ETV Bharat / state

প্রতিদিন 60 হাজার লিটার পানীয় জল বাঁচাচ্ছে মালদা টাউন স্টেশন

author img

By

Published : Jul 25, 2019, 5:39 AM IST

স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম, শৌচাগার পরিষ্কারে ব্যবহৃত হচ্ছে লন্ড্রির জল । প্রতিদিন 60 হাজার লিটার পানীয় জল বাঁচিয়ে পথ দেখাচ্ছে মালদা টাউন স্টেশন । মালদা টাউন স্টেশনে ভবিষ্যতে সংরক্ষণ করা হবে বৃষ্টির জলও ।

মালদা টাউন স্টেশন

মালদা, 25 জুলাই: জলশূন্য চেন্নাই । দ্রুত শুকিয়ে যাচ্ছে দেশের আরও 21টি শহরের ভূগর্ভস্থ জলস্তর । সেকথা ইতিমধ্যে ঘোষণা করে দিয়েছে নীতি আয়োগ । সারা দেশজুড়ে বাড়ছে জল সংকট । এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই হইচই পড়ে গিয়েছে দেশজুড়ে । দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জল সংরক্ষণ নিয়ে একাধিক পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে । ইতিমধ্যেই জল বাঁচিয়ে জলসংরক্ষণে পথপ্রদর্শক হয়ে উঠল পূর্ব রেলের মালদা ডিভিশন।

পাইলট প্রোজেক্ট হিসেবে জল বাঁচানোর কাজ শুরু করা হয়েছে মালদা টাউন স্টেশনে । সেখানে প্রতিদিন প্রায় ৬০ হাজার লিটার জল পুনর্ব্যবহার যোগ্য করে অন্য কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে । ভবিষ্যতে জল সংরক্ষণের জন্য আরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মালদা রেলওয়ে ডিভিশনাল ম্যানেজার ।

Maldah town railway Station
লন্ড্রিতে ধোয়া হচ্ছে ট্রেনে ব্যবহৃত কাপড়

ইতিমধ্যেই মালদা শহরের ভূগর্ভস্থ জলস্তর অনেকটা কমে গিয়েছে । শুধু শহর নয়, জেলার ছবিটাও প্রায় একইরকম । যা স্বীকার করে নিয়েছে ইংরেজবাজার পৌরসভা ও সেচদপ্তর । জেলার বোরিন্দ এলাকা হিসেবে খ্যাত হবিবপুর, বামনগোলা, গাজোল ও পুরাতন মালদায় পরিস্থিতিটা বেশি ঘোরালো । সাধারণ পাম্প ব্যবহার করে এসব এলাকায় জল ওঠে না । একই ছবি দেখতে পাওয়া যায় চাঁচল রতুয়া ও হরিশ্চন্দ্রপুরের কিছু এলাকায় । এদিকে, এবছর পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতও এখনও পর্যন্ত হয়নি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এগিয়ে এসেছে অনেকেই । কিন্তু মালদা রেল ডিভিশনের উদ্যোগটা যেন চোখে পড়ছে বেশি করে ।

Maldah town railway Station
পুনর্ব্যবহারযোগ্য জল দিয়ে ধোয়া হচ্ছে প্ল্যাটফর্ম

মালদা রেল ডিভিশন সূত্রে জানা গেছে, ট্রেনে ব্যবহৃত চাদর, বালিশের কভার, টাওয়েল, জানালার পর্দা প্রভৃতি মালদা টাউন স্টেশনের লন্ড্রিতে ধোওয়া হয় । এর জন্য প্রতিদিন লন্ড্রিতে প্রায় 50 থেকে 60 হাজার লিটার জল ব্যবহার করা হয় । এতদিন সেই ব্যবহৃত জল নালায় ফেলে দেওয়া হত । এখন সেই ব্যবহৃত জলকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে ব্যবহার করা হচ্ছে মালদা টাউন স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম সহ শৌচাগার পরিষ্কারের কাজে। রেলকর্মীদের একাংশের বক্তব্য, এই ব্যবস্থা সম্ভবত দেশে প্রথম । অন্তত পূর্ব রেলের কোথাও এমন ব্যবস্থা চালু হয়েছে বলে তাঁদের জানা নেই ।

