মালদা, 20 ডিসেম্বর : বধূ নির্যাতনের অভিযোগে মামলার জেরে আদালত চত্বরেই দুই পরিবারের হাতাহাতি ৷ ঘটনায় নিগৃহীত এক যুবককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় ইংরেজবাজার থানার পুলিশ ৷ ওই যুবক পেশায় একজন স্কুল শিক্ষক ৷ নাম নইমুদ্দিন শেখ ৷
স্থানীয় সূত্রে খবর, বছরখানেক আগে ইংরেজবাজার থানার নিয়ামতপুর গ্রামের এক যুবতির সঙ্গে মোথাবাড়ি থানা এলাকার স্কুল শিক্ষক নইমুদ্দিন শেখের নিকাহ হয় ৷ পরিবারের তরফে দেখাশোনা করে দু’জনের নিকাহ হয়েছিল ৷ অভিযোগ, ওই যুবতির পরিবারের কাছ থেকে নিকাহর জন্য 25 লাখ টাকা পণ নিয়েছিলেন নইমুদ্দিন ৷ কিন্তু নিকাহর পর কিছুদিন যেতে না যেতেই নইমুদ্দিন ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ওই যুবতিকে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করার অভিযোগ ওঠে ৷ বিবিকে নাকি সিগারেটের ছ্যাঁকা দেওয়া থেকে শুরু করে মারধর, এমন কী খেতে না দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে ৷ অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে নইমুদ্দিনের বাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে চলে আসেন ওই যুবতি ৷ এরপর ওই যুবতি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন ৷ অন্যদিকে, নইমুদ্দিনও তাঁর বিবি সহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন ৷ দুই অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলা রুজু করে পুলিশ ৷
আজ দুই পক্ষই আদালতে এসেছিল ৷ আদালত কক্ষে ঢোকার আগেই দুই পরিবার হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে ৷ আজ সকাল সাড়ে 10 টা নাগাদ যুবতির পরিবারের লোকজন জেলা আদালত চত্বরে নইমুদ্দিনকে বেধড়ক মারধর করে ৷ মুহূর্তে ভিড় জমে যায় আদালত চত্বরে ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ ৷ ইংরেজবাজার থানার পুলিশকর্মীরা আহত নইমুদ্দিনকে সেখান থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় ৷ তিনি বর্তমানে মালদা মেডিকেলে ভরতি ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি ৷