ETV Bharat / state

যশের অভিঘাতে ডুবল মালদা শহর, রেহাই নেই জেলাশাসক ভবনেরও

যশের পর বৃহস্পতিবার দিনভর তার ধাক্কা সামলাতে হচ্ছে মালদাবাসীকে ৷ বুধবার ঘূর্ণিঝড় যখন দক্ষিণবঙ্গে তাণ্ডব চালায় তখন মালদায় কিছু বোঝা যায়নি ৷ তবে রাতের পর থেকেই পরিস্থিতি বিগড়তে শুরু করে ৷ এদিন প্রবল বর্ষণের ফলে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই গোটা শহর জলমগ্ন হয় ৷ জম জমেছে জেলাশাসকের বাংলোতেও ৷

যশের অভিঘাতে ডুবল গেল মালদা শহর
যশের অভিঘাতে ডুবল গেল মালদা শহর
author img

By

Published : May 27, 2021, 10:57 PM IST

মালদা, 27 মে : ঘূর্ণিঝড় যশের আফটার শকে দিশেহারা মালদা ৷ বুধবার ল্যান্ডফলের পর ঘূর্ণিঝড় কিংবা নিম্নচাপের কোনও প্রভাব বুঝতে পারেননি মালদাবাসী ৷ কিন্তু বুধবার রাত গড়াতেই আকাশ কালো করে আসে ৷ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বৃষ্টিতে ভিজেছে গোটা জেলা ৷ বেলা যত গড়িয়েছে, বৃষ্টির তোড়ও বেড়েছে ৷ দুপুর থেকে শুরু হয়েছে অবিরাম বর্ষণ ৷ তুমুল বৃষ্টিতে ফসলের ভাল ক্ষতি হয়েছে ৷ তবে সবচেয়ে সমস্যায় পড়েছে মালদা শহর ৷ নিকাশির সুব্যবস্থা না থাকায় গোটা শহরই কার্যত চলে গিয়েছে জলের তলায় ৷ মালদা মেডিকেল কলেজ তো বটেই, জলে ভাসছে জেলা আদালত, এমনকি খোদ প্রশাসনিক ভবনও ৷ অসংখ্য বাড়িতে ঢুকে গিয়েছে জল ৷

যশ আসার আগেই ইংরেজবাজার পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য দুলাল সরকার সতর্ক করেছিলেন ৷ তিনি জানিয়েছিলেন, যশের প্রভাবে ডুবতে চলেছে মালদা শহর ৷ কারণ দীর্ঘদিনের চেষ্টাতেও শহরের নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক করা যায়নি ৷ বিধানসভা নির্বাচন এবং পৌরসভার প্রশাসনিক জটিলতায় সময়মতো নর্দমাগুলিও পরিষ্কার করা যায়নি ৷ এর ফলে গোটা শহরই জলে ভাসবে ৷

দুলালবাবুর আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে ৷ বৃহস্পতিবার বিকেলের মধ্যে প্রায় গোটা শহর চলে গিয়েছে জলের তলায় ৷ খোদ জেলাশাসকের বাংলোয় জল জমেছে ৷ উপড়ে গিয়েছে বাংলোর গাছ ৷ একাধিক বাজার জলে ভাসছে ৷ জেলা আদালতের মুখ্য দায়রা বিচারকের দফতর, জিআরও অফিস জলের নীচে ৷ প্রশাসনিক ভবনও জলবন্দি ৷

যদিও শহরের এই জলছবি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র ৷ তবে পৌরসভার প্রশাসক এবং সদর মহকুমাশাসক শেখরকুমার চৌধুরী বলেন, "শহরের জমা জল বের করার জন্য আজ রাতে চারটি জায়গায় পাম্প বসানো হচ্ছে ৷ পরিস্থিতি দেখে আগামিকাল পাম্পের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে ৷"

মালদা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় বলেন, "এখনও পর্যন্ত নীচের তলা থেকে রোগীদের কোথাও সরানো হয়নি ৷ পরিস্থিতির দিকে আমরা নজর রেখেছি ৷ প্রয়োজনে রোগীদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হবে ৷" মেডিকেল বিভাগে কর্তব্যরত এক চিকিৎসক শিউলি সাহা বলেন, "জলের মধ্যেই আমরা চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছি ৷ রোগীরাও এখনও ওয়ার্ডে রয়েছেন ৷ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সবকিছু জানানো হয়েছে ৷" নিরাপত্তাকর্মী নুর হক বলেন, "নীচের তলার প্রতিটি ঘরে জল ঢুকে গিয়েছে ৷ অপারেশন থিয়েটারেও জল ঢুকেছে ৷ তার মধ্যেই চিকিৎসকরা কাজ করছেন ৷ বৃষ্টি কখন থামবে, সেদিকেই এখন সবাই তাকিয়ে রয়েছি ৷”

