মালদা, 4 অক্টোবর : বালি ভাস্কর্য ৷ কথাটা শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে পুরির সমুদ্রতট ৷ সেখানে আপন খেয়ালেই বালি দিয়ে অসামান্য শিল্পকলা ফুটিয়ে তোলেন খ্যাতনামা বালি ভাস্কর সুদর্শন পটনায়েক ৷ 47তম বছরে সেই শিল্পকেই থিম করেছে মালদা শহরের মহানন্দা ক্লাব ও লাইব্রেরি ৷ পুজো মণ্ডপের ভিতরে ঢুকলেই দর্শনার্থীরা এক লহমায় পৌঁছে যাচ্ছেন প্রতিবেশী রাজ্যের বেলাভূমিতে ।
পুজো উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন, " সুদর্শন পটনায়েক অনেক বছর ধরে বালি শিল্পকে সমগ্র বিশ্বের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন । আমরা নিজেদের সামান্য সামর্থ দিয়ে এই শিল্পকে আরও একটু মানুষের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি । প্রতিবছরই আমরা মালদাবাসীকে নতুন কিছু উপহার দিয়ে থাকি । এবার আমাদের মণ্ডপে ভিড় উপচে গেছে । সমগ্র উত্তরবঙ্গবাসীর কাছ থেকে আমরা যে ভালোবাসা পাচ্ছি, তা কখনও আশা করিনি । এবার আমাদের প্রতিমা তৈরি করেছেন সুশান্ত সরকার । তিনিই মণ্ডপ নির্মাণ করেছেন ।"
মণ্ডপে উপস্থিত মালদা শহরের সানি পার্কের বাসিন্দা শ্রাবণী ঝা উদ্যোক্তাদের এই চিন্তাভাবনার তারিফ করে বলেন, " যেভাবে এই শিল্পকে উপস্থাপন করা হয়েছে, তা অকল্পনীয় । আমার ভালো লেগেছে । পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আবার আসব ।" আরেক দর্শনার্থী, শহরের কুতুবপুর মিস্ত্রিপাড়ার বাসিন্দা জয়ন্ত চৌধুরি বলেন, " প্রতিবারই নতুন কিছু দেখার আশায় এই পুজোমণ্ডপে আসি । এবার এখানে এসেই মনে হল যেন পুরিতে চলে এসেছি । মালদায় বসেই সমুদ্রের দৃশ্য উপভোগ করতে খুব ভালো লেগেছে । "