Maldah town railway Station
পুনর্ব্যবহারযোগ্য জল দিয়ে ধোয়া হচ্ছে রেললাইন

মালদা রেলওয়ে ডিভিশনাল ম্যানেজার তনু চন্দ্রা বলেছেন, “বর্তমানে স্টেশনে ওয়েস্টেজ ওয়াটার ট্রিটমেন্টের একটি সিস্টেম ব্যবহার করা হচ্ছে । সেই সিস্টেমের মাধ্যমে লন্ড্রিতে প্রতিদিন ব্যবহৃত প্রায় 60 হাজার লিটার জলকে ট্রিটমেন্ট করে স্টেশনের রিজার্ভারে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে । স্টেশন পরিষ্কারের ক্ষেত্রে এখন সেই জল ব্যবহার করা হচ্ছে । এতে পানীয় জলের সাশ্রয়ের সঙ্গে অব্যবহৃত জলকেও ব্যবহার করা যাচ্ছে । ভবিষ্যতে আমরা ভাগলপুর স্টেশনের লন্ড্রিতেও এই সিস্টেম ব্যবহারের পরিকল্পনা নিয়েছি । তার সঙ্গে বৃষ্টির জল সংরক্ষণের কথাও আমরা ভাবনাচিন্তা করছি ।”

মালদা, 25 জুলাই: জলশূন্য চেন্নাই । দ্রুত শুকিয়ে যাচ্ছে দেশের আরও 21টি শহরের ভূগর্ভস্থ জলস্তর । সেকথা ইতিমধ্যে ঘোষণা করে দিয়েছে নীতি আয়োগ । সারা দেশজুড়ে বাড়ছে জল সংকট । এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই হইচই পড়ে গিয়েছে দেশজুড়ে । দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জল সংরক্ষণ নিয়ে একাধিক পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে । ইতিমধ্যেই জল বাঁচিয়ে জলসংরক্ষণে পথপ্রদর্শক হয়ে উঠল পূর্ব রেলের মালদা ডিভিশন।

পাইলট প্রোজেক্ট হিসেবে জল বাঁচানোর কাজ শুরু করা হয়েছে মালদা টাউন স্টেশনে । সেখানে প্রতিদিন প্রায় ৬০ হাজার লিটার জল পুনর্ব্যবহার যোগ্য করে অন্য কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে । ভবিষ্যতে জল সংরক্ষণের জন্য আরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মালদা রেলওয়ে ডিভিশনাল ম্যানেজার ।

Maldah town railway Station
লন্ড্রিতে ধোয়া হচ্ছে ট্রেনে ব্যবহৃত কাপড়

ইতিমধ্যেই মালদা শহরের ভূগর্ভস্থ জলস্তর অনেকটা কমে গিয়েছে । শুধু শহর নয়, জেলার ছবিটাও প্রায় একইরকম । যা স্বীকার করে নিয়েছে ইংরেজবাজার পৌরসভা ও সেচদপ্তর । জেলার বোরিন্দ এলাকা হিসেবে খ্যাত হবিবপুর, বামনগোলা, গাজোল ও পুরাতন মালদায় পরিস্থিতিটা বেশি ঘোরালো । সাধারণ পাম্প ব্যবহার করে এসব এলাকায় জল ওঠে না । একই ছবি দেখতে পাওয়া যায় চাঁচল রতুয়া ও হরিশ্চন্দ্রপুরের কিছু এলাকায় । এদিকে, এবছর পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতও এখনও পর্যন্ত হয়নি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এগিয়ে এসেছে অনেকেই । কিন্তু মালদা রেল ডিভিশনের উদ্যোগটা যেন চোখে পড়ছে বেশি করে ।

