ETV Bharat / state

গাছ নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, মারধরে মৃত্যু ব্যক্তির - murder

গাছ নিয়ে পারিবারিক বিবাদের জেরে চাচা ও তার ছেলেদের হাতে মৃত্যু হল ভাইপোর ৷ ঘটনাটি ইংরেজবাজার থানার কামালতিপুর গ্রামের ৷

ছবি
ছবি
author img

By

Published : Sep 18, 2020, 4:53 PM IST

মালদা, 18 সেপ্টেম্বর : গাছ নিয়ে চলছিল পারিবারিক বিবাদ ৷ তার জেরে চাচা ও তার ছেলেদের হাতে মৃত্যু হল ভাইপোর৷ ঘটনাটি ইংরেজবাজার থানার কামালতিপুর গ্রামের৷ এই ঘটনায় মূল তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের বিবি৷ যদিও ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা পলাতক৷ তাদের খোঁজে শুরু হয়েছে পুলিশি তল্লাশি৷

মৃতের নাম আনবার মোমিন ৷ বয়স ৩৬ বছর ৷ কামালতিপুরের বাসিন্দা আনবার হকারি করে সংসার চালাতেন৷ বিবি রুজি গৃহবধূ ৷ তাঁদের নাবালক দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে ৷ বাড়ির পাশেই থাকতেন চাচা এসরাফুল মোমিন ৷ একটি গাছ নিয়েই এই বিরোধের শুরু৷ গাছ নিয়ে চাচার সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন আনবার ৷ অভিযোগ, সেই সময় এসরাফুল ও তার দুই ছেলে, সরফরাজ ও সাদিকুল আনবারকে বেধড়ক মারধর করে ৷ মেরে কংক্রিট রাস্তায় ফেলে দেয় ৷ সেখানেই মাথায় আঘাত পেয়ে আনবারের মৃত্যু হয় ৷ আনবারের ভাই নুর মহম্মদ মোমিন বলেন, “ চাচারা আমার দাদার জমিতে গাছ লাগিয়েছিল৷ দাদা চাচাকে ওই গাছ সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিল৷ কিন্তু চাচারা সেই গাছ সরিয়ে নেয়নি৷ তাই দাদা ওই গাছটি ভেঙে দিয়েছিল৷ তারজন্য গতকাল সকালে চাচার দুই ছেলে দাদাকে মারধর করে৷ খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থানে যাই৷ সমাজের লোকজনকেও সেখানে ডেকে নিয়ে যাই৷ কথাবার্তা চলার সময় চাচাতো বড় ভাই সরফরাজ দাদাকে মারধর শুরু করে৷ তবুও আমরা বিষয়টিকে মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করি৷ কিন্তু তবুও ওরা দাদাকে পিছন থেকে মারতে শুরু করে৷ ধাক্কা দিয়ে তাকে কংক্রিটের রাস্তার উপর ফেলে দেয়৷ মাথা ফেটে রক্ত পড়তে শুরু করে৷ আমরা সঙ্গে সঙ্গে দাদাকে কাছের বাঙ্গিটোলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাই৷ সেখান থেকে দাদাকে মালদা মেডিকেলে রেফার করে দেওয়া হয়৷ সেখান থেকে দাদাকে কলকাতার পিজি হাসপাতালে রেফার করা হয়৷ আমরা তখনই দাদাকে নিয়ে কলকাতা রওনা দিই৷ পিজি হাসপাতালে চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, দাদাকে বাঁচানো যাবে না৷ সেকথা শুনে আমরা দাদাকে নিয়ে ফের মালদার দিকে রওনা দিই৷ মাঝরাস্তাতেই মৃত্যু হয় দাদার৷ এই ঘটনায় ভাবি ইংরেজবাজার থানায় চাচা ও তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন৷ আজ দাদার মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে৷”

গাছ নিয়ে বিরোধের জেরে ভাইপোকে খুন

ঘটনার বিষয়ে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে৷ তবে ঘটনার পর থেকেই এলাকা থেকে গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্তরা৷ তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে৷ আজ মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে৷ তার রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে৷

মালদা, 18 সেপ্টেম্বর : গাছ নিয়ে চলছিল পারিবারিক বিবাদ ৷ তার জেরে চাচা ও তার ছেলেদের হাতে মৃত্যু হল ভাইপোর৷ ঘটনাটি ইংরেজবাজার থানার কামালতিপুর গ্রামের৷ এই ঘটনায় মূল তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের বিবি৷ যদিও ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা পলাতক৷ তাদের খোঁজে শুরু হয়েছে পুলিশি তল্লাশি৷

মৃতের নাম আনবার মোমিন ৷ বয়স ৩৬ বছর ৷ কামালতিপুরের বাসিন্দা আনবার হকারি করে সংসার চালাতেন৷ বিবি রুজি গৃহবধূ ৷ তাঁদের নাবালক দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে ৷ বাড়ির পাশেই থাকতেন চাচা এসরাফুল মোমিন ৷ একটি গাছ নিয়েই এই বিরোধের শুরু৷ গাছ নিয়ে চাচার সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন আনবার ৷ অভিযোগ, সেই সময় এসরাফুল ও তার দুই ছেলে, সরফরাজ ও সাদিকুল আনবারকে বেধড়ক মারধর করে ৷ মেরে কংক্রিট রাস্তায় ফেলে দেয় ৷ সেখানেই মাথায় আঘাত পেয়ে আনবারের মৃত্যু হয় ৷ আনবারের ভাই নুর মহম্মদ মোমিন বলেন, “ চাচারা আমার দাদার জমিতে গাছ লাগিয়েছিল৷ দাদা চাচাকে ওই গাছ সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিল৷ কিন্তু চাচারা সেই গাছ সরিয়ে নেয়নি৷ তাই দাদা ওই গাছটি ভেঙে দিয়েছিল৷ তারজন্য গতকাল সকালে চাচার দুই ছেলে দাদাকে মারধর করে৷ খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থানে যাই৷ সমাজের লোকজনকেও সেখানে ডেকে নিয়ে যাই৷ কথাবার্তা চলার সময় চাচাতো বড় ভাই সরফরাজ দাদাকে মারধর শুরু করে৷ তবুও আমরা বিষয়টিকে মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করি৷ কিন্তু তবুও ওরা দাদাকে পিছন থেকে মারতে শুরু করে৷ ধাক্কা দিয়ে তাকে কংক্রিটের রাস্তার উপর ফেলে দেয়৷ মাথা ফেটে রক্ত পড়তে শুরু করে৷ আমরা সঙ্গে সঙ্গে দাদাকে কাছের বাঙ্গিটোলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাই৷ সেখান থেকে দাদাকে মালদা মেডিকেলে রেফার করে দেওয়া হয়৷ সেখান থেকে দাদাকে কলকাতার পিজি হাসপাতালে রেফার করা হয়৷ আমরা তখনই দাদাকে নিয়ে কলকাতা রওনা দিই৷ পিজি হাসপাতালে চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, দাদাকে বাঁচানো যাবে না৷ সেকথা শুনে আমরা দাদাকে নিয়ে ফের মালদার দিকে রওনা দিই৷ মাঝরাস্তাতেই মৃত্যু হয় দাদার৷ এই ঘটনায় ভাবি ইংরেজবাজার থানায় চাচা ও তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন৷ আজ দাদার মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে৷”

গাছ নিয়ে বিরোধের জেরে ভাইপোকে খুন

ঘটনার বিষয়ে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে৷ তবে ঘটনার পর থেকেই এলাকা থেকে গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্তরা৷ তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে৷ আজ মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে৷ তার রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.