ETV Bharat / state

দেদার বিকোচ্ছে মাদক, কড়ি ফেললে হাতে নারী শরীরও ! চাঁচল এখন যেন 'উড়তা পঞ্জাব' - মাদকের হাব

Chanchal turns into drugs hub: মাদকের হাবে পরিণত হয়েছে মালদার চাঁচল ৷ বিহার সংলগ্ন এই এলাকায় দেদার বিকোচ্ছে মাদক ৷ টাকা দিলে মিলছে নারীসঙ্গও ৷

Chanchal turns into drugs hub
চাঁচল এখন যেন উড়তা পঞ্জাব
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 28, 2023, 4:02 PM IST

Updated : Nov 28, 2023, 4:16 PM IST

মালদা, 28 নভেম্বর: পাশেই বিহার ৷ সেখান থেকে ঢুকছে মাদক থেকে শুরু করে নারীরা ৷ চলছে দেদার বিক্রি ৷ যার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে যুব প্রজন্ম ৷ মালদার চাঁচল মহকুমার উত্তরাংশ এখন বাস্তবেই ‘উড়তা পঞ্জাব’ ৷

সাম্প্রতিক সময়ে মাদকের রমরমা ব্যবসা চলছে চাঁচল মহকুমা জুড়ে ৷ এই দুই এলাকায় তৈরি হয়েছে নেশার ঠেক ৷ তার একটি আবার চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের পরিত্যক্ত আবাসনেই ৷ ব্রাউন সুগার আর গাঁজার নেশায় আসক্ত হচ্ছে যুব সমাজ ৷ বিহার থেকে হরিশ্চন্দ্রপুর হয়ে এলাকায় ঢুকছে মাদক ৷ পাচারকারীদের মাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়ছে বিস্তীর্ণ এলাকায় ৷ এই মুহূর্তে মাদকের হাব হয়ে উঠেছে হরিশ্চন্দ্রপুরের করিয়ালি গ্রাম ৷ কারবারিরা ওই গ্রামেই ডেরা গেড়েছে ৷ এ সব সংবাদমাধ্যমকে জানালেও প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চান না এলাকার কেউ ৷ তাতে জীবনহানির আশংকাও রয়েছে ৷

Chanchal turns into drugs hub
মাদক সেবনের ডেরা

দীর্ঘ চিকিৎসার পর নেশার জাল থেকে বেরিয়ে আসা যুবকদের কাছেই মিলেছে এই ব্যবসার একাধিক তথ্য ৷ তাঁরা জানাচ্ছেন, এই মুহূর্তে কলিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের নুরগঞ্জ, মকদমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নদীসিক, ভগবানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভগবানপুর এবং চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতের সাহেবগঞ্জ ও সাঞ্জীব গ্রামে ব্রাউন সুগারের রমরমা কারবার চলছে ৷ মালতিপুর ও গোবিন্দপাড়ার অনেক জায়গাতেও বিক্রি হচ্ছে ব্রাউন সুগার ৷ আগে মাদক কারবারিরা কালিয়াচক থেকে এই মাদক সংগ্রহ করতেন ৷ তবে এখন হরিশ্চন্দ্রপুরের করিয়ালি থেকেই তা পেয়ে যাচ্ছেন ৷ গাঁজার ব্যবসা চলছে কলিগ্রামের নিমতলা এবং চাঁচল সদরে ৷ এক গ্রামের প্রতি পুরিয়া ব্রাউন সুগারের দাম 1500-1800 টাকা ৷ মূলত দুই ধরনের মানুষ এই ব্যবসা চালাচ্ছেন ৷ কিছু মানুষ শুধু আর্থিক ফায়দা লুটতেই মাদক ব্যবসা চালাচ্ছেন ৷ আবার কিছু মানুষ এই নেশায় আসক্ত হয়ে নেশার টাকা জোগাড় করার তাগিদে এই ব্যবসায় নেমেছেন বলে জানা গিয়েছে ৷

Chanchal turns into drugs hub
চাঁচল এখন যেন উড়তা পঞ্জাব

চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের কর্মীদের একাংশ জানাচ্ছেন, সেখানে একটি পরিত্যক্ত আবাসনে বেশ কিছুদিন ধরেই গজিয়ে উঠেছে নেশার ঠেক ৷ শুধু সন্ধের পর নয়, দিনদুপুরেও সেখানে আসর জমাচ্ছেন মাদকাসক্তরা ৷ সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে ফয়েল পেপার-সহ নেশা করার বিভিন্ন উপকরণ ৷