Maldah town railway Station
পুনর্ব্যবহারযোগ্য জল দিয়ে ধোয়া হচ্ছে প্ল্যাটফর্ম

মালদা রেল ডিভিশন সূত্রে জানা গেছে, ট্রেনে ব্যবহৃত চাদর, বালিশের কভার, টাওয়েল, জানালার পর্দা প্রভৃতি মালদা টাউন স্টেশনের লন্ড্রিতে ধোওয়া হয় । এর জন্য প্রতিদিন লন্ড্রিতে প্রায় 50 থেকে 60 হাজার লিটার জল ব্যবহার করা হয় । এতদিন সেই ব্যবহৃত জল নালায় ফেলে দেওয়া হত । এখন সেই ব্যবহৃত জলকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে ব্যবহার করা হচ্ছে মালদা টাউন স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম সহ শৌচাগার পরিষ্কারের কাজে। রেলকর্মীদের একাংশের বক্তব্য, এই ব্যবস্থা সম্ভবত দেশে প্রথম । অন্তত পূর্ব রেলের কোথাও এমন ব্যবস্থা চালু হয়েছে বলে তাঁদের জানা নেই ।

Maldah town railway Station
পুনর্ব্যবহারযোগ্য জল দিয়ে ধোয়া হচ্ছে রেললাইন

মালদা রেলওয়ে ডিভিশনাল ম্যানেজার তনু চন্দ্রা বলেছেন, “বর্তমানে স্টেশনে ওয়েস্টেজ ওয়াটার ট্রিটমেন্টের একটি সিস্টেম ব্যবহার করা হচ্ছে । সেই সিস্টেমের মাধ্যমে লন্ড্রিতে প্রতিদিন ব্যবহৃত প্রায় 60 হাজার লিটার জলকে ট্রিটমেন্ট করে স্টেশনের রিজার্ভারে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে । স্টেশন পরিষ্কারের ক্ষেত্রে এখন সেই জল ব্যবহার করা হচ্ছে । এতে পানীয় জলের সাশ্রয়ের সঙ্গে অব্যবহৃত জলকেও ব্যবহার করা যাচ্ছে । ভবিষ্যতে আমরা ভাগলপুর স্টেশনের লন্ড্রিতেও এই সিস্টেম ব্যবহারের পরিকল্পনা নিয়েছি । তার সঙ্গে বৃষ্টির জল সংরক্ষণের কথাও আমরা ভাবনাচিন্তা করছি ।”

