ETV Bharat / state

অবাধ্য শহরবাসীকে সবক শেখাতে রাস্তায় দাবাং... - plastic free

মালদা সদরের মহকুমা শাসক সুরেশচন্দ্র রানো সাহেব মালদা শহরকে যানজট মুক্ত, প্লাস্টিক মুক্ত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ । আর তাই গতকাল সকালে বালুচর এলাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয় । খবর পেয়েই ওই এলাকায় আসেন মালদা সদরের মহকুমা শাসক তথা ইংরেজবাজার পৌরসভার প্রশাসক । নিজের হাতেই একের পর এক অবৈধ দোকানগুলি বন্ধ করেন তিনি । রাস্তার ওপর বেশ কিছু গরুও ঘোরাঘুরি করছিল, পৌরসভা থেকে লোক ডেকে গরুগুলি আটক করেন তিনি ।

অবাধ্য শহরবাসীকে সবক শেখাতে রাস্তায় দাবাং: মালদার মহকুমাশাসক
অবাধ্য শহরবাসীকে সবক শেখাতে রাস্তায় দাবাং: মালদার মহকুমাশাসক
author img

By

Published : Jun 23, 2021, 6:20 PM IST

ইংরেজবাজার , 23 জুন: “একবার ম্যায়নে জো কমিটমেন্ট করদি, ফের ম্যা আপনে আপ কি ভি নেহি শুনতা ।” বলিউডের এই বিখ্যাত ডায়ালগকে সঙ্গী করেই যেন মালদা শহরের রাস্তায় নেমেছেন দাবাং । প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করলেই নির্দেশিকা অনুযায়ী আইনের পথ মানছেন মালদা সদরের মহকুমা শাসক তথা ইংরেজবাজারের পৌরসভার প্রশাসক ।

ইংরেজবাজার পৌরসভার প্রশাসকের দায়িত্ব পেয়েই ময়দানে নেমে পড়েছেন সদর মহকুমা শাসক (মালদা) সুরেশচন্দ্র রানো । যশ পরবর্তী প্রভাবে কার্যত আট-দশ দিন জলের তলায় ছিল মালদা শহরের বেশ কিছু এলাকা । এরপরেই শহরের নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতিতে নেমে পড়েন পৌরসভার প্রশাসক । শহরের সমস্ত নিকাশি নালা পরিষ্কারের নির্দেশ দেন তিনি । তাতেও সমস্যায় পড়তে হয় পৌর কর্তৃপক্ষকে ।

শহরের বেশিরভাগ হাইড্রেনের উপর অবৈধভাবে দোকানদাররা দোকান পেতেছিল । সেই দোকানগুলি অবিলম্বে তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় পৌরসভার পক্ষ থেকে । নির্দেশের পরেও দোকান না তোলায় উচ্ছেদ অভিযানে নামেন খোদ মহকুমা শাসক । সাফাই করতে গিয়ে দেখা যায় প্লাস্টিকে ভরে রয়েছে হাইড্রেনগুলি । পরদিনই মাইকিং করে প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করার নির্দেশ দেন রানো সাহেব । নিকাশি ব্যবস্থায় কাজের পাশাপাশি শহরের যানজট নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন তিনি । দেখা যায় শহরের যানজটের মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে রাস্তার ওপর বেআইনিভাবে দোকানগুলি ।

আরও পড়ুন...Kaliachak Murder Case : কীভাবে খুন-কীভাবেই বা বাঁচল দাদা, ঘটনার পুনর্নির্মাণে দেখাল আসিফ

পাশাপাশি শহরের রাস্তায় যেখানে সেখানে গরু-ছাগল ঘুরে বেড়ায়, বসে থাকে । এরপরই পৌরসভার পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়, শহরে গবাদি পশু যদি পালন করতে হয় তবে পৌরসভার অনুমতি নিতে হবে এবং কোনওভাবেই রাস্তায় গবাদি পশু ছাড়া যাবে না । রাস্তায় গবাদি পশু ঘোরাঘুরি করলে পৌর কর্তৃপক্ষ সেই গবাদি পশুকে আটক করবে এই নিয়ে গত তিনদিন ধরে সারা শহর জুড়ে এই নির্দেশিকা মাইকিং করে জানানো হয়।

