ETV Bharat / state

Mamata Banerjee on NRC: পঞ্চায়েত ভোটের আগে এনআরসি বিরোধিতায় সোচ্চার মুখ্যমন্ত্রী - এনআরসি ইস্যুকে সামনে আনলেন মমতা

একুশের অস্ত্রেই তেইশ আর চব্বিশের ভোটে বিজেপিকে হারানোর লক্ষ্য নিয়ে ফের একবার এনআরসি ইস্যুকে সামনে আনলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷

Etv Bharat
মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়
author img

By

Published : May 4, 2023, 9:27 PM IST

মালদা, 4 মে: একুশে ব্যাপক সাফল্য মিলেছিল ৷ তেইশের পঞ্চায়েত এবং চব্বিশের লোকসভাতেও সেই একই অস্ত্রে পদ্ম বধ করতে চাইছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ! ফের একবার এনআরসি নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ রাজনৈতিক মহলের দাবি, বৃহস্পতিবার মালদার সভা থেকে কার্যত পঞ্চায়েত ভোটের ইস্যুও ঠিক করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ সেই সঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দলের অভিমুখ কী হবে তারও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি ৷

অভিষেকের তৈরি 'নবজোয়ার যাত্রা'-র মঞ্চে দলীয় কর্মীদের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তাঁর মুখ থেকে ফের বেরিয়ে এসেছে এনআরসি ইস্যু ৷ অবশ্য তিনি যে, এনআরসি তিরেই বিজেপিকে বধ করার পরিকল্পনা করে ফেলেছেন, তার ইঙ্গিত মিলেছিল প্রশাসনিক বৈঠক থেকেই ৷ একুশের বিধানসভা নির্বাচনের মুখে বিজেপির এনআরসি প্রয়োগের পরিকল্পনা এ রাজ্যে কার্যত গাড্ডায় ফেলে দেয় তাদের ৷ নির্বাচন পরবর্তী সময়ে আত্মবিশ্লেষণে বিষয়টি নিশ্চিত উপলব্ধি করেছিলেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব ৷ ফলত তারপর এই ইস্যুতে গেরুয়া শিবিরকে বেশি উৎসাহ প্রকাশ করতেও দেখা যায়নি ৷ এমনকী কেন্দ্রীয় নেতারা রাজ্যে এসেও এনআরসি নিয়ে কোনও কথা বলতে শোনা যায় না ৷ এনআরসি ইস্যুকে ভোটে ব্যবহার করে কার্যত লাভের গুড় খেয়েছিল তৃণমূলই ৷ বিশেষত সংখ্যালঘুদের হাওয়া পুরোটাই গিয়েছিল ঘাসফুলের পালে ৷ তার পিছনে মূল কারণ অবশ্যই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ৷

এদিন মমতা বলেন, “ওরা বলছে, আধার কার্ড না থাকলে তোমরা বিদেশি ৷ কয়েকদিন আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর চিঠি এসেছে ৷ মাঝে থেমে গিয়েছিল ৷ আবার এখন বেড়েছে ৷ চিঠিতে কয়েকটা বিষয় এমনভাবে দিয়েছে, আধার, প্যান বা অন্য কার্ডে একটু এদিক ওদিক হলেই তুমি বিদেশি ৷ আমি বলছি, তোদের ক্ষমতা থাকলে হাত তুলিস ৷ আমি এসব করতে দেব না ৷ আগেও দিইনি ৷ বাংলায় কিছুতেই এনআরসি করতে দেব না ৷ ভোট আসলেই জাতি দাঙ্গা ! এমন পরিস্থিতি আসবে সামনে, বোবা হয়ে যাবে ৷” তিনি সংখ্যালঘুদের মনে এনআরসি নিয়ে যেমন একটা ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন, তেমনই তিনি যে এই ইস্যুতে তাদের পাশে রয়েছেন, সেটাও প্রতিটি সংখ্যালঘু মানুষের মনে ঢুকিয়ে দিতে সফল হয়েছিলেন ৷ সুতরাং, এনআরসি যে ভোটে জিততে তাঁর তুণীরের সেরা অস্ত্র, সেটা মোটেই তৃণমূল নেত্রীর অজানা নয় ৷ এগিয়ে আসছে আরও দুটি ভোট ৷ এখন থেকেই সেই অস্ত্রে শান দিতে শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷

এদিন বিকালে ইংরেজবাজারের সুস্থানি মোড়ে নব জোয়ার কর্মসূচির মঞ্চে বক্তব্য রাখার সময় তৃণমূলনেত্রীর মুখ থেকে ফের বেরিয়ে এসেছে 'ক্যা ক্যা, ছি ছি' ৷ তিনি যত এনিয়ে কথা বলেছেন, সামনে বসে থাকে দলের কর্মীদের মধ্যে ততই উচ্ছ্বাসের ঢেউ লক্ষ্য করা গিয়েছে ৷ রাজনৈতিক মহলের দাবি, তৃণমূল নেত্রী খুব ভালো মতোই জানেন, মালদা, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর, নদিয়া-সহ বেশ কয়েকটি জেলায় সংখ্যালঘুরাই ভোটের নির্ণায়ক ৷ তবে সংখ্যাগুরুদের ভোটও হারাতে চান না তিনি ৷ তাই এদিন বারবার সকলকে মনে করিয়ে দিয়েছেন, ভোট ভাগাভাগি কিছুতেই করা যাবে না ৷ তাঁর কথায়, বিজেপির পতন অবশ্যম্ভাবী ৷ সেই সঙ্গে এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি খুশি হবেন যদি কর্ণাটক বিধানসভা থেকেই বিজেপির সেই পতন শুরু হয়ে যায় ৷ তাই সে রাজ্যের মানুষের প্রতি তাঁর আবেদন, “যাকে ইচ্ছে ভোট দিন ৷ কিন্তু অনুগ্রহ করে বিজেপিকে ভোট দেবেন না ৷”

আরও পড়ুন: অভিষেক ফিরহাদরাই তৃণমূলের হাল ধরবেন ভবিষ্যতে, মালদায় বললেন মমতা

মালদা, 4 মে: একুশে ব্যাপক সাফল্য মিলেছিল ৷ তেইশের পঞ্চায়েত এবং চব্বিশের লোকসভাতেও সেই একই অস্ত্রে পদ্ম বধ করতে চাইছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ! ফের একবার এনআরসি নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ রাজনৈতিক মহলের দাবি, বৃহস্পতিবার মালদার সভা থেকে কার্যত পঞ্চায়েত ভোটের ইস্যুও ঠিক করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ সেই সঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দলের অভিমুখ কী হবে তারও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি ৷

অভিষেকের তৈরি 'নবজোয়ার যাত্রা'-র মঞ্চে দলীয় কর্মীদের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তাঁর মুখ থেকে ফের বেরিয়ে এসেছে এনআরসি ইস্যু ৷ অবশ্য তিনি যে, এনআরসি তিরেই বিজেপিকে বধ করার পরিকল্পনা করে ফেলেছেন, তার ইঙ্গিত মিলেছিল প্রশাসনিক বৈঠক থেকেই ৷ একুশের বিধানসভা নির্বাচনের মুখে বিজেপির এনআরসি প্রয়োগের পরিকল্পনা এ রাজ্যে কার্যত গাড্ডায় ফেলে দেয় তাদের ৷ নির্বাচন পরবর্তী সময়ে আত্মবিশ্লেষণে বিষয়টি নিশ্চিত উপলব্ধি করেছিলেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব ৷ ফলত তারপর এই ইস্যুতে গেরুয়া শিবিরকে বেশি উৎসাহ প্রকাশ করতেও দেখা যায়নি ৷ এমনকী কেন্দ্রীয় নেতারা রাজ্যে এসেও এনআরসি নিয়ে কোনও কথা বলতে শোনা যায় না ৷ এনআরসি ইস্যুকে ভোটে ব্যবহার করে কার্যত লাভের গুড় খেয়েছিল তৃণমূলই ৷ বিশেষত সংখ্যালঘুদের হাওয়া পুরোটাই গিয়েছিল ঘাসফুলের পালে ৷ তার পিছনে মূল কারণ অবশ্যই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ৷

এদিন মমতা বলেন, “ওরা বলছে, আধার কার্ড না থাকলে তোমরা বিদেশি ৷ কয়েকদিন আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর চিঠি এসেছে ৷ মাঝে থেমে গিয়েছিল ৷ আবার এখন বেড়েছে ৷ চিঠিতে কয়েকটা বিষয় এমনভাবে দিয়েছে, আধার, প্যান বা অন্য কার্ডে একটু এদিক ওদিক হলেই তুমি বিদেশি ৷ আমি বলছি, তোদের ক্ষমতা থাকলে হাত তুলিস ৷ আমি এসব করতে দেব না ৷ আগেও দিইনি ৷ বাংলায় কিছুতেই এনআরসি করতে দেব না ৷ ভোট আসলেই জাতি দাঙ্গা ! এমন পরিস্থিতি আসবে সামনে, বোবা হয়ে যাবে ৷” তিনি সংখ্যালঘুদের মনে এনআরসি নিয়ে যেমন একটা ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন, তেমনই তিনি যে এই ইস্যুতে তাদের পাশে রয়েছেন, সেটাও প্রতিটি সংখ্যালঘু মানুষের মনে ঢুকিয়ে দিতে সফল হয়েছিলেন ৷ সুতরাং, এনআরসি যে ভোটে জিততে তাঁর তুণীরের সেরা অস্ত্র, সেটা মোটেই তৃণমূল নেত্রীর অজানা নয় ৷ এগিয়ে আসছে আরও দুটি ভোট ৷ এখন থেকেই সেই অস্ত্রে শান দিতে শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷

এদিন বিকালে ইংরেজবাজারের সুস্থানি মোড়ে নব জোয়ার কর্মসূচির মঞ্চে বক্তব্য রাখার সময় তৃণমূলনেত্রীর মুখ থেকে ফের বেরিয়ে এসেছে 'ক্যা ক্যা, ছি ছি' ৷ তিনি যত এনিয়ে কথা বলেছেন, সামনে বসে থাকে দলের কর্মীদের মধ্যে ততই উচ্ছ্বাসের ঢেউ লক্ষ্য করা গিয়েছে ৷ রাজনৈতিক মহলের দাবি, তৃণমূল নেত্রী খুব ভালো মতোই জানেন, মালদা, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর, নদিয়া-সহ বেশ কয়েকটি জেলায় সংখ্যালঘুরাই ভোটের নির্ণায়ক ৷ তবে সংখ্যাগুরুদের ভোটও হারাতে চান না তিনি ৷ তাই এদিন বারবার সকলকে মনে করিয়ে দিয়েছেন, ভোট ভাগাভাগি কিছুতেই করা যাবে না ৷ তাঁর কথায়, বিজেপির পতন অবশ্যম্ভাবী ৷ সেই সঙ্গে এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি খুশি হবেন যদি কর্ণাটক বিধানসভা থেকেই বিজেপির সেই পতন শুরু হয়ে যায় ৷ তাই সে রাজ্যের মানুষের প্রতি তাঁর আবেদন, “যাকে ইচ্ছে ভোট দিন ৷ কিন্তু অনুগ্রহ করে বিজেপিকে ভোট দেবেন না ৷”

আরও পড়ুন: অভিষেক ফিরহাদরাই তৃণমূলের হাল ধরবেন ভবিষ্যতে, মালদায় বললেন মমতা

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.