Intro:মালদা, ২৩ জুলাইঃ জলশূন্য চেন্নাই। দ্রুত শুকিয়ে যাচ্ছে দেশের আরও ২১ টি শহরের ভূগর্ভস্থ জলস্তর। সেকথা ইতিমধ্যে ঘোষণা করেদিয়েছে নীতি আয়োগ। ফলে এই শহরগুলিতে নিশ্চিতভাবেই তীব্র হতে চলেছে জল সংকট। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই হইচই পড়ে গিয়েছে দেশ জুড়ে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জল সংরক্ষণ নিয়ে একাধিক পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। তারই মধ্যে যেন পথ প্রদর্শক হয়ে উঠল পূর্ব রেলের মালদা ডিভিশন। পাইলট প্রোজেক্ট হিসেবে জল বাঁচানোর কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে মালদা টাউন স্টেশনে। সেখানে প্রতিদিন প্রায় ৬০ হাজার লিটার জল পুনর্ব্যবহার যোগ্য করে অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে জল সংরক্ষণের জন্য আরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মালদা রেলওয়ে ডিভিশনাল ম্যানেজার।Body:ইতিমধ্যেই মালদা শহরের ভূগর্ভস্থ জলস্তর অনেকটা কমে গিয়েছে। শুধু শহর নয়, জেলার ছবিটাও প্রায় একইরকম। যা স্বীকার করে নিয়েছে ইংরেজবাজার পৌরসভা ও সেচদপ্তর। জেলার বোরিন্দ এলাকা হিসেবে খ্যাত হবিবপুর, বামনগোলা, গাজোল ও পুরাতন মালদায় পরিস্থিতিটা বেশি ঘোরালো। সাধারণ পাম্প ব্যবহার করে এসব এলাকায় জল ওঠে না। একই ছবি দেখতে পাওয়া যায় চাঁচল রতুয়া ও হরিশ্চন্দ্রপুরের কিছু এলাকায়। এদিকে, এবছর পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতও এখনও পর্যন্ত হয়নি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এগিয়ে এসেছে অনেকেই। কিন্তু মালদা রেল ডিভিশনের উদ্যোগটা যেন চোখে পড়ছে বেশি করে।
মালদা রেল ডিভিশন সূত্রে জানা গেছে, ট্রেনে ব্যবহৃত চাদর, বালিশের কভার, টাওয়েল, জানালার পর্দা প্রভৃতি মালদা টাউন স্টেশনের লন্ড্রিতে ধোওয়া হয়। এর জন্য প্রতিদিন লন্ড্রিতে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার লিটার জল ব্যবহার করা হয়। এতদিন সেই ব্যবহৃত জল নালায় ফেলে দেওয়া হত। এখন সেই ব্যবহৃত জলকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে ব্যবহার করা হচ্ছে মালদা টাউন স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম সহ শৌচাগার পরিষ্কারের কাজে। রেলকর্মীদের একাংশের বক্তব্য, এই ব্যবস্থা সম্ভবত দেশে প্রথম। অন্তত পূর্ব রেলের কোথাও এমন ব্যবস্থা চালু হয়েছে বলে তাঁদের জানা নেই।
Conclusion:মালদা রেলওয়ে ডিভিশনাল ম্যানেজার তনু চন্দ্রা জানাচ্ছেন, “মালদা টাউন থেকে চলাচল করা ট্রেনগুলিতে ব্যবহৃত চাদর, বালিশের কভার, টাওয়েল, জানালার পর্দা প্রভৃতি এই স্টেশনের লন্ড্রিতেই ধোওয়া হয়। এই কাজে প্রতিদিন প্রায় ৬০ হাজার লিটার জল ব্যবহার হয়। সেই ব্যবহৃত জলকে এতদিন পরিবেশবান্ধব করে ফেলে দিতে হত। এদিকে, মালদা টাউন স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম, রেলওয়ে ট্র্যাক, শৌচাগার পরিষ্কারের জন্যও প্রতিদিন প্রায় ৫০ হাজার লিটার জলের প্রয়োজন হয়। স্টেশনচত্বর পরিস্কার রাখতে এতদিন আমাদের পানীয় জলই ব্যবহার করা হত। ফলে এতদিন স্টেশনে প্রচুর জল ন্ষ্ট হত। বর্তমানে স্টেশনে ওয়েস্টেজ ওয়াটার ট্রিটমেন্টের একটি সিস্টেম ব্যবহার করা হচ্ছে। সেই সিস্টেমের মাধ্যমে লন্ড্রিতে প্রতিদিন ব্যবহৃত প্রায় ৬০ হাজার লিটার জলকে ট্রিটমেন্ট করে স্টেশনের রিজার্ভারে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। স্টেশন পরিষ্কারের ক্ষেত্রে এখন সেই ট্রিটমেন্ট করা জল ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে পানীয় জলের সাশ্রয়ের সঙ্গে অব্যবহৃত জলকেও ব্যবহার করা যাচ্ছে। ভবিষ্যতে আমরা ভাগলপুর স্টেশনের লন্ড্রিতেও এই সিস্টেম ব্যবহারের পরিকল্পনা নিয়েছি। তার সঙ্গে বৃষ্টির জল সংরক্ষণের কথাও আমরা ভাবনাচিন্তা করছি।”
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.