মালদা, 17 জুলাই : গত 24 ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন 84 জন ৷ সংক্রমিতদের মধ্যে রয়েছেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার), জেলা প্রশাসনের একজন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট, মানিকচকের BDO, এমনকী মালদা মেডিকেলের অতিরিক্ত সুপার ও তাঁর পরিবারের তিন সদস্যও ৷ সব মিলিয়ে ক্রমশ ঊর্ধমুখী হচ্ছে জেলার কোরোনা সংক্রমণের গ্রাফ ৷ এই পরিস্থিতিতে আজ থেকে মালদার দুই পৌর এলাকায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বাজার-হাট ৷ বন্ধ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকানও ৷
মূলত মালদা শহরে দ্রুতগতিতে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ ৷ গত 24 ঘণ্টায় জেলায় 84 জনের নমুনায় কোরোনা সংক্রমণের হদিশ মিলেছে ৷ সংক্রমিত একাধিক প্রশাসনিক কর্তাও ৷ আক্রান্তদের তালিকায় রয়েছেন একাধিক পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীও ৷ সব মিলিয়ে জেলায় এ'পর্যন্ত কোরোনা সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে 1447 ৷ এর মধ্যে মালদা শহরেই সংক্রমণের সংখ্যা প্রায় 400 ৷ অন্যদিকে, এই পরিস্থিতিতে হাসপাতালে জায়গা দেওয়া যাচ্ছে না সংক্রমিতদের । জেলার ইন্সটিটিউশনাল আইসোলেশন সেন্টারগুলিও ভরতি ৷ তাই গুরুতর অসুস্থ ছাড়া প্রত্যেককে হোম আইসোলেশনে থাকতে বলা হচ্ছে ৷
এছাড়াও, উপসর্গ নেই এমন কারওর সোয়াবের নমুনা পরীক্ষার জন্য নেওয়া হচ্ছে না ৷ এমনকী, অল্প উপসর্গ থাকলেও মেডিকেলের ফ্লু-কর্নার থেকেই ওষুধ দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে ৷ জ্বরে হয়েছে এমন অনেকেই মেডিকেলে পরীক্ষা করাতে গিয়ে ফিরে এসেছেন বলেও অভিযোগ ৷ এ'বিষয়ে যদিও মেডিকেল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, তারা সরকারি নির্দেশ মেনেই কাজ করছে ৷
কোরোনা সংক্রমণ রোধে আজ থেকে তিনদিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল জেলার দুই পৌর এলাকার সবজি বাজার, নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকানও ৷ একই ছবি পুরাতন মালদা শহরেও ৷ হরিশ্চন্দ্রপুর 1 ব্লকে আগামী 28 জুলাই পর্যন্ত কড়া লকডাউন ঘোষণা করেছে সেখানকার ব্লক প্রশাসন ৷ পরিস্থিতি অনুযায়ী 19 জুলাইয়ের পর দুই পৌর এলাকা সহ আরও কিছু জায়গায় লকডাউনের সময়সীমা বাড়াতে পারে জেলা প্রশাসন, এমনটাও মনে করা হচ্ছে । তবে এ'নিয়ে এখনই প্রশাসনের তরফে কিছু জানানো হয়নি ৷