তারপরেও পৌর এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় গরু-ছাগল ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায় । গতকাল সকালে বালুচর এলাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয় । সেই খবর পেয়েই ওই এলাকায় আসেন মালদা সদরের মহকুমা শাসক । এরপরেই দেখা যায় মহকুমা শাসকের দাবাং রূপ । নিজের হাতেই একের পর এক দোকান বন্ধ করান তিনি ।

ওই এলাকায় রাস্তার ওপর বেশ কিছু গরুও ঘোরাঘুরি করতে দেখেন মহকুমা শাসক । পৌরসভা থেকে লোক ডেকে গরুগুলি আটক করেন তিনি । ঘণ্টা খানেক ওই এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় চলে এই আটক অভিযান । আটক করা হয় প্রায় দশটি গরু । পরে সেই গরুগুলিকে পৌরসভার গাড়িতে করে প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন দফতরের খোঁয়ারে নিয়ে যাওয়া হয় ।

অবাধ্য শহরবাসীকে সবক শেখাতে রাস্তায় দাবাং: মালদার মহকুমা শাসক

আরও পড়ুন...সরকার উদাসীন, প্রকৃতির রোষ ; বিপন্ন মালদার আমসত্ত্ব শিল্প

বৈদ্যনাথ সাহানি নামে এক বাসিন্দা জানান, “রাস্তার ওপর আমার গরু ঘুরছিল । পৌরসভার লোকজন সেই গরু ধরে সরকারি খোঁয়ারে নিয়ে গিয়েছে । প্রশাসন থেকে শহরের রাস্তায় গরু ছাড়তে নিষেধ করা হয়েছিল । কিন্তু বিষয়টি আমার জানা ছিল না । এখন পৌরকর্মীদের মুখে বিষয়টি জানতে পারলাম ।”

সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মহকুমা শাসক জানান, “পৌরসভা এলাকায় গরু পালন করতে গেলে অনুমতি নিতে হবে । রাস্তায় কোনওভাবেই গরু ছেড়ে দেওয়া যাবে না । আজ শহরের বালুচর এলাকায় বেশ কিছু গরু ঘোরাঘুরি করছিল । রাস্তার যেখানে সেখানে মল ত্যাগ করে নোংরা করে রেখেছিল । এটা পৌরসভার পরিবেশ নয় । আমরা সেই গরুগুলি আটক করেছি । গরুগুলিকে সরকারি খোঁয়ারে পাঠানো হবে । গরুগুলির মালিকদের টাকা দিয়ে গোরু ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে হবে ।”

ইংরেজবাজার , 23 জুন: “একবার ম্যায়নে জো কমিটমেন্ট করদি, ফের ম্যা আপনে আপ কি ভি নেহি শুনতা ।” বলিউডের এই বিখ্যাত ডায়ালগকে সঙ্গী করেই যেন মালদা শহরের রাস্তায় নেমেছেন দাবাং । প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করলেই নির্দেশিকা অনুযায়ী আইনের পথ মানছেন মালদা সদরের মহকুমা শাসক তথা ইংরেজবাজারের পৌরসভার প্রশাসক ।

ইংরেজবাজার পৌরসভার প্রশাসকের দায়িত্ব পেয়েই ময়দানে নেমে পড়েছেন সদর মহকুমা শাসক (মালদা) সুরেশচন্দ্র রানো । যশ পরবর্তী প্রভাবে কার্যত আট-দশ দিন জলের তলায় ছিল মালদা শহরের বেশ কিছু এলাকা । এরপরেই শহরের নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতিতে নেমে পড়েন পৌরসভার প্রশাসক । শহরের সমস্ত নিকাশি নালা পরিষ্কারের নির্দেশ দেন তিনি । তাতেও সমস্যায় পড়তে হয় পৌর কর্তৃপক্ষকে ।

শহরের বেশিরভাগ হাইড্রেনের উপর অবৈধভাবে দোকানদাররা দোকান পেতেছিল । সেই দোকানগুলি অবিলম্বে তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় পৌরসভার পক্ষ থেকে । নির্দেশের পরেও দোকান না তোলায় উচ্ছেদ অভিযানে নামেন খোদ মহকুমা শাসক । সাফাই করতে গিয়ে দেখা যায় প্লাস্টিকে ভরে রয়েছে হাইড্রেনগুলি । পরদিনই মাইকিং করে প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করার নির্দেশ দেন রানো সাহেব । নিকাশি ব্যবস্থায় কাজের পাশাপাশি শহরের যানজট নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন তিনি । দেখা যায় শহরের যানজটের মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে রাস্তার ওপর বেআইনিভাবে দোকানগুলি ।

আরও পড়ুন...Kaliachak Murder Case : কীভাবে খুন-কীভাবেই বা বাঁচল দাদা, ঘটনার পুনর্নির্মাণে দেখাল আসিফ

পাশাপাশি শহরের রাস্তায় যেখানে সেখানে গরু-ছাগল ঘুরে বেড়ায়, বসে থাকে । এরপরই পৌরসভার পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়, শহরে গবাদি পশু যদি পালন করতে হয় তবে পৌরসভার অনুমতি নিতে হবে এবং কোনওভাবেই রাস্তায় গবাদি পশু ছাড়া যাবে না । রাস্তায় গবাদি পশু ঘোরাঘুরি করলে পৌর কর্তৃপক্ষ সেই গবাদি পশুকে আটক করবে এই নিয়ে গত তিনদিন ধরে সারা শহর জুড়ে এই নির্দেশিকা মাইকিং করে জানানো হয়।

তারপরেও পৌর এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় গরু-ছাগল ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায় । গতকাল সকালে বালুচর এলাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয় । সেই খবর পেয়েই ওই এলাকায় আসেন মালদা সদরের মহকুমা শাসক । এরপরেই দেখা যায় মহকুমা শাসকের দাবাং রূপ । নিজের হাতেই একের পর এক দোকান বন্ধ করান তিনি ।

ওই এলাকায় রাস্তার ওপর বেশ কিছু গরুও ঘোরাঘুরি করতে দেখেন মহকুমা শাসক । পৌরসভা থেকে লোক ডেকে গরুগুলি আটক করেন তিনি । ঘণ্টা খানেক ওই এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় চলে এই আটক অভিযান । আটক করা হয় প্রায় দশটি গরু । পরে সেই গরুগুলিকে পৌরসভার গাড়িতে করে প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন দফতরের খোঁয়ারে নিয়ে যাওয়া হয় ।

অবাধ্য শহরবাসীকে সবক শেখাতে রাস্তায় দাবাং: মালদার মহকুমা শাসক

আরও পড়ুন...সরকার উদাসীন, প্রকৃতির রোষ ; বিপন্ন মালদার আমসত্ত্ব শিল্প

বৈদ্যনাথ সাহানি নামে এক বাসিন্দা জানান, “রাস্তার ওপর আমার গরু ঘুরছিল । পৌরসভার লোকজন সেই গরু ধরে সরকারি খোঁয়ারে নিয়ে গিয়েছে । প্রশাসন থেকে শহরের রাস্তায় গরু ছাড়তে নিষেধ করা হয়েছিল । কিন্তু বিষয়টি আমার জানা ছিল না । এখন পৌরকর্মীদের মুখে বিষয়টি জানতে পারলাম ।”

সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মহকুমা শাসক জানান, “পৌরসভা এলাকায় গরু পালন করতে গেলে অনুমতি নিতে হবে । রাস্তায় কোনওভাবেই গরু ছেড়ে দেওয়া যাবে না । আজ শহরের বালুচর এলাকায় বেশ কিছু গরু ঘোরাঘুরি করছিল । রাস্তার যেখানে সেখানে মল ত্যাগ করে নোংরা করে রেখেছিল । এটা পৌরসভার পরিবেশ নয় । আমরা সেই গরুগুলি আটক করেছি । গরুগুলিকে সরকারি খোঁয়ারে পাঠানো হবে । গরুগুলির মালিকদের টাকা দিয়ে গোরু ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে হবে ।”

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.