ETV Bharat / state

বুধবার মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা আনছে তৃণমূল - গৌরচন্দ্র মণ্ডল

জেলার রাজনৈতিক মহলে তিনি বরাবরই শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ৷ বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দুর মতোই বেসুরো হন তিনি ৷ জেলা পরিষদের 18 জন তৃণমূল সদস্যকে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন ৷

gourchandra-mondal
gourchandra-mondal
author img

By

Published : Jun 15, 2021, 10:53 PM IST

মালদা, 15 জুন : মিটে গিয়েছে বিধানসভা নির্বাচন ৷ তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় এসে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার কাজও শুরু করে দিয়েছে ৷ আগামী 2 জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে বিধানসভার অধিবেশন ৷ তাই এবার শাসক শিবিরের নজর মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি আসনে ৷ নিজেদের হাতে জেলা পরিষদ থাকলেও সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল নির্বাচনের আগে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন ৷ তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করতে আগামীকালই মালদার ডিভিশনাল কমিশনার মহম্মদ গুলাম আনসারির কাছে সভাধিপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করতে চলেছেন জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্যরা ৷

2011 সালে রাজ্যে ক্ষমতায় এলেও মালদা জেলায় সেভাবে দাগ কাটতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস ৷ সেবার শুধুমাত্র মানিকচক কেন্দ্রে জয় পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৷ 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই জেলায় ভরাডুবি ঘটে শাসকদলের ৷ কিন্তু 2015 থেকেই মালদা জেলা পরিষদের রাশ যায় শাসকদলে হাতে ৷ 2013 সালে পঞ্চায়েত ভোটে জিতে কংগ্রেস জেলা পরিষদ দখল করলেও পরবর্তীতে জেলা পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পেয়ে তৎকালীন অন্যতম তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী অন্যদের ঘর ভাঙাতে শুরু করেন ৷ 2015 সালে জেলা পরিষদ চলে আসে শাসকদলের হাতে ৷ সভাধিপতি হন সরলা মুর্মু, সহকারী সভাধিপতি হন গৌরচন্দ্র মণ্ডল ৷

2018 সালের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসকদল ব্যাপক সাফল্য পায় মালদা জেলায় ৷ সেবার সভাধিপতি হন গৌরচন্দ্র মণ্ডল ৷ জেলার রাজনৈতিক মহলে তিনি বরাবরই শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ৷ বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দুর মতোই বেসুরো হন তিনি ৷ জেলা পরিষদের 18 জন তৃণমূল সদস্যকে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন ৷ এরপর মালদা জেলা পরিষদে তারাই সংখ্যাগরিষ্ঠ বলে দাবি করতে শুরু করে পদ্ম শিবির ৷ বিধানসভা ভোটে মানিকচকে গৌরচন্দ্রকে প্রার্থী করে বিজেপি ৷ যদিও তৃণমূল প্রার্থী সাবিত্রী মিত্রের কাছে হেরে যান তিনি ৷

আরও পড়ুন : এবার বেসুরো সুনীল মণ্ডল, আক্রমণ বিজেপি ও শুভেন্দুকে

এদিকে নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরেই জেলা পরিষদের দলবদলুরা তৃণমূলে ফিরতে শুরু করেন ৷ এই পরিস্থিতিতে সভাধিপতির চেয়ার থেকে গৌরচন্দ্র মণ্ডলকে সরাতে আগামীকাল তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনছেন তৃণমূল সদস্যরা ৷ একথা জানিয়ে জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নুর বলেন, "সংখ্যাতত্বের বিচারে জেলা পরিষদে আমরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ ৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও সভাধিপতির চেয়ার ধরে রেখেছে বিজেপি ৷ তাই আগামীকাল সভাধিপতির বিরুদ্ধে আমাদের সদস্যরা ডিভিশনাল কমিশনারের কাছে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করবেন ৷"

এই বিষয়ে গৌরবাবুর বক্তব্য, "আমি যখন যে দল করি সেই দলের সৈনিক হিসেবেই কাজ করি ৷ ক্ষমতার লোভে কোনওদিন রাজনীতি করিনি ৷ সভাধিপতির বিরুদ্ধে কেউ অনাস্থা আনতেই পারে ৷ বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ পাওয়া যাবে ৷" প্রায় একই বক্তব্য বিজেপির জেলা সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডলেরও ৷ আজও তিনি দাবি করে বলেন, "জেলা পরিষদে আমরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ ৷ সঠিক সময় তার প্রমাণ আমরা দিয়ে দেব ৷"