আরও পড়ুন : যশের তাণ্ডবের পরই পরিদর্শনে অখিল গিরি

মালদা, 27 মে : ঘূর্ণিঝড় যশের আফটার শকে দিশেহারা মালদা ৷ বুধবার ল্যান্ডফলের পর ঘূর্ণিঝড় কিংবা নিম্নচাপের কোনও প্রভাব বুঝতে পারেননি মালদাবাসী ৷ কিন্তু বুধবার রাত গড়াতেই আকাশ কালো করে আসে ৷ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বৃষ্টিতে ভিজেছে গোটা জেলা ৷ বেলা যত গড়িয়েছে, বৃষ্টির তোড়ও বেড়েছে ৷ দুপুর থেকে শুরু হয়েছে অবিরাম বর্ষণ ৷ তুমুল বৃষ্টিতে ফসলের ভাল ক্ষতি হয়েছে ৷ তবে সবচেয়ে সমস্যায় পড়েছে মালদা শহর ৷ নিকাশির সুব্যবস্থা না থাকায় গোটা শহরই কার্যত চলে গিয়েছে জলের তলায় ৷ মালদা মেডিকেল কলেজ তো বটেই, জলে ভাসছে জেলা আদালত, এমনকি খোদ প্রশাসনিক ভবনও ৷ অসংখ্য বাড়িতে ঢুকে গিয়েছে জল ৷

যশ আসার আগেই ইংরেজবাজার পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য দুলাল সরকার সতর্ক করেছিলেন ৷ তিনি জানিয়েছিলেন, যশের প্রভাবে ডুবতে চলেছে মালদা শহর ৷ কারণ দীর্ঘদিনের চেষ্টাতেও শহরের নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক করা যায়নি ৷ বিধানসভা নির্বাচন এবং পৌরসভার প্রশাসনিক জটিলতায় সময়মতো নর্দমাগুলিও পরিষ্কার করা যায়নি ৷ এর ফলে গোটা শহরই জলে ভাসবে ৷

দুলালবাবুর আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে ৷ বৃহস্পতিবার বিকেলের মধ্যে প্রায় গোটা শহর চলে গিয়েছে জলের তলায় ৷ খোদ জেলাশাসকের বাংলোয় জল জমেছে ৷ উপড়ে গিয়েছে বাংলোর গাছ ৷ একাধিক বাজার জলে ভাসছে ৷ জেলা আদালতের মুখ্য দায়রা বিচারকের দফতর, জিআরও অফিস জলের নীচে ৷ প্রশাসনিক ভবনও জলবন্দি ৷

যদিও শহরের এই জলছবি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র ৷ তবে পৌরসভার প্রশাসক এবং সদর মহকুমাশাসক শেখরকুমার চৌধুরী বলেন, "শহরের জমা জল বের করার জন্য আজ রাতে চারটি জায়গায় পাম্প বসানো হচ্ছে ৷ পরিস্থিতি দেখে আগামিকাল পাম্পের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে ৷"

মালদা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় বলেন, "এখনও পর্যন্ত নীচের তলা থেকে রোগীদের কোথাও সরানো হয়নি ৷ পরিস্থিতির দিকে আমরা নজর রেখেছি ৷ প্রয়োজনে রোগীদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হবে ৷" মেডিকেল বিভাগে কর্তব্যরত এক চিকিৎসক শিউলি সাহা বলেন, "জলের মধ্যেই আমরা চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছি ৷ রোগীরাও এখনও ওয়ার্ডে রয়েছেন ৷ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সবকিছু জানানো হয়েছে ৷" নিরাপত্তাকর্মী নুর হক বলেন, "নীচের তলার প্রতিটি ঘরে জল ঢুকে গিয়েছে ৷ অপারেশন থিয়েটারেও জল ঢুকেছে ৷ তার মধ্যেই চিকিৎসকরা কাজ করছেন ৷ বৃষ্টি কখন থামবে, সেদিকেই এখন সবাই তাকিয়ে রয়েছি ৷”

আরও পড়ুন : যশের তাণ্ডবের পরই পরিদর্শনে অখিল গিরি

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.