা

মালদায় বাংলা-বিহার সীমান্তে আবাস যোজনার দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্রীয় দল

মালদা, 18 জানুয়ারি: পশ্চিমবঙ্গের কেন্দ্রীয় আবাস যোজনার তালিকায় নাম রয়েছে পড়শি রাজ্যের বাসিন্দাদের ৷ তাঁদের মধ্যে একজন আবার বিহারের একটি গ্রাম পঞ্চায়েতের জন প্রতিনিধিও ছিলেন ৷ সব দেখেশুনে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের দুই সদস্যের ভিরমি খাওয়ার জোগাড় ৷ একটি নয়, রতুয়া 1 নম্বর ব্লকের মহানন্দটোলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দু'দিন ধরে তদন্ত চালিয়ে এমন অনেক অনিয়মের খোঁজ পেয়েছেন তাঁরা (PM Awas Yojana Scam in Malda)৷ যদিও এই নিয়ে তাঁরা সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেননি ৷

সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে মহানন্দটোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবিন্দপুর এবং সংলগ্ন দু'একটি গ্রামে কেন্দ্রীয় আবাস যোজনার তালিকায় বিস্তর গরমিলের অভিযোগ আসে ৷ সেইসব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে মঙ্গবার থেকেই এলাকায় তদন্ত চালাচ্ছে দুই সদস্যের কেন্দ্রীয় দল ৷ আজ বুধবারও চলছে তদন্ত ৷ ওই দলের কাছে অন্তত 35 জন উপভোক্তার নামে অভিযোগ রয়েছে ৷ দলের দুই সদস্য সেই নাম ধরে ধরে উপভোক্তাদের বাড়িতে হানা দিয়েছেন ৷ আর তাতেই তাঁদের চোখ কপালে উঠেছে ৷ বাংলা-বিহার সীমান্তের গোবিন্দপুর গ্রামের অনেক মানুষই দুই রাজ্য থেকে সরকারি সুবিধে আদায় করেন ৷ তাঁদের কাছে দুই রাজ্যেরই রেশন, আধার ও ভোটার কার্ড রয়েছে ৷ অনেকের নাম দুই রাজ্যের কেন্দ্রীয় আবাস যোজনার তালিকাতেও উঠেছে ৷

Malda
অভিযোগের তালিকা মিলিয়ে উপভোক্তাদের বাড়ি বাড়ি ঘুরল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল

আরও পড়ুন : পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও আবাস যোজনা তালিকায় নাম, বাতিলের আবেদন পঞ্চায়েত সদস্যের

কেন্দ্রীয় দলের গ্রামে পা রাখার খবর পেয়েই বাড়িতে তালা দিয়ে পরিবার নিয়ে অন্য জায়গায় চলে যান শ্যাম যাদব ৷ তিনি বিহারের দুর্গাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সদস্য ৷ রতুয়া ব্লক প্রশাসনের খাতায় তিনি এ রাজ্যের কেন্দ্রীয় আবাস যোজনার তালিকাভুক্ত ৷ বিষয়টি সামনে আসতেই অস্বস্তিতে পড়ে যান কেন্দ্রীয় দলের সঙ্গে থাকা রতুয়া 1 নম্বর ব্লকের বিডিও রাকেশ টোপ্পো ৷ শ্যাম যাদবের মা নিভাদেবী প্রথমে গোটা ঘটনার কথা স্বীকার করে নিলেও পরিস্থিতি অন্যদিকে যেতে পারে বুঝে সতর্ক হয়ে যান ৷

Malda
আবাস যোজনার তদন্তে কেন্দ্রীয় দল

এই আবাস যোজনার তালিকায় রয়েছে গ্রামের বাসিন্দা আসগর আলির বউমার নাম ৷ তিনিও গ্রামে নেই ৷ মায়ের বাড়িতে রয়েছেন ৷ তাঁর স্বামী নেপালে থাকেন ৷ আরেক গ্রামবাসী ফতেমা বিবি বিহার থেকে ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের এক লাখ টাকা পেয়েছেন ৷ সেই টাকায় ইট কিনে পশ্চিমবঙ্গ থেকে একই প্রকল্পের টাকা পাওয়ার দিন গুনছেন ৷ শুধু কি তাই ! এই গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য ওয়াসিম আখতার কংগ্রেস থেকে ভোটে জিতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন ৷ রীতিমতো পাকাপোক্ত বাড়ি ৷ এদিকে তাঁর বাবার নাম রয়েছে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের তালিকায় ৷ ওয়াসিম অবশ্য দাবি করছেন, "আমার বাবা আবু তালেবের নাম বাংলা আবাস যোজনার তালিকায় রয়েছে ৷ আবেদনের ভিত্তিতে তাঁর নাম তালিকায় ওঠে ৷ আমি পঞ্চায়েত সদস্য ৷ কিন্তু আমার জন্য বাবা কিংবা দাদা-ভাইরা আবাস যোজনার ঘর কেন পাবে না ! তারা তো পেতেই পারে ৷ কেন্দ্রীয় দল সব দেখে গেল ৷ ওরা যা রিপোর্ট করার করবে ৷"

আরও পড়ুন : ফের সক্রিয় মাফিয়ারা, জেসিবির কোপে চলছে দেদার মাটি কাটা

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.