মালদা, 15 জুন : মিটে গিয়েছে বিধানসভা নির্বাচন ৷ তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় এসে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার কাজও শুরু করে দিয়েছে ৷ আগামী 2 জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে বিধানসভার অধিবেশন ৷ তাই এবার শাসক শিবিরের নজর মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি আসনে ৷ নিজেদের হাতে জেলা পরিষদ থাকলেও সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল নির্বাচনের আগে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন ৷ তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করতে আগামীকালই মালদার ডিভিশনাল কমিশনার মহম্মদ গুলাম আনসারির কাছে সভাধিপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করতে চলেছেন জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্যরা ৷

2011 সালে রাজ্যে ক্ষমতায় এলেও মালদা জেলায় সেভাবে দাগ কাটতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস ৷ সেবার শুধুমাত্র মানিকচক কেন্দ্রে জয় পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৷ 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই জেলায় ভরাডুবি ঘটে শাসকদলের ৷ কিন্তু 2015 থেকেই মালদা জেলা পরিষদের রাশ যায় শাসকদলে হাতে ৷ 2013 সালে পঞ্চায়েত ভোটে জিতে কংগ্রেস জেলা পরিষদ দখল করলেও পরবর্তীতে জেলা পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পেয়ে তৎকালীন অন্যতম তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী অন্যদের ঘর ভাঙাতে শুরু করেন ৷ 2015 সালে জেলা পরিষদ চলে আসে শাসকদলের হাতে ৷ সভাধিপতি হন সরলা মুর্মু, সহকারী সভাধিপতি হন গৌরচন্দ্র মণ্ডল ৷

2018 সালের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসকদল ব্যাপক সাফল্য পায় মালদা জেলায় ৷ সেবার সভাধিপতি হন গৌরচন্দ্র মণ্ডল ৷ জেলার রাজনৈতিক মহলে তিনি বরাবরই শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ৷ বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দুর মতোই বেসুরো হন তিনি ৷ জেলা পরিষদের 18 জন তৃণমূল সদস্যকে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন ৷ এরপর মালদা জেলা পরিষদে তারাই সংখ্যাগরিষ্ঠ বলে দাবি করতে শুরু করে পদ্ম শিবির ৷ বিধানসভা ভোটে মানিকচকে গৌরচন্দ্রকে প্রার্থী করে বিজেপি ৷ যদিও তৃণমূল প্রার্থী সাবিত্রী মিত্রের কাছে হেরে যান তিনি ৷

আরও পড়ুন : এবার বেসুরো সুনীল মণ্ডল, আক্রমণ বিজেপি ও শুভেন্দুকে

এদিকে নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরেই জেলা পরিষদের দলবদলুরা তৃণমূলে ফিরতে শুরু করেন ৷ এই পরিস্থিতিতে সভাধিপতির চেয়ার থেকে গৌরচন্দ্র মণ্ডলকে সরাতে আগামীকাল তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনছেন তৃণমূল সদস্যরা ৷ একথা জানিয়ে জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নুর বলেন, "সংখ্যাতত্বের বিচারে জেলা পরিষদে আমরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ ৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও সভাধিপতির চেয়ার ধরে রেখেছে বিজেপি ৷ তাই আগামীকাল সভাধিপতির বিরুদ্ধে আমাদের সদস্যরা ডিভিশনাল কমিশনারের কাছে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করবেন ৷"

এই বিষয়ে গৌরবাবুর বক্তব্য, "আমি যখন যে দল করি সেই দলের সৈনিক হিসেবেই কাজ করি ৷ ক্ষমতার লোভে কোনওদিন রাজনীতি করিনি ৷ সভাধিপতির বিরুদ্ধে কেউ অনাস্থা আনতেই পারে ৷ বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ পাওয়া যাবে ৷" প্রায় একই বক্তব্য বিজেপির জেলা সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডলেরও ৷ আজও তিনি দাবি করে বলেন, "জেলা পরিষদে আমরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ ৷ সঠিক সময় তার প্রমাণ আমরা দিয়ে দেব ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.