মাদকের নেশার জাল কেটে বেরিয়ে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুবক জানালেন, “এ নেশা বড্ড মারাত্মক ৷ 4-5 বছর আমিও ব্রাউন সুগারের নেশা করেছি ৷ একবার নেশা করার পর কেউ ভাবলেও সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না ৷ আর পুলিশের কথা বলার নয় ৷ আমি যে পেডলারের কাছ থেকে ব্রাউন সুগার কিনতাম, সে প্রতি সপ্তাহে পুলিশকে টাকা দিত ৷ তাই সে ধরা পড়ত না ৷ যে টাকা দেয় না, সে ধরা পড়ে ৷ পুলিশ প্রশাসন এই ব্যবসার সবই জানে ৷ এই ব্যবসার মূল কেন্দ্র হরিশ্চন্দ্রপুরে ৷ এখন কালিয়াচক অনেক ভালো হয়ে গিয়েছে ৷ সেই জায়গা নিয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর ৷ বিহার থেকে সেখানে মাদক ঢুকছে ৷ প্রশাসনকে আমি বলব, মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া বন্ধ করে আসক্তদের পরিবারগুলোকে বাঁচানো হোক ৷”

Chanchal turns into drugs hub
চাঁচলে দেদার বিকোচ্ছে মাদক

শুধু মাদকের নেশাই নয়, বর্তমানে হরিশ্চন্দ্রপুর ও চাঁচলে পয়সা ফেললে মিলছে নারী শরীরও ৷ প্রতিবেশী বিহারে মদ নিষিদ্ধ হওয়ায় এ রাজ্যেই চলে আসছেন আসক্তরা ৷ তাঁদের পিছন পিছনই দেহ ব্যবসার লক্ষ্যে আসছেন নারীরাও ৷ ফলে হরিশ্চন্দ্রপুর ও চাঁচলে যেমন নতুন নতুন মদের ঠেক গজিয়ে উঠছে, তেমনই অল্প সময়ের জন্য ঘর ভাড়াও পাওয়া যাচ্ছে ৷

চাঁচল মহকুমা পুলিশের এক আধিকারিক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন ৷ তিনি বলছেন, “সর্ষের মধ্যে যে ভূত রয়েছে তা আমরাও জানি ৷ কিন্তু সেই ভূতদের চিহ্নিত করাই দুষ্কর হয়ে পড়ছে ৷ গোপন সূত্রে আসা খবরের ভিত্তিতে মাঝেমধ্যে রেড চালানো হয় ৷ দু’চারজন খুচরো মাদক বিক্রেতাকে ধরাও হয় ৷ কিন্তু অনেকেই জালের বাইরে থেকে যাচ্ছে ৷ তাদের ধরতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি ৷”

উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মুর বক্তব্য, “হরিশ্চন্দ্রপুর ও চাঁচলের বিস্তীর্ণ এলাকায় উন্মুক্ত বিহার সীমান্ত ৷ সে সব এলাকায় মাদক-সহ বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা বাড়ছে ৷ পাশের রাজ্যের দুষ্কৃতীরাও সেখানে ঢুকে পড়ছে ৷ পুলিশ সব দেখে, জেনেও নির্বিকার ৷ আসলে সবকিছুর পিছনেই রয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের হাত ৷ তাই চুপ থাকা ছাড়া পুলিশের উপায় নেই ৷”

মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি এটিএম রফিকুল হোসেন এই এলাকারই বাসিন্দা ৷ পরিস্থিতি যে ধীরে ধীরে হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে, স্বীকার করছেন তিনিও ৷ তিনি বলেন, “এ সব বন্ধ করতে পুলিশ প্রশাসন সক্রিয় রয়েছে ৷ তবে আমাদেরও সক্রিয় হতে হবে ৷ এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই ৷ তাই সাংসদকে বলব, রাজনীতি না করে মানুষকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন ৷”

আরও পড়ুন:

  1. মাদক কেনার টাকা নেই, সন্তানদের বিক্রি করে গ্রেফতার বাবা-মা
  2. আন্তর্জাতিক মাদক পাচারচক্রের হদিশ, এনসিবির জালে দুই বিদেশি নাগরিক
  3. গাইঘাটায় মাদক তৈরির কারবার, বিপুল হেরোইন-সহ ধৃত 4

মালদা, 28 নভেম্বর: পাশেই বিহার ৷ সেখান থেকে ঢুকছে মাদক থেকে শুরু করে নারীরা ৷ চলছে দেদার বিক্রি ৷ যার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে যুব প্রজন্ম ৷ মালদার চাঁচল মহকুমার উত্তরাংশ এখন বাস্তবেই ‘উড়তা পঞ্জাব’ ৷

সাম্প্রতিক সময়ে মাদকের রমরমা ব্যবসা চলছে চাঁচল মহকুমা জুড়ে ৷ এই দুই এলাকায় তৈরি হয়েছে নেশার ঠেক ৷ তার একটি আবার চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের পরিত্যক্ত আবাসনেই ৷ ব্রাউন সুগার আর গাঁজার নেশায় আসক্ত হচ্ছে যুব সমাজ ৷ বিহার থেকে হরিশ্চন্দ্রপুর হয়ে এলাকায় ঢুকছে মাদক ৷ পাচারকারীদের মাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়ছে বিস্তীর্ণ এলাকায় ৷ এই মুহূর্তে মাদকের হাব হয়ে উঠেছে হরিশ্চন্দ্রপুরের করিয়ালি গ্রাম ৷ কারবারিরা ওই গ্রামেই ডেরা গেড়েছে ৷ এ সব সংবাদমাধ্যমকে জানালেও প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চান না এলাকার কেউ ৷ তাতে জীবনহানির আশংকাও রয়েছে ৷

Chanchal turns into drugs hub
মাদক সেবনের ডেরা

দীর্ঘ চিকিৎসার পর নেশার জাল থেকে বেরিয়ে আসা যুবকদের কাছেই মিলেছে এই ব্যবসার একাধিক তথ্য ৷ তাঁরা জানাচ্ছেন, এই মুহূর্তে কলিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের নুরগঞ্জ, মকদমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নদীসিক, ভগবানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভগবানপুর এবং চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতের সাহেবগঞ্জ ও সাঞ্জীব গ্রামে ব্রাউন সুগারের রমরমা কারবার চলছে ৷ মালতিপুর ও গোবিন্দপাড়ার অনেক জায়গাতেও বিক্রি হচ্ছে ব্রাউন সুগার ৷ আগে মাদক কারবারিরা কালিয়াচক থেকে এই মাদক সংগ্রহ করতেন ৷ তবে এখন হরিশ্চন্দ্রপুরের করিয়ালি থেকেই তা পেয়ে যাচ্ছেন ৷ গাঁজার ব্যবসা চলছে কলিগ্রামের নিমতলা এবং চাঁচল সদরে ৷ এক গ্রামের প্রতি পুরিয়া ব্রাউন সুগারের দাম 1500-1800 টাকা ৷ মূলত দুই ধরনের মানুষ এই ব্যবসা চালাচ্ছেন ৷ কিছু মানুষ শুধু আর্থিক ফায়দা লুটতেই মাদক ব্যবসা চালাচ্ছেন ৷ আবার কিছু মানুষ এই নেশায় আসক্ত হয়ে নেশার টাকা জোগাড় করার তাগিদে এই ব্যবসায় নেমেছেন বলে জানা গিয়েছে ৷

Chanchal turns into drugs hub
চাঁচল এখন যেন উড়তা পঞ্জাব

চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের কর্মীদের একাংশ জানাচ্ছেন, সেখানে একটি পরিত্যক্ত আবাসনে বেশ কিছুদিন ধরেই গজিয়ে উঠেছে নেশার ঠেক ৷ শুধু সন্ধের পর নয়, দিনদুপুরেও সেখানে আসর জমাচ্ছেন মাদকাসক্তরা ৷ সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে ফয়েল পেপার-সহ নেশা করার বিভিন্ন উপকরণ ৷

মাদকের নেশার জাল কেটে বেরিয়ে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুবক জানালেন, “এ নেশা বড্ড মারাত্মক ৷ 4-5 বছর আমিও ব্রাউন সুগারের নেশা করেছি ৷ একবার নেশা করার পর কেউ ভাবলেও সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না ৷ আর পুলিশের কথা বলার নয় ৷ আমি যে পেডলারের কাছ থেকে ব্রাউন সুগার কিনতাম, সে প্রতি সপ্তাহে পুলিশকে টাকা দিত ৷ তাই সে ধরা পড়ত না ৷ যে টাকা দেয় না, সে ধরা পড়ে ৷ পুলিশ প্রশাসন এই ব্যবসার সবই জানে ৷ এই ব্যবসার মূল কেন্দ্র হরিশ্চন্দ্রপুরে ৷ এখন কালিয়াচক অনেক ভালো হয়ে গিয়েছে ৷ সেই জায়গা নিয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর ৷ বিহার থেকে সেখানে মাদক ঢুকছে ৷ প্রশাসনকে আমি বলব, মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া বন্ধ করে আসক্তদের পরিবারগুলোকে বাঁচানো হোক ৷”

Chanchal turns into drugs hub
চাঁচলে দেদার বিকোচ্ছে মাদক

শুধু মাদকের নেশাই নয়, বর্তমানে হরিশ্চন্দ্রপুর ও চাঁচলে পয়সা ফেললে মিলছে নারী শরীরও ৷ প্রতিবেশী বিহারে মদ নিষিদ্ধ হওয়ায় এ রাজ্যেই চলে আসছেন আসক্তরা ৷ তাঁদের পিছন পিছনই দেহ ব্যবসার লক্ষ্যে আসছেন নারীরাও ৷ ফলে হরিশ্চন্দ্রপুর ও চাঁচলে যেমন নতুন নতুন মদের ঠেক গজিয়ে উঠছে, তেমনই অল্প সময়ের জন্য ঘর ভাড়াও পাওয়া যাচ্ছে ৷

চাঁচল মহকুমা পুলিশের এক আধিকারিক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন ৷ তিনি বলছেন, “সর্ষের মধ্যে যে ভূত রয়েছে তা আমরাও জানি ৷ কিন্তু সেই ভূতদের চিহ্নিত করাই দুষ্কর হয়ে পড়ছে ৷ গোপন সূত্রে আসা খবরের ভিত্তিতে মাঝেমধ্যে রেড চালানো হয় ৷ দু’চারজন খুচরো মাদক বিক্রেতাকে ধরাও হয় ৷ কিন্তু অনেকেই জালের বাইরে থেকে যাচ্ছে ৷ তাদের ধরতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি ৷”

উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মুর বক্তব্য, “হরিশ্চন্দ্রপুর ও চাঁচলের বিস্তীর্ণ এলাকায় উন্মুক্ত বিহার সীমান্ত ৷ সে সব এলাকায় মাদক-সহ বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা বাড়ছে ৷ পাশের রাজ্যের দুষ্কৃতীরাও সেখানে ঢুকে পড়ছে ৷ পুলিশ সব দেখে, জেনেও নির্বিকার ৷ আসলে সবকিছুর পিছনেই রয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের হাত ৷ তাই চুপ থাকা ছাড়া পুলিশের উপায় নেই ৷”

মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি এটিএম রফিকুল হোসেন এই এলাকারই বাসিন্দা ৷ পরিস্থিতি যে ধীরে ধীরে হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে, স্বীকার করছেন তিনিও ৷ তিনি বলেন, “এ সব বন্ধ করতে পুলিশ প্রশাসন সক্রিয় রয়েছে ৷ তবে আমাদেরও সক্রিয় হতে হবে ৷ এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই ৷ তাই সাংসদকে বলব, রাজনীতি না করে মানুষকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন ৷”

আরও পড়ুন:

  1. মাদক কেনার টাকা নেই, সন্তানদের বিক্রি করে গ্রেফতার বাবা-মা
  2. আন্তর্জাতিক মাদক পাচারচক্রের হদিশ, এনসিবির জালে দুই বিদেশি নাগরিক
  3. গাইঘাটায় মাদক তৈরির কারবার, বিপুল হেরোইন-সহ ধৃত 4
Last Updated : Nov 28, 2023, 4